পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

যে কথা গুলো এখনো হয়নি বলা...

সেদিন শীতের এক রাতে ফিরছিলাম আমার স্বেচ্ছাবন্দী জীবনে আশ্রয়ে, আমার অলস আশ্রমে- আমার এখনকার নিবাসে । বেরিয়েছিলাম বিকেলে। ফিরতে অনেক রাত। হেঁটে হেঁটেই আসছিলাম। ফেরার সময় এলোমেলো আর অযৌক্তিক কথাগুলো বারবার মনে হচ্ছিলো। যে কথাগুলো কখনোই তোমাকে বলা হয়ে ওঠেনি, সেই কথাগুলো নিজের মন আউড়ে যাচ্ছিল ক্রমাগত। অন্তত আমার কাছে বলা হয়ে থাকলো আমার না বলা কথাগুলো। তোমায় একমনে কতো কথাই না বলে যাচ্ছিলাম। অদ্ভুত এক সময়ে আমদের বসবাস, তাই না ? এখানে আবেগের চেয়ে বাস্তবতার কাঠিন্য যে অনেক বেশী তা আমরা বুঝতে শিখে গিয়েছি। মননের যে কোন অর্থহীন আর পাগলামো এখন সিদ্ধান্তের কাছে মার খেয়ে যায় নিয়ত। যেখানে আমরা এখন টেকসই সব বস্তুর দিকে ঝুঁকছি, সেখানে প্রতিটা পা ফেলার আগে আমাদের দশদিক ভাবতে হচ্ছে। তাই বাস্তবতা, যুক্তি, বিকারহীনতার এই জগতে আমাদের অনূভুতিগুলোকে অনেকটাই আগাছা ভাবতে শিখেছি। যদি কখনোবা মনটা লাগামছাড়া হয়ে উঠতে চায়, সব তথাকথিত সত্যগুলোকে ছুড়ে ফেলতে চায়, তখনো আমরা আবেগকে যুক্তি আর বাস্তবতার ভারে চাপা দিতে শিখেছি। আবেগের মতো অর্থহীন আর মূল্যহীন বিষয় এখন গৌ...

অদৃশ্য হাতছানি

ছায়ারা যেমন ডানা মেলে দিতে থাকে, অদৃশ্য হাতছানি- মন রেখে দিও, পাশে শুয়ে নীরব স্পন্দনে রোদেলা, পিছুটান জন্মেছে বাঁধনে নীল সুতো, মৌণতায় সার বাঁধা মিছিল শেষে, এখানে দাঁড়ালে সূক্ষ বিষাদে, হ্রদ জুড়ে দেখো পানি কালো পানি, রেলিং থেকে টুপ করে এক ফোঁটা, গড়িয়ে পড়ে অঝোরে শূণ্যতা, নেমে এলো যখন ডানা মেলে দিতে...|

আমি যদি তুমি হতাম

আমি যদি তুমি হতাম,,,, বলতো কেমন হয়????? হয়তো হতো অনেক কিছু,,,,, হয়তো কিছুই নয়,,,,,,, আমি যদি তুমি হতাম,,,,, স্বপ্নগুলো উড়িয়ে দিতাম,,,, সুখগুলোকে কুড়িয়ে নিতাম,,,, কষ্ট পেতো ভয়,,,,,,, আমি যদি তুমি হতাম,,,,, কল্পলোকে হারিয়ে যেতাম,,,, নির্জনতা আগলে নিতাম,,,, যেটা আমার নয়,,,,,,!!!!!!!!

সময়ের সাথে পরিবর্তন...

সময় অনেক কিছু পরিবর্তন করে দেয় হয়তো একসময় আপনার উপস্থিতি কারো কাছে স্বপ্নের মতো ছিল আজ তার কাছে বিরক্তিকর ছাড়া আর কিছুই নয় মাঝে মাঝে মনে হয়... সত্যি কেউ কারো নয়,, সময়ের প্রয়োজনে জীবনে কেউ আসে,, আবার সময়ের প্রয়োজনে জীবন থেকে হারিয়ে যায়,, বাস্তব আসলে অনেক বেশি ভয়ংকর,, আর আবেগ খুব খারাপ

ভালোবাসার মানে..

ভালোবাসা মানে কাউকে জয় করা নয়, বরং নিজেই কারো কাছে হেরে যাওয়া। এটা জ্ঞানের গভীরতা দিয়ে হয়না! হয় হৃদয়ের পবিত্রতা দিয়ে।।

ছ্যাকা খাওয়ার পড়

আপনি ছ্যাকা খেয়ে কষ্টে আছেন? : খুবকষ্ট হয় আপনার? : মরে যেতে ইচ্ছে করে? : নেশা করেন? : লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছেন? : মন খারাপ করে থাকেন? : আপনি আপনার জীবনটা নিয়ে খুব বোরিং? : খুব হতাশাগ্রস্থ আপনি? : জীবনটিকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছেন? : আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, : তবে আপনাকে বলছি। . .. ... .... ........... তুই ছেলেই হও আর মেয়েই হও.............. : থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো । : কি পাইছিস কি? : জীবনটাকে দু টাকার নোট ভেবেছিস? : তুই কি জানিস , : তুই কতটা প্রিয় তোর বাবার কাছে? : তুই কি জানিস তুই তোর মায়ের কাছে সাত রাজার ধন? : তুই কি জানিস একটি সন্তান জন্ম হওয়ার জন্য, মাকে কতটা ব্যাথা সহ্য করতে হয়? : তুই কি জানিস তোর মা তোকে দশ মাস, দশ দিন গর্ভে ধারণ করে রেখেছিলো? : কে না কে তোকে ছেড়ে গেছে, : তাতে তুই কষ্ট পাবি? : এত মূল্যবান একটা জীবন নষ্ট করবি? : কেনো তুই এত অবুঝ? : যে গেছে তো গেছে। : ও গেছে আরেকজন আসবে। : এত ভাবিস কেনো? তুই কি আর লাইলী-মজনু শিরি- ফরহাদের যুগে জন্ম নিয়েছিস? : তুই ডিজিটাল যুগে এসে যদি এত বো...

কঠিন কাজ

পৃথিবীতে ৫টা কাজ কঠিন!!!!! ১.হাতিকে ধাক্কা দেওয়া! ২.পিপড়ার ঠোঁটে Kissকরা! ৩.জিরাফের গলা চেপে ধরা! ৪.মশার গালে চড় মারা! ৫.মেয়েদের মন বুঝা!

ভালোবেসে বলবে ভিশন ভালোবাসি

তুমি কি জান কেন আল্লাহ্ তোমার আঙ্গুলের মাঝে ফাক রেখেছেন?কারণ কেউ ১ জন আছে তোমার হাতে হাত রেখে সে ফাক পুরন করবে।আর বলবে তুমি আর একা নও! হাতের সেই ফাকটি পূরণ করে দুজনে এক সাথে চলবে আর বলবে ভিশন ভালোবাসি..।

বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কিছু মিথ্যা কথা..

1. অনন্ত জলিল : অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্তের কাজ ।কত বড় মিথ্যা কথা ।ভাই কবে আপনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ? যদি পারেন একটা ডিম পেড়ে দেখান । 2. তামিম : বয়সতো মাএ ২৩। এখননা হলে কখন? গত দুই বছর ধরে শুনে আসতেছি তোমার বয়স মাএ ২৩ ।তোমার বয়স কী বাড়েনা??? আর এখন না হলে কখন কথাটার অর্থ কী ??? 3. ফেয়ার এন্ড হেন্ডসাম : মাএ তিন সপ্তাহে ফর্সা হোন । তিন সপ্তাহে যদি ফর্সা হওয়া যায় তাহলে আফ্রিকায় এত নিগ্রো কেন??? 4. সাকিব আল হাসান : টিফিন বিস্কুট খাও ছক্কা হাকাও।যদি টিফিন বিস্কুট খেলে ছক্কা হাকানো যায় তাহলে রুবেল হোসেনকে খাওয়া । ছক্কা মেরে মেচ জিতাবে । 5. গ্রামীণ ফোন : চলো বহুদূর । বহুদূর তো যেতে চাই ভাড়া দিবা ???? 6. রবি : জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে । দিশলাই কিনে দেন ।নিজের শক্তি নাই। 7. বাংলালিংক : দিন বদলের চেষ্টায় বাংলালিংক ।আজকে দশ বছর ধরে এই কথাই শুনছি ।দেশতো বদলালো না । 8. এয়ারটেল : ভালোবাসার টানে পাশে আনে ।-- শালা মিথ্যুক । তাহলে আমি সিঙ্গেল কেন?? 9. সিটিসেল : অনেক বছর আগে বলছিল চলে যাচ্ছি নেটওয়ার্কের বাইরে । ভাই কবে আপনি নেটওয়ার্কের আওত...

একটি পূর্ণতার গল্প

মেয়েটা কখনোই ভালবাসেনি ছেলেটাকে। অবশ্য না বাসাটাই ঠিক, কি যোগ্যতা আছে। বছরের পর বছর ধরে ছেলেটা একলাই ভালবেসে গেছে মেয়েটাকে। নাহ্ পাওয়ার জন্য না। মেয়েটাকে ভালবাসতেই কেন যেন ভাল লাগে ছেলেটার... . মেয়েটার চারপাশেই বিচরণ ছিল ছেলেটার কিন্তু কথনোই মেয়েটা জানতে পারেনি। একটা ভালবাসার কাঙ্গাল অবিরত ভালবেসে গেছে তাকে... . আগামীকাল মেয়েটার বিয়ে, ছেলেটা জানে তার বিশ্বাসটা আজ ভাঙ্গতে চলেছে। ৯ টা বছর ধরে একলা ভালবেসে যাওয়া মেয়েটা আজকের পর আর কখনোই তার হবে না। না দুনিয়াতে আর না পরকালে... . ফুপিয়ে কাঁদছে ছেলেটা, নিজের ভালবাসাকে কখনোই প্রমান করতে না পারার কষ্টটা আজ সবচেয়ে বেশি পুড়াচ্ছে তাকে... . ঝাপসা চোখে আজ স্মৃতি গুলো ভেসে ভেসে উঠছে ছেলেটার সামনে। প্রথম যেদিন মেয়েটাকে ভালবাসার কথা বলেছিল , মেয়েটা অঝোরে কান্না করেছিল। তারপর যতবার মেয়েটার সামনে গিয়েছে ততবারই অযোগ্যতার দোহাই দিয়েছে... . খুব ইচ্ছে করছে ছেলেটার মরণ ঘুম ঘুমাতে। একাকিত্বের কষ্টটা আর সহ্য হচ্ছে না। কেউ নেই পৃথিবীতে তার, খুব কষ্ট। . নাহ্ ছেলেটা কিচ্ছু করেনি। ভালবাসলে পেতে হবে এমন ...

ভালোবাসা যদি সত্যি হয়..

ভালবাসা যদি সত্যি হয়,তবে নাকি প্রিয় মানুষটি দূরে চলে গেলেও ফিরে আসে ৷ সে ফিরে আসবে এই আশায় থাকা বোকা মানুষটি বালিশের কোনে মাথা রেখে বিনিদ্র রাত কাটায় ৷ বার বার মোবাইলের ইনবক্স চেক করে এই বুঝি একটা ম্যাসেজ দিলো!! পুরাতন ম্যাসেজ গুলো পড়ে আর ভাবে এই মানুষটিই কি এই ম্যাসেজ গুলো দিয়েছে!!! চাইলেই সে ম্যাসেজ গুলো ডিলিট করতে পারে ৷ কিন্তু সে চায় হ্নদয়ে আর মোবাইলে দুটোতেই সে সযতনে থাক ৷ বেশিরভাগ মানুষই ভাবে তার প্রিয় মানুষটি ফিরে আসবে!! তবে ফিরে আসার ঘটনা খুবই কম ঘটে! যে তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে সে যদি তোমাকে বুঝতো তবে ছেড়ে চলে যেত না ৷ এইসব মানুষদের বিবেক বলে কিছু থাকেনা ৷ এদের ফিজিক্স কেমিষ্ট্রির জটিল সূত্র মনে থাকে ৷ লাভ লোকসানের হিসেব মনে থাকে ৷ কিন্তু কেউ একজন তাকে প্রচন্ড ভালবেসেছিলো! সেটা মনে থাকেনা,বা রাখেও না ৷ হারিয়ে ফেলা মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়,কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না! হারিয়ে যাওয়া মানুষ খুঁজতেও নেই,থাকুক না সে তার মতো ৷ তুমিও তোমার মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নাও ৷

অজনা শিরোনাম-জাগ্রত হোন

✪✪✪ অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া পূর্ণিমাকে যখন ধর্ষণ করা হচ্ছিল, এত মানুষ দেখে পূর্নিমার মা ধর্ষকদের বলছিলো "বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, ও মরে যাবে। - ✪✪✪ আমাকে একফোটা পানি দাও,তাকে বলা হল পানির বদলে শরীরের ঘাঁম খা... ( মৃত্যু পথযাত্রী সিলেটের রাজন) - ✪✪✪ আমি বাঁচতে চাই, আমি বাঁচতে চাই যে-ভাবেই হোক আমাকে বাঁচাও। আমার দুধের সন্তানটার কি হবে?? (রাজনীতির আগুনে দগ্ধা হয়ে এভাবেই বাঁচার আকুতি চিৎকার করে জানিয়েছিলেন মৃত্যু পথযাত্রী গার্মেন্টস শ্রমিক শায়লা।) - ✪✪✪ আমার সন্তান কে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও!! আমি আর কখনো আসবোনা। তোমাদের পায়ে ধরি আমাকে ছেড়ে দাও..... (অজ্ঞান হওয়ার আগ পর্যন্ত হায়েনাদের পায়ে ধরে এভাবেই আকুতি জানিয়েছিল পহেলা বৈশাখে টিএসসির মোড়ে লাঞ্চিত বোনটি।) - ✪✪✪ ওরা আমাকে দুদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করেছিল। হাতে ধরেছি পায়ে ধরেছি কিন্তু আমাকে তারা ছাড়েনি। বারবার আমি জ্ঞান হারেয়েছি... (বুক ভরা হাহাকার নিয়ে কেঁদে কেঁদে নালিশ করছিলো মেডিকেল কলেজে পড়তে আসা কাশ্মীরের ধর্ষিতা বোনটি।) - ✪✪✪ অসভ্য ভারতীয়দের ক...

অসমাপ্ত আবেগ

<— অসমাপ্ত আবেগ —> — এই সোহান । — হুম । — শুনতে পাচ্ছিস ?? — হুম । — হুম হুম করছিস কেন ? কথা বল । — হুম বলছি তো । — আবার ! — কি হইছে বল । — কেমন আছিস ? — ভালো । — আমি কেমন আছি জানতে চাইবি না ? — হুম কেমন আছিস ? — ভালো । — কথা শুনে তো মনে হচ্ছে না । — কেন ? — এতো আস্তে আস্তে কথা বলছিস কেনো ? কি হইছে ? — কিছুনা । — বলতে না চাইলে বলার দরকার নাই । জোর করে শুনতে চাইবো না । — কোথায় তুই ? — ছাদে বসে আছি । — কি করিস ছাদে বসে ? — গান শুনছি ? — একটা গান গাইবি ? — না । — তোর কি মন খারাপ ? — কিছুটা । — কি হইছে ? — জানিনা । — একটা গান শুনবি ? — না । — তুই কি প্রেম করিস ? — না । — আমার সাথে প্রেম করবি ? — না । — আমার তোকে খুব ভালো লাগে । — তো ? — না কিছুনা । — এসব কথা আমাকে আর বলবি না । — আচ্ছা বলবো না । তুই কি রাগ করলি ? — রাগ করার মতো কিছু তো হয়নি । রাগ কেন করবো ? — আচ্ছা এখন রাখি , পরে ফোন করবো । ভালো থাকিস । ফোন কেটে দেয় তনয়া । মেয়টি মনে মনে খুব ভালবাসতো সোহানকে । অনেক সাহস করে আজ বলেছিল । কিন্তু কোন লাভ হয় নি । সোহান তাকে বন্ধু...

দিশাহীন চোখে খুজে যাই

দিশাহীন চোখে খুজে যাই... শুধু খুজে যাই কি আশায়...?? এ শহর বড় অচেনা কেউ বোঝেনা হায়... জেগে থাকে মন চেনা নামে তার কেন আর ডাকেনা আমায়... লাগেনা, ভালো লাগেনা মায়াহীন এই পৃথিবী আর... যেতে চাই, মন পেতে চাই স্নেহভরা সেই পরশ আবার... একা প্রান, তবু খুজে যায় কোথা হারিয়ে গেছে মন... ভেজা চোখ ধরে রাখে আজ শুধু অবুঝ বোবা কান্না... দিশাহীন চোখে খুজে যাই... শুধু খুজে যাই কি আশায়...?? এ শহর বড় অচেনা কেউ বোঝেনা হায়...

একটি ছেলের নাম আবির...

একটি ছেলে নাম→ আবির, গরীব ঘরের সন্তান। ওর বয়স যখন ৭ তখনি ওর বাবা রোড একসিডেন্ট করে প্রাণ হারায়। মা এর কষ্ট আর চাচা-মামা দের সহোযোগিতায় কোন রকমে সংসার চলে ওদের। খুব ভালো গান গায় & ভালো ছবিও তুলে। ওর ইচ্ছা আছে বড় হয়ে ভালো ফটোগ্রাফার হবে। তাই মায়ের কাছ থেকে অনেক আবদার করে একটা ক্যামেরা কিনে। আশেপাশে কোথাও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে আবিরকে ডাকা হয় গান গাওয়ার জন্য & এবারও তার ব্যাতিক্রম কিছু হয় নি। ঈদ উপলক্ষে ভার্সিটিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে , সেখানেও আবিরকে ডাকা হয়েছে & আবির সেখানেও গান গায় এবং আবিরের গান শুনে একটি মেয়ে ওকে ভালোবেসে ফেলে। . ধনী ঘরের এই মেয়েটির প্রস্তাবে আবির রাজী হয় না কারণ ও জানে ওই মেয়েটির সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত ক্ষমতা ওর নেই। তাই ও মেয়েটির থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে কিন্তু মেয়েটি যে ও কে অনেক ভালো বাসে ওর সব কাজেই মেয়েটি ওর পিছু লেগে থাকতো, কখন কি করছে, কি খাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে সব খবরই মেয়েটি রাখতো, আর মেয়েটির এ আকর্ষণ দেখে আবির ওর প্রতি দুর্বল হয়ে যায় এবং ভালোবেসে ফেলে। . ...

বুকের ভিতর বহু দুরের পথ...

বুকের ভিতর বহু দূরের পথ রূপার জলে, নদীর স্রোতে সোনার থালায় সকাল আসে হিলসে ঘুরি, কাঁচের চুড়ি আকাশ জোড়া, ইচ্ছে ঘুড়ি বুকের ভিতর বহু দূরের পথ কাঁশের বনে, রোদেরই রঙ্গে করিনি গল্প, ইচ্ছে মাখায় চোখেরই তারায় রবিরই কিরণ হাতের মুঠোয় নিজেরই জীবন বুকের ভিতর বহু দূরের পথ আমার রবি আমার সাথে হাত ধরেছি, রোদেরই হাতে একমুহূর্ত আর একা নয় নতুন ভোরে প্রতি দিনের জয় বুকের ভিতর বহু দূরের পথ

অজানা ভালোবাসা

কিছু অচেনা মানুষ জীবনে কিছুটা মূহুর্তের জন্যে এসে তৈরী করে দিয়ে যায় এক অজানা ভালোবাসা। তারা হয়তো হারিয়ে যাবে কিন্তু রেখে যাবে ভুলতে না পারা কিছু স্মৃতি। যা হাজার চেষ্টা করেও ভুলে যাওয়া যাবে না। তারা যেভাবে জিবনে হঠাৎ করে এসে, জীবনটাকে পূর্ন করে দেয়!! ঠিক তেমনি আবার ফাকা করে চলে যায়......... সত্যিই এই আসা যাওয়া গুলো অত্যন্ত বেদনাদায়ক ।

__পাওয়া না পাওয়ার হিসাব__

ঈদের দিন সন্ধ্যা বেলায় কয়েকটা ফ্রেন্ড আমি নদীর পাশে একটা উঁচু ডিবিতে বসে আছি..! সারাদিন অনেক হয়রানি হল। নামাজ,খাওয়া দাওয়া, আব্বু আম্মুর সাথে সময় কাটানো সব মিলে ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই গেল ঈদের দিন..! . ঈদের সময় আর যা হোক খাওয়া দাওয়াটা হয় সেইরকম..! ফ্রেন্ড গুলো সহ বাজি ধরলাম এক নিঃশ্বাসে একটা স্পীড শেষ করতে হবে। খুব সহজ ভাবছিলাম..! কিন্তু হারে হারে টের পাইছিলাম অবশ্য জিতে গেছিলাম! . নদীর উপরে একটা বেইলী সেঁতু, ঈদ উপলক্ষে অনেক টা লাইটিং করছে..! এই ডিবিটা থেকে অনেক সুন্দর লাগতেছে...! আর আমরা সবাই এক গলায় তাহসানের গান বলতেছি....! কেউ বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতেছে...! . আমার এক ফ্রেন্ড কথা বলতেছিল... . আর এক শয়তান ফ্রেন্ড গিয়ে বলল..... . -- দোস্ত কয় নম্বর এটা..! . কথাটা শুনল... ফোনের বিপরীতে থাকা মেয়েটা..! . . এই লেগে গেল তাদের ঝগড়া, এরা যে ক্যান রিলেশন করে যদি একে অপরের প্রতি বিশ্বাসেই না থাকে..! . . রাব্বি :- দুস্ত দিনটাই খারাপ গেল? . আমি :- ক্যান রে..? . -- আরে শালার বাপের একটা এপাচি থাকত, গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘুরত...

কাউকে কাঁদানো..

কাউকে কাঁদানোটা কঠিন কিছুনা, কিন্তু যাকে কাঁদালেন তাকে ফিরে পাওয়া অনেক কঠিন, কারন কষ্ট মানুষকে অনেক কঠিন করে তুলে, সেইদিন শত চেষ্টা করলেও আপনি তাকে ফিরে পাবেন না, আর না পাওয়ার কষ্টে আপনিও কাঁদবেন, আর সেইটাই হবে আপনার কঠিন শাস্তি...

ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয়

চোখেতে অনেক ছবি ভালো লাগে আপন করে পেতে স্বাদ যে জাগে তবু ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় রংধনু রং শুধু প্রাণেতে ঝরে উদাসী মনকে বিভোর করে তবু ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় হয়ত আমার কথা সুন্দর হয়ত আমার গান মিষ্টি হয়ত আমার প্রেম নির্ঝর যাদু ভরা দু চোখের দৃষ্টি হৃদয়ের ভাষা বোঝা বড় দায় ভুল করে অনেকেই প্রেমে পড়ে যায় তবু ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় ওগো যে মন একটি স্বপ্নকে ভালোবেসে এগিয়ে চলে সে তো ভাবাবেসে ফুলতো ফুটবেই বাগানে ছুঁটে ছুঁটে আসবেই অলি যখনই জ্বলবে দ্বীপ আধাঁরে যাবেতো পতঙ্গ জলি যদিও ঐ কথা মিথ্যে নয় ভালোলাগা শেষে ভালোবাসা হয় তবু ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় চোখেতে অনেক ছবি ভালো লাগে আপন করে পেতে স্বাদ যে জাগে তবু ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয় ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয

বাস্তবতার কিছু নিদর্শন

পোষা বিড়াল হারিয়ে কিংবা জ্বরের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মেয়েটা যখন মুঠোফোনে ছেলেটার গলায় ভালোবাসি শব্দ শুনতে চায়। ছেলেটা হয়তো ব্যস্ত বিকেলের ক্রিকেট খেলায়। তবু, দুজনই পাশে বসে ভুলে যায় সময়ের কাঁটার হিসেব। মেয়েটা খুব আশা করেছিলো, কান্না করলে ছেলেটার বুকে সে চোখের জল লুকোতে পারবে। কিন্তু ছেলেটা এতটা বিস্মিত ছিলো সে চুপ করে বসে ছিলো। তবু ফেরার বেলায়, রিকশায় বসা চশমা পরা মেয়েটার চুল গুলো এলোমেলো ভাবে এসে ছেলেটার মুখে পড়েছিলো। ভালোবাসার গভীরতায় ভেতরের রাগ কর্পূরের মত ঊড়ে গিয়ে ভালোবাসারা অবাধ্য চুলের মতই জীবন্ত থাকে। প্রচন্ড কষ্ট পাওয়ার পরও হয়তো মেয়েটা বলেঃ চাইলেই আজ আমি সব শেষ করতে পারতাম, শেষ হতে পারতো আমাদের গল্প। আবার সেই মেয়েটাই হয়তো ছোট্ট একটা ব্যাপারা নিয়ে অনেক কান্না করে। খুব চায় কেউ একজন হাত ধরে থাকুক। খুব ইচ্ছে করা সত্ত্বেও মুখে হাসি ঝুলিয়ে মেয়েটা চুপ থাকে। কিছু মূহুর্তে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, নিতে পারে না সঠিক পদক্ষেপ।কারন, ছেলেটাও একসময় কাঁদতো। ছাদের কোনে কবুতরের ঝাকের জন্য ধান ছড়িয়ে দিয়ে সেও ভাবতো কাউকে।...

_____মহাকাব্য____

মমতাময়ী কোমল স্পর্শ , , ভালোবাসি আমি আকাশ দেখতে, আরো ভালোবাসি, ভালোবাসার কাউকে পুরোটা চোখ মেলে আকাশ দেখাতে । আর সে মন ভরে আকাশ দেখছে, পাশে আছি আমি । তার মাথাটা আমার বুকে । একটা পা সোজা আর একটা খানিকটা বাঁকানো । শুকনো নরম ঘাসের উপর শুয়ে যেন সে আকাশ দেখছে । তার মাথা টা যেন আমার হাত কে আকর্ষন করছে । বারবার আমার হাত তার মাথাটা বুলিয়ে দিতে ছুটে যাচ্ছে -সে তার মোটা কাজল লাগানো চোখ দুটো যতবারই মেলছে, আমার হ্রদয়ে যেন ফাগুনের মাতাল হাওয়া বইছে । তার সেই গোলাপি ঠোঁটের বেলকুনিতে যেন দেখছি আমি আমার মমতাময়ী কোমল স্পর্শ । সন্ধ্যে হয়েছে । সে যেন আঙ্গুল দিয়ে আমাকে চাঁদের পাশের জ্বলজ্বল করা তারা টা দেখিয়ে দিচ্ছে । দুষ্টু আমি ইচ্ছেকৃত না দেখার ভান করে বারবার তার কাছে দেখিয়ে নিচ্ছি । সে আমাকে চাঁদের ভেতরে ওই বুড়িটাকে দেখিয়ে দিচ্ছে । কোমল গাঢ় সবুজ ঘাস যেন শুষে নিচ্ছে আমাদের সকল মান অভিমান আর আমাদের দেখাচ্ছে জিবণের কুসুমার্তির্ণ মুহূর্ত গুলো । যেন আমি আমার স্বপ্নের রাজকন্যা কে পৃথিবীর সৌন্দর্য্য দেখাচ্ছি, হয়তো সে ভাবছে তার স্বপ্নের বীরপুরুষ টা কোমল মমতাময...

পুরনো স্বপ্ন...

পুরনো হয়ে গেছে আমার স্বপ্ন গুলো……… তুমিও বদলে গেছো নেই আর আগের মত……… শুধু আমিই রয়ে গেলাম সেই আগের মত……… যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি……… হয়তো এভাবেই থাকবো...।।।

কেবলই শূন্যতা

তুমি আমার দীর্ঘশ্বাস! কাগজের কতো পৃষ্ঠা ছিড়ে, মুঠো করে দলা পাকিয়েছি, ছুড়ে ফেলেছি বারান্দার ঝুড়িটায়.... তোমার আগমনের অপেক্ষায়, হ্যা, কেবল তোমার অপেক্ষায়.....। তুমি আমার হতাশা! তোমাকে না পাওয়ার বেদনায় আমি নীল হয়ে শয্যাগত হয়েছি, রাজ্যের যতো দুর্ভাবনা এই মস্তকে পেতে নিয়েছি শুধুই তোমার কারণে। তুমি আমার অপমান....! তোমায় লিখে শেষ করেছি কতশত কাগজের পাতা, মাস ফুরোবার আগেই হাত পেতেছি বাবার কাছে! বাবার সপ্রশ্ন দৃষ্টি আমার মাথা হেট করে দিয়েছিলো, আর আজ তুমি নেই নেই কোনো হতাশা নেই কোনো অপমান। নেই কোনো দীর্ঘশ্বাস আছে শুধু শূন্যতা কেবলই শূন্যতা

সাহায্যের প্রতিদান

যে আপনাকে সাহায্য করে তাকে ধন্যবাদ দেয়ার চেয়ে তার প্রতি সেই কৃতজ্ঞতা সারাজীবন নিজের মধ্যে ধারন করাটা সবচেয়ে জরুরী জিনিস। তার সুন্দর, সুখী ও সাফল্যমণ্ডিত ভবিষ্যতের জন্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে অন্তর থেকে প্রার্থনা করা সবচেয়ে বড় প্রতিদান।

আমাদের মেইন রোড

আমাদের মেইন রোড , চলে বাঁকে বাঁকে ,,, বৃষ্টির কালে তার হাঁটুজল থাকে । পার হয়ে যায় শিশু , পার হয় নারী ,,, দুই ধার ভাঙা তার , উল্টায় গাড়ি থইথই পানি আর , সবখানে কাদা ,, রাজপথে সে তো যেন , গোলকের ধাঁধা । কেউ কেউ জল পেয়ে , হয়ে ওঠে 'ডাক' ,,, কোন কাজে আসে না তো , আ... ট্রাফিকের হাঁক ।।।

মৃত্যু স্বাদ

কোন এক কাঁক ডাকা সোনালী ভোরে,কিংবা ঝাঝালো রৌদ্রতাপের দুপুরে কিংবা নিস্তেজ সূর্যের রক্তিম আভা ছড়ানো পড়ন্ত বিকেলে,কিংবা কোন এক মায়াবী জোসনা রাতে বা পাতা ঝরা শীতের দিনে,কিংবা বসন্তের নব সাজে অথবা কোন এক কদম ফোটা বর্ষাস্নাত দিনে দপ করে নিভে যাবে জীবনের বাতিটা। পৃথিবীর আলোটা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসবে। বুকের ছন্দ তোলা ধুকধুকানি আওয়াজটা চির নীরব হয়ে যাবে। শরীরটা শীতল হয়ে নীরব নিশ্চল হয়ে কোন এক সোনালী খাটিয়া সাদা কাফনে মোড়া থাকবে। জীবন নামক গাড়িটা থেমে যাবে,চোখদুটি গভীর ঘুমে আছন্ন । না ফেরার দেশে পাড়ি দিতে হবে সে দেশ,সে রাজ্য অন্ধকারের রাজ্য। বাতাস তরঙ্গারে দিকে দিকে কান্নার ভয়ংকর ক্ষীন আওয়াজ তুলবে। একসময় কান্না থেমে যাবে অতঃপর বাস্তব জীবনের গহীনে আমার রেখে যাওয়া স্মৃতির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে কালের অতল গহব্বরে। কিছু স্মরনীয় স্মৃতি ও আমার অনুপস্থিতিতে প্রিয় মানুষের অশ্রুটায় একফোটা টলমলে অশ্রুর জন্ম দিবে, কিংবা হয়ত দিবে না॥ এটাই বাস্তবতা আর কাওর এই বাস্তব চক্রের বাইরে যাওয়ার সাধ্য নেই। কারন ""প্রত্যেক প্রানীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন ...

অন্য রকম ইফতারি

গাজীপুর চৌরাস্তায় বাস থামলো ইফতারের জন্য। বাস থেকে নেমেই দেখলাম সব দোকানিরা ডেকে ডেকে বলছে, এই যে ভাই, সব গরম গরম, খালি পাঁচ টাকা পিস। আমি একটা জুসের বোতল হাতে ঘুরছি। কি কিনবো কিছুই বুঝতে পারছি না। কিছু কেনার আগেই আজান পড়ে গেলো। মুহূর্তেই পালটে গেলো সব ব্যবসায়ী মানুষগুলো। এক ইফতার ব্যবসায়ী ডাকাডাকি বন্ধ করে কিছু বুট মুড়ি মাখছে আর বলছে, ভাই যারা যারা এখনো কিছু কিনতে পারেন নাই তারা এখান থেকে খাওয়া শুরু করে দিন। অথচ এই লোকটাই দুই মিনিট আগে একটা বেগুনিও কাউকে ফ্রি দেয়নি! লেবুর শরবত বিক্রেতা ছেলেটাও ডেকে ডেকে বলছে, রোজাদার ভাইয়েরা এখান থেকে ঠান্ডা পানি খান, টেকা লাগবো না। আমি অবাক হয়ে সব দেখছি। এর মধ্যে আমার পিঠে হাত দিয়ে একজন বললো, - ভাই খাইছেন কিছু? আমি থতমত খেয়ে বললাম, - এই তো ভাই জুস খাচ্ছি। - আরে ভাই মুড়ি মাখানো আছে, খালি গিলেন, ওই ভাইরে ঠাণ্ডা পানি দে। - দোকানের লোক কে ভাই? - আরে ভাই খান তো। দোকানের লোক আমিই। জোর করে আমাকে ইফতারে বসিয়ে তিনি আরো মানুষকে ডাকতে চলে গেলেন। একটা একটা দূরপাল্লার বাস এসে থামছে। যাত্রীরা বাস থেকে নামা মাত্...

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের যে কথাটা সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়, বিশেষ করে পরিবার থেকে যে কথাটা দিনে অন্ততপক্ষে ১৪০০ বার শুনতে হয়, সেটি হচ্ছে, “একটু কষ্ট করে চল বাবা। একদিন অনেক সুখ শান্তি করতে পারবি।" যখনই কোন প্রয়োজনীয় জিনিস লাগে, -আব্বু আমার একটা প্যান্ট লাগবে -আব্বু শার্টটা ছিড়ে গেছে -আব্বু জুতা তো আর পড়া যাচ্ছে না - আম্মু আমার কাছে কোন টাকা নাই। ১০ টাকা দিতে পারবা? .....................ইত্যাদি ইত্যাদি। সবগুলো কথার জবাব ওই একটাই, একটু কষ্ট করে চল। কষ্ট করতে করতে ছেলেটা একসময় মোটামুটি ভাবে একটা চাকরিতে জয়েন করে। নিজে কিছু টাকা জমানো শুরু করে। এরপরই পরিবার থেকে দায়িত্বের স্রোত টানতে শুরু করে, “বাবা তোর ছোট বোনটা তো বড় হইছে। ওরে এখন বিয়ে দেয়া দরকার। এইসময় তুই যদি একটু সাহায্য না করিস তো কে করবে? " কর্তব্যের দিক বিচার করে একরকম বাধ্য হয়েই জমানো সামান্যতম টাকাটাও খরচ করতে হয়। বোনের বিয়ে হলে এরপর নিজের বিয়ে। নিজেও মোটামুটি সেইম কোয়ালিটিরই একটা মেয়ে বিয়ে করে। অতঃপর শুরু হয় তার নিজস্ব জীবন। নিজের পরিবার নিয়ে ...

দুঃস্বপ্ন

 রাত জাগা পাখি আমি,তবে তোমরা আমায় নিশাচর প্রানীদের সাথেও তুলনা করতে পারো। রাত আর চাদ তারার সাথে আমার বন্ধুত্ব অনেক আগে থেকেই... চাদের সাথে দিয়েছি আড়ি তবুও তাকে ভিশন মিস করি..তারার খুব কাছের বন্ধু হতে চাই কিন্তু সে তো অনেক দুরে..পারব কি যেতে তার নিকটে? আমার এসব লেখা গুলো শুধু কল্পনাতেই ঠাই পাবে, বাস্তবতাতে আমার কল্পনা গুলো আমার মতোই অযৌক্তিক ভাবে অবহেলিত হবে..।আর স্বপ্ন সেটা আমার জন্য নয়।আমার স্বপ্ন নেই আছে শুধুই দুঃস্বপ্ন,তাই শুধু কল্পনা নিয়েই থাকতে আমায়....আমায় যদি এখন প্রশ্ন করো স্বপ্ন আর কল্পনা কি? তবে আমি বলব'কল্পনা হলো ইচ্ছাই শখটাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিজের মনের কাছে উপস্থাপন করা আর যেটা কোনোদিন বাস্তবে সম্ভব নয় তাই কল্পনা সারাজীবন শুধুই কল্পনাই থেকে যায়।আর স্বপ্ন হলো মানুষকে ঘুমের ঘোরে আশা দেখানো, কোনো কিছু পাওয়ার আকাঙ্খাকে ও স্বপ্ন বলা যেতে পারে। আর সেটা বাস্তবে রুপান্তর হতে পারে,স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে কষ্ট হয়। আমার কোনো ইচ্ছা আকাঙ্খা নেই থাকলেও তা মূল্যহীন,আমার ইচ্ছা আকাঙ্খা গুলো এতোটাই মূল্যহীন যে আমার স্বপ্নে তার স্থান হয় না তাই স্বপ্নও দেখি না। তাই আমি ...

লুল!!!!

কোন মেয়ের উপর প্রচন্ড রাগ? যে কোন কারণেই হোক তার উপর রাগ মেটাতে চান? কিংবা ছ্যাঁকা দিয়ে চলে গেছে বলে প্রচন্ড ক্রোধ? মেয়েটার উপর তাই প্রতিশোধ নিতে চান? কিংবা কিভাবে মেয়েটাকে স্তব্ধ করে দেয়া যায় সেটা চিন্তা করেও খুঁজে পাচ্ছেন না? কিংবা একটা মেয়ে আপনার অনেক বড়ো শত্রু। তাকে কাবু করতে চান? আমি আপনাকে একটা উপায় বলে দিচ্ছি প্রতিশোধ নেয়ার মেয়েটার বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনি দাওয়াত পাবেন না এটা জানাশোনা কথা। কাজেই ঐটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। বিয়ের দিন সুন্দর ড্রেস আপ গেট আপ ভাবসাব নিয়ে বিয়েতে চলে যান। সাথে আপনার বন্ধুসমাজ কেও সুন্দর গেট আপ নিয়ে চলে যান। একটা বিয়ে ফাও খেতে পারছে এটা জানলেই তারা আপনার পেছন পেছন যাবে! বিয়েতে গিয়েই সেই মেয়েটিক যে আপনাকে দু চোখে দেখতে পারে না ।কিংবা আপনি তাকে দুচোখে দেখতে পারেন না। তার কাছে গিয়ে বলুন -আরে দোস্ত কি অবস্থা! ধুপ করে বিয়ে করে ফেলছিস অথচ জানালি না! আমি কিছু মনে করি নি। যাইহোক নিজ দায়িত্বেই তোর বিয়েতে আসলাম। বন্ধু বলে কথা! হা হা মেয়েটার চোখ মুখ সঙ্গে সঙ্গে কালো হয়ে যাবে। কিন্তু ক...

সবার ভাগ্যে সব কিছু জোটে না...

মাঝে মাঝে চোখের সামনে থেকে কিছু কিছু জিনিসের চলে যাওয়া দেখতে হয়......... সবার ভাগ্যে সবকিছু জোটে না ... সব স্বপ্ন সত্যি হয় না ... কোন কোন স্বপ্ন সাধ্যের বাইরে থাকে ... সাধ্যের বাইরের স্বপ্ন আর চাওয়া কে চলে যেতে দিতে হয় ... ধরতে গেলে বিপদ হয় .. !! কষ্ট লাগে ... ভীষণ কষ্ট ... যে হাত গোলাপের কাঁটার যন্ত্রণা সইতে পারবে না, সেই হাত দিয়ে গোলাপ স্পর্শ না করাই ভালো !! না পেলে কষ্ট হয় কিন্তু পেয়ে হারালে ক্ষত তৈরি হয় কষ্ট আস্তে আস্তে কমে যায়, দূর হয়ে যায় ক্ষত কখনো কমে না, চলে যায় না দাগ রেখে যায় সেই দাগ, বারবার মনে করিয়ে দেয় সবকিছু ... তীব্র কষ্ট চিড় দিয়ে ওঠে যখন তখন ... এড়ানো যায় না, পালানো যায় না ! লেখক:কল্পনা বিলাসী

বাঁশ খেলাম

বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সি এন জি তে বসে আছি। বহুত কষ্টে সি এন জি টা ম্যানেজ হয়েছে। অবশ্য সি এন জি ম্যানেজ হয়েছে সুন্দরী একটি মেয়ের সুবাদে। মনোরম পরিবেশে পিচ ঢালা পথে এগিয়ে যাচ্ছে সি এন জি। পাশের সিটে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। কথা বলার লোভ সামলাতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম- "কোথায় যাবেন আপু?" মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বলল -"টাংগাইল যাবো" তাহার হাসি দেখেই আমার ফাসি কার্যকর হয়ে গেল। দিলের মাঝে ধাক ধাক আওয়াজ করল। কথা চালিয়ে গেলাম.-"আপনার নাম ই তো জানা হল না। কিসে পড়েন তাও জানি না।" মেয়েটি তার হাসি অব্যাহত রেখে বলল-"আমি রুপা। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে সাইন্স এ পড়ি।" জাহিদ নাম টা মনে মনে আকিকা দিলাম। নিজেকে হিমু ভাবতে শুরু করলাম। হিমু হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে আর আমি হলুদ টি শার্ট পড়ে আছি। ব্যাপার না হলুদ ই তো টুকটাক কথা বলতে বলতে গন্তব্যে পৌছে গেলাম। বুকে সাহস সঞ্চয় করে ফোন নাম্বার চাইলাম। সে বলল-"আপনি অনেক মজার মানুষ। নাম্বার দেওয়া যায়। এই নিন নাম্বার ০১৭২৩......." বুঝলাম না ঈদ শেষ হয়ে গেছে অনেক দিন আগে কিন্...

মেঘ আর আবেগ....

পৃথিবীতে মেঘ আর আবেগের ভিতর অনেক মিল...... মেঘের পরিমান বেশি হলে বৃষ্টি হয়ে ঝরে আর আবেগের পরিমান বেশি হলে অশ্রু হয়ে ঝরে...!☆! but... মেঘের জীবন থেকে বৃষ্টি ঝরে যাওয়ার কষ্ট কেউ বুঝতে পারে না... আর আবেগে ঝরে যাওয়া অশ্রুর মূল্য কেউ দিতে পারে না........!!!

হারিয়ে যাওয়া শিরোনাম...

।" মাঝে মাঝে আমার খুব হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে ..একা থাকতে ইচ্ছে করে , পালাতে ইচ্ছে করে সবকিছু ছেড়ে , ভেসে যেতে ইচ্ছে করে পূর্নিমার ঐ স্রোতে . মাঝেমধ্যে পৃথিবী ছেড়েও হয়ত । যেখানে নেই কোন পরিচিত মুখ ,নেই বাধা বিপত্তি কিংবা দায়িত্ববোধ ।আমি আর শুধু আমি । সেই চিরচেনা পৃথিবীতে ,অথচ পৃথিবীর বাইরে , অন্যভুবনে । কেননা এতগুলো মানুষের ভীড়েও জমে থাকা অনেক কথা বলার মত মনের মানুষ চারপাশের কোথাও খুঁজে পাই না । শুধুই নিসঙ্গতা...... কিছু করার নেই , কিছু পড়ার নেই , কিছু শোনার নেই ,কিছুই দেখার নেই ,ভীষন অস্বস্তিকর অনভুতি, পৃথিবীটাকে আমার কাছে ভেঙ্গে যাওয়া কাচের মত মনে হয়, সম্পর্কগুলোও যেন জীর্ন শীর্ন সেতুটির মত নড়বরে, জীবনটাকে মনে হয় সকালের খেলাছলে বানানো তাসের ঘর, যে বিকালের বাতাসে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। ..ভাবনাগুলো প্রায়ই এমন এলোমেলো ,ভাবি যেন আমি হারিয়ে যাচ্ছি দূরে কোথাও, অনেক দূরে । আসলে বোধহয় কিছু কিছু সময়ের সঠিক অর্থ প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া না । আজকাল এত্তোসব অনর্থক কাজে ব্যস্ত থাকি জীবনের বাস্তব অর্থটাই হারিয়ে যেতে বসেছে ।কিন্তু আমি জানি ...

অঝোর বর্ষায় তোমায় ফিরে পাওয়া.

বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির উদ্মাদনায় প্রকৃতি আজ প্রমত্ত!!! এই অঝোর বৃষ্টিসিক্ত সন্ধায়, জানালার পাশে বসে অবাক চোখে, বৃষ্টি দেখছে নীল...... বাইরের বৃষ্টির, উদ্মাদনা দেখতে দেখতে, কখন যে নীলের মনের কোণে জমে থাকা মেঘ হতে, নিজের অজান্তেই নীলের চোখে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছে, কেউ তা খেয়াল করেনি.......... হঠাৎ, ফোনের শব্দে চমকে উঠে নীল..... নীরার ফোন..... প্রবল অনিচ্ছা থাকা সত্বেও, কলটা রিসিভ করে সে..... :::- কিরে গাধা!!! কি করিস!!! :-- কিছুনা, তুই এই সময়ে ফোন দিলি যে (গলার স্বর যতটা সম্ভব স্বভাবিক করে উত্তর দেয় সে) :::- তুই আবারও গাধার মত কাঁদছিস!! (কান্নাভেজা গলাটা ধরতে একদম ভুল হয়নি) :-- তোরে না কতবার মানা করছি, বৃষ্টির সময় আমাকে কল দিবি না!!! ::;- বেশ করছি, কল দিসি, এখন কান্না থামা, একটা কষ্টের জন্য আর কত কাঁদবি!!! :-- যতবার ইচ্ছা!! তাতে তোর কি?? আমি রাখছি....... বলেই ফোনটা কেটে দেয় নীল.... আজ তার নিজেকে বড্ড একা মনে হচ্ছে, দুইবছর আগে, শ্রাবণের এমন একটা দিনেই, শ্রুতিকে হারায় সে..... নীলকে বড্ড ভালবাসত শ্রুতি.... আর নীলও.... ওদের নিস্পাপ ভালব...

___শেষ কান্না__

সব কিছু বদলে গেল এক রাতে নিমিষেই,,, কিন্তু সে হারিয়ে যাবে বলেছিলে কবে,,, আজ তোমায় হারিয়ে আমি একা এই রাতে,,, ভাবনা তে তোমাকে খুজেছি কি তবে,,, ভাবি তুমি আসবে ফিরে,,, ধরবে হাত গুলো বলবে তুমি কেদোনা ফিরে এসেছি এই দেখো,,, ও হো আর বলবে কেদোনা তুমি,,,এই বারি তো শেষ কান্না বসে আছি আমি তোমার জন্যে,,,আ হা অাসোনা ফিরে আসোনা,, অা হা ফিরে অাসোনা।। ফিরে এসেছি ভালোবেসে তোমায় আমি প্রতিটিবার,,,সব ব্যাথা ভুলে সব কষ্ট ফেলে,,,এসেছি আমি তোমার কাছে,,,তবু তুমি নেই আর আজ আমার পাশে,,,হারিয়ে গেছো তুমি বহু দূরে,,,ভাবি তুমি আসবে ফিরে,,,ধরবে হাত গুলো বলবে তুমি কেদোনা ফিরে এসেছি এই দেখো,,, ও আর বলবে কেদোনা তুমি,,,এই বারি তো শেষ কান্না বসে আছি আমি তোমার জন্যে,,,আ হা অাসোনা ফিরে অাসোনা,,,অা হা অাসোনা ফিরে অাসোনা।।

ধরতে গেলাম প্রজাতি....

ধরতে গেলাম প্রজাপতি হারিয়ে গেলাম বনে , একজন কে ভালবেসে কষ্ট পেলাম মনে. নষ্ট হল জীবন, কষ্ট পেল মন . কষ্টগুলো বুকের ভিতর কাঁদে সারাক্ষন.....

---------অপূর্নতা--------

চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে আছি।দূর থেকে ট্রেন আসার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল।অনিচ্ছা শত্বেও রিসিভ করলাম -ওই কুত্তা কই তুই? ওই তুই ট্রেন রাস্তায় এত রাতে কি করছিস।মরার জন্য যাস নাই তো? (আফসানা) -(কোমনে যে বুইঝা ফালাইলো) কি যে কস তুই।মরবো ক্যান। কয়েকটা ফ্রেরেন্ডের সাথে ঘুরতে আসছিলাম। -ভাল হয়ছে।এখন রাস্তা থেকে সর না হলে সকালে তোর বডিটা আলুভত্তা মার্কা অবস্হায় পাওয়া যাবে। -(হাই হাই আর এতটু হইলেই তো ট্রেনটা আমার উপর দিয়ে চইলা যাইত।যাক বাচছি।) ওই কুত্তি আমি কি মরার জন্য আসছি নাকি যে সুইসাইড করবো। তা হটাত আমাকে এত রাতে ফোন করার কারন? -ক্যান অন্য মেয়ে ফোন দেওয়ার কথা ছিল? -না।আপনি তো অল টাইমই মিস কল দেন।আজ হটাত ডাইরেক্ট কল দিলেন তো তাই বললাম।নিশ্চই কোন বিশাল ব্যাপার ট্যাপার আছে? -তোরে কি আমি স্বাদে আর কুত্তা বলি।তুই জীকনেও ভাল হবি না। তুই এখুনি আমার বাসার সামনে চলে আয়। -ক্যান? এখন পারবো না।ফ্রেন্ডের সাথে আছি।তোর বয়ফ্রেন্ড রে ডাক না? -ও আসলে কি আর তোরে কইতাম কুত্তা।যদি না আসিস তবে তোরে কাল পুকুরের জলে চুবামু কইলাম। রাখলাম আমি। ডেনজারাস...

আমার বন্ধাবী অণু

অনু আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী।ফেসবুকের মাধ্যেমে ওর সাথে আমার পরিচয়।আমি মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাই না কারন বেশির ভাগ মেয়ে আইডি গুলো ফেইক হয়ে থাকে তবুও অনেক ভেবে-চিন্তে একটা মেয়ে আইডিতে রিকুয়েস্ট পাঠালাম কিন্তু তিনদিন হয়ে গেল তবু একসেপ্ট করল তাই মেজাজটা একটু খারাপ হয়ে গেল।কয়েক ঘন্টা পর দেখি সে একসেপ্ট করছে, একটু খুশিই হলাম।মেয়েটার প্রফাইল দেখছি,কিন্তু এতো ঘটাঘটির পরেও মেয়েটা কোন পিক খুজে পেলাম না তার আইডিতে,মনে মনে ভাবলাম একেই আমার বন্ধু বানাবোই।মেয়েদের একটা খারাপ অভ্যাস আছে তাদের মেসেজ দিলে রিপ্লে করতে চায় না,মানে একটু এক্সটা ভাব দেখায়।তাই আমি ওকে চমকে দেওয়ার জন্য প্রথম মেসেজ দিলাম কিরে অনু, দোস্ত কেমন আছিস?ওমা!দেখি মেয়েটা সাথে রিপ্লেই করল আর বলল ভালো আছি তুই কে?দুঃখিত আপনি কে?আমি আমার পরিচয় দিলাম এই ভাবে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল।ফেসবুকে অনুর কোনোই ছবি দেওয়া ছিল না তাই আমি  ওকে কোনোদিন দেখিনি কিন্তু ও আমাকে দেখেছে, আমার ছবি ফেসবুকে আছে,আমি কোনোদিন ওর কাছ থেকে ওর ছবি দেখতে চাইনি আর প্রয়োজন মনে করি নি।ও যেইদিন ইচ্ছা করে ওর ছবি আমায় দেখাবে সেইদিনই দ...

ভূত FM by চায়না মোবাইল

ভূত FM হান্টেড বাই চায়না মোবাইলঃ রাস্কেল ভাই, আমি সরাসরি ঘটনায় চলে যাচ্ছি । ইটস সো উইয়ার্দ । ঘটনাটি ঘটে ক্লাস সিক্সে । স্কুল ছুটিরপর এক মেয়ের সাথে প্রায়ই কথা হত । মেয়েটি একদিন বলল,- তোমার মোবাইল আছে?- নাই ।- একটা কিনে ফেল তাড়াতাড়ি ।আমরা রাতজেগে মোবাইলে কথা বলব । আমি সেদিনই বাসায়গিয়ে আব্বাকে বললাম,- আব্বা মোবাইল লাগবে ।- কি করবি?- আমার ক্লাসের একবান্ধবী বলেছে সে নাকি রাত জেগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলবে ।- মানে প্রেম করবি? অকে । কালই তোকে মোবাইল কিনে দিচ্ছি ।পরেরদিন বাপজান মোবাইলকিনে দিল ।আমি প্রথমেই সেই বান্ধবীকে কলকরে জানিয়ে দিলাম মোবাইলকিনেছি ।রাত দুটায় মেয়েটিকে আমি কলদিলাম ।এরপর ঘটে আসল ঘটনা । যা আমি আজওভুলতে পারি না ।কথা বলতে বলতে একসময় মোবাইলকেটে গেল । আমি ভয়পেয়ে গেলাম!এ কিসের আলামত? কল কেটে গেলকেন?আমি বান্ধবীর নাম্বারে আবার কলদিলাম। এক মাইয়ার কন্ঠ শুনতে পেলাম ।তবে কন্ঠটা বান্ধবীর ছিল না ।সে বলল, আপনার মোবাইলে পর্যাপ্তব্যালেন্স নেই । অনুগ্রহপূর্বক রিচার্জকরুন । আমার অবস্থা তখন কাহিল । ভয়ে ঘামতে শুরু করলাম । ব্যালেন্সনাই মা...

কষ্ট খোর মানুষ……

আজ রাতে না খেয়ে থাকা মানুষ যদি কাল সকালের কাজের জন্য প্রিপায়ার্ড হয় তাহলে বুঝবেন মানুষটা কষ্টখোর । না খেয়ে থাকা মানুষগুলো চট করে কষ্ট গিলে খেতে পারে ... . শব্দহীন ভাবে প্রতিরাতে কষ্ট খেয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে ঘুমিয়ে যাবে । . মাথার উপর আগুনের ফুলকি ঝরে পড়বে ... তারপরও দেখবেন মানুষগুলো মানুষের সাজে সেজে কাজের জন্য বের হয়ে গেছে । . কষ্ট চেপে রাখার র্ধৈয্য ! ! ! . কতোটুকু র্ধৈয্য পেলে মানুষ কষ্ট চেপে রাখতে পছন্দ করে ? . কষ্টের ঝুরিতে প্রতিদিন একটা সাদা কাগজে কষ্ট জমিয়ে রাখার সাহস কয় জনের আছে ? . চট করে চোখের কোনায় পানি টলমল করার পরও কোন ফাকে চোখ মুছে সবার সাথে তাল মিলিয়ে হাসবে । আপনার খেয়ালের অগোচরে ঘটে যাবে সবকিছু ... . স্বপ্ন হারিয়ে একটা পরিবারকে জড়িয়ে আগলে রাখার চেষ্টায় ঘুম হারিয়ে যাবে । প্রতিদিন রাতে বারান্দায় দাড়িয়ে কালকের স্বপ্ন নিয়ে ভাববে । . কষ্ট চেপে হাসা , কষ্টের ভার কতোটুকু বাড়িয়ে দেয় ? . আমার সাথে একবার এক মানুষের সাথে দেখা হয়েছিলো । প্রতিদিন রাত দুইটার দিকে মানুষটা বাসার সাদে বসে চেয়ারে গা হেলিয়ে কাদে ... ...

হায়রে জীবন আর তার কঠিনতম বাস্তবতা....

হায় রে জীবন আর জীবনের সেই কঠিনতম বাস্তবতা...। আমাদের সামনে কষ্টে কেউ কেঁদে ফেললে হয়ত আমরা কেঁদে ফেলা মানুষটার জন্য মায়া বোধ করি,আর বেশি আবেগি হলে কিছু কথা বলে সান্তনা দেই এতটুকুতেই শেষ..পরবর্তীতে কখনো ঐ ব্যক্তির হাসি মুখ দেখলে একটু স্বস্তিবোধ করি আর মিথ্যা ধরণা পোষন করি নিজেদের মনে ভাবি ঐ ব্যক্তিতার দুঃখ কষ্ট শেষ সুখে আছে সে.. কিন্তু কষ্ট পাওয়া সেই ব্যক্তি ক্ষণিকের জন্য হাসি মুখ দেখাতে পারলেও পরবর্তীতে সে কষ্টেই থাকে..। আমরা পারি না ঐ কষ্ট থাকা ব্যক্তিটির চোখে পানি মুছে দিতে, পারি না ঐ ব্যক্তিটির চোখে ঐ ব্যক্তির হাত দিয়েই মুছাতে, শুধু বলি চোখের পানি মুছো সব ঠিক হইয়া যাবে কিন্তু সেই কষ্টে সিক্ত অশ্রুজল মোছা আর হয়না পড়তে পড়তে এক সময় শরীর সাথে শুকনো দাগ কেটে শুকিয়ে যায়।সেই সময় আমাদের কিছুই করার থাকে কিন্তু আবার অনেক কিছুই করার থাকে যা আমরা করতে পারি না।দুঃখে কষ্টে অশ্রুসিক্ত ব্যক্তি নিজের একটা সাপোর্ট চায় সেই কষ্টকে অতিক্রম করার জন্য কিন্তু তাকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউই থাকে না বা পায় না।কষ্টের আঘাতে জর্জরিত হয়ে সে হয়ে যায় অনেক ক্লান্ত আর...

ভালোবাসাটা ছিল অবুজ

নিরবের মোবাইল বেজে যাচ্ছে। –হ্যালো। বল। –তুই বিকেলে বগুড়া আসতে পারবি? ওপাশ থেকে মিতু বললো। –অবশ্যই পারবো। বান্দা এনিটাইম হাজির। কখন আসতে হবে? –বিকেল ৫ টার মধ্যে। –ওকে। আইএম কামিং মাই ডিয়ার। বিকেল পাঁচটা….বগুড়া সেন্ট্রাল শহীদ মিনার। মিতুকে আজ বিষন্ন মনে হচ্ছে। –মন খারাপ? মিতুর কোনো জবাব নেই। –কি হলো? কথা বল। উফ কি গরম রে বাপ!! আইসক্রিম খাবি? নিয়ে আসি? মিতুর জবাব নেই।নিরব আইসক্রিম নিয়ে হাজির। –এই নে। খা। কিরে ধর!! কতক্ষণ ধরে থাকবো? না খেলে বল, আমিই দুইটা সাবাড় করে দিচ্ছি। হাঃ হাঃ হাঃ –তুই আমার বাসায় আর আসিস না। আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করিস না। ফোনে কনট্যাক্ট করার চেষ্টা করিস না। গম্ভীর ভাব নিয়ে কথা গুলো বললো মিতু। নিরব তেমন পাত্তা দিলো না। এই আর নতুন কিছু না। মিতু মাঝে মাঝেই এমন করে। আবার ঠিক হয়ে যায়। –এই নে গল্পের বই। তোর জন্য এনেছি। পড়া শেষে দিয়ে দিবি। বললো নিরব। –না। নিবো না। আমি চাই না তুই বইয়ের বাহানা ধরে আমার সাথে কোনো প্রকারের দেখা করার চেষ্টা করিস। আমি যাচ্ছি। একটা রিকশা করে দে তো। নিরব কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিতু রিকশায় ওঠ...

পিচ্চি বলতে কিছুই নেই,সবাই সব কিছু বোঝে..

০৫-০৭-২০১০ মেয়েটির নাম রিহা,সাদিয়া রিহা। বয়সে আমার বছর তিনেক ছোট হবে। ছোট মেয়েদের উপর ক্রাশ খাওয়ার মত এত বড় বিড়ম্বনা আর নেই। যেই মেয়েটি ভাইয়া ভাইয়া বলে গলা ফাটায় তাকে কখনো ভালোবাসার কথা বলা যায়? তাকে ভালোবাসাটাও তো অন্যায়। আর আমি সে অন্যায়ই করেছিলাম। আজকে সেই গল্পই বলছি। ভালো লাগতো খুব ওকে কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয় নি পাছে ওর মনে একটা বিরূপ ধারনা জমে এই ভেবে যে যাকে বড় ভাইয়া বলে ভাবলাম এতদিন আজ সে ও ভালোবাসার কথা বলছে!!! তাই আর কখনো বলা হয়নি ভালোবাসার কথা। ওর সাথে প্রতিদিন দেখা হতো। আমি রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকতাম,ও কলেজে যেত। কিংবা আমি যখন বিকেলে বাসার সামনের গলিতে ক্রিকেট খেলতাম,ও কোচিং থেকে ফিরতো। যতবার দেখা হতো ততবারই কথা হতো। ও নিজে থেকেই বলতো। এই যেমন "কি ভাইয়া, আজকে কি হাফ সেঞ্চুরি হবে?" অথবা "রেড টি শার্টে তো আপনাকে দারূণ লাগে ভাইয়া।" আমি ও হেসে উত্তর দিতাম। মাঝেমাঝে মজা করতাম,এই যেমন, "কি প্রতিদিনই কি তোমার কোচিং থাকে? নাকি কারো সাথে দেখা করতে যাও।" ভালো একটা সম্পর্কই ছিল বলা চল...

যত স্বপ্ন ছিল...

যত স্বপ্ন ছিল.. চোখের পাতায় আজ কেন সব.. শ্রাবণ হয়ে ঝড়ে পরে.. মনের আঙিনায়। আমার মনের গভীরে ছিলে তুমি আজ কেন সেখানে ব্যথার সমুদ্র স্মৃতি ভাসে শ্যাওলা হয়ে হূদয়ের আরশিতে আছে কষ্ট জমে। ধুলো-মাখা পথের খোজে কখনো বা উদাসি দৃষ্টিতে জীবনের যত ব্যথা স্মৃতিতে কতকাল আর চেয়ে রবো.. এমনি করে।

ভালবাসা আর কষ্ট...

একদিন সকল অনুভূতি মিলে ঠিক করল তারা লুকোচুরি খেলবে ! প্রথমে 'কষ্ট' এর পালা সবাইকে খুঁজে বের করার । সবাই বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পরল । 'ভালবাসা' একটি গোলাপ গাছের আড়ালে লুকাল । কষ্ট একে একে সবাইকে খুঁজে বের করল তবে 'ভালবাসা'কে পেল না । সে সময় 'হিংসা' কষ্টকে বলে দিল 'ভালবাসা' কোথায় আছে। কষ্ট সেখানে গিয়ে ভালবাসাকে টেনে বের করার সময় কাটার আঘাত চোখে লেগে তার চোখ নষ্ট হয়ে গেল ! তখন কষ্টকে একটি সাজা দেয়া হল , তা হল , সর্বদা ভালবাসা এর সাথে থাকতে হবে । তখন থেকে 'ভালবাসা' যেখানেই যাক ,'কষ্ট' ছায়ার মত তার পিছে পিছে সেখানে পৌছে যায়

বিশ্বাস করা.....

এমন একজন কে বিশ্বাস করবে, যে তোমাকে দুঃখ দিয়ে নিজেকে অপরাধী মনে করে। এমন একজন কে ভালোবাসো, যার ভেতর সারাক্ষণ তোমাকে হারানোর ভয় থাকে।

বৃষ্টি হচ্ছে....

বৃষ্টি হচ্ছে, লাজুক জানালার পাশে দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে আর কি যেন ভাবছে। ৪ বছর আগে এমনি বৃষ্টি হত, কিন্তু লাজুক জানালার পাশে দাড়িয়ে থাকত না। দৌড় দিয়ে ছাদে যেত। বৃষ্টি তে মাখামাখি করত, একা একা কি কি সব কথা বলত আর হাসত। আজও লাজুক কথা বলে কিন্তু হাসেনা, লুকিয়ে কাঁদে। আচ্ছা, কালো মেয়েরা কি ভালবাসা পেতে পারেনা? শুভ লাজুককে খুব ভালবাসত। হয়ত ওর অভিনয় ছিল, কিন্তু লাজুক খুব বিশ্বাস করেছিল শুভকে। শুভ সুন্দরী মেয়ে দেখলে ঠিকই কথা বলার সুযোগ খুঁজতো কিন্তু জানতনা লাজুক তার ভালবাসার মানুষ এমন। বৃষ্টি তে ভিজতে চাইলে, শুভর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকত, অবাক হয়ে লাজুক শুভর মুখের দিকে থাকাতো কিচ্ছু বলতনা। পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি হাওয়া লাজুককে আবেগী করত করতনা তার ভালবাসা শুভকে। শুভ স্টাইলিশ ছেলে, হাতে চুড়ি, গলায় চেইন, আংগুলে আংটি। লাজুকের এসব ভাল লাগত না। লাজুক দেখত তার সাথে শুভর কত তফাৎ। একদিন শুভই বলে দিল, লাজুক তোমার সাথে আমার যায়না। আচ্ছা, শুভর সাথে লাজুকের যায়না নাকি লাজুকের সাথে শুভ?? সাধারণ সেই মেয়ে সাধারণ কাউকেই খুঁজেছিল, কিন্তু কি কারনে শুভর মত অসাধারণ ছেলেকে ভালবেসেছে সে জানেনা। তাই আজও লাজুক তার অসাধারণ ভাল...

দুবছর আগের কথা....

দুবছর আগের কথা।ক্লাশ ওয়ানের একটা বাচ্চাকে পড়ানোর দায়িত্ব পড়ল আমার উপর। প্রথম দিন ওকে একটু নাড়া দিয়ে দেখার ইচ্ছে হলো।প্রথমে প্রশ্ন করলাম -নাম কি তোমার? ওর খাতার কভার পেজ তুলে দেখিয়ে বলে দেখেন।সেখানে তার পূর্ননাম লিখা। কিছুটা হতভম্ব হয়ে পরের প্রশ্ন করলাম - ধরো তোমার কাছে পাঁচটা ডিম আছে।তুমি তিনটা খেয়ে ফেললা। আর কয়টা থাকে? ঃ একটাও না। - কিভাবে? ঃ আপনিতো আমারে চিনেন না। পাঁচটা ডিম সামনে পাইলেতো আমি সবগুলোই খেয়ে ফেলতাম। - ধরো তোমার আব্বু তোমাকে সকালে দুই টাকা দিল আবার বিকালে দুই টাকা দিল কত হলো? ঃ একটাকাও না। - মানে? ঃ আপনিতো আবার আব্বুকে চেনেন না।কখনো আব্বু আমাকে টাকা দেয়না।আম্মু দেয়। আমি মাথায় হাত রেখে বসে আছি। এমন সময় আন্টি ভিতর থেকে হাঁসতে হাঁসতে আমার কাছে এলেন।বলেন "ও অনেক দুষ্ট স্যার।সব মিরাক্কেল দেখে শিখেছে"। আমি বললাম " সমস্যা নেই ঠিক হয়ে যাবে। আংকেল আন্টি অমায়িক লোক। দোতলা একটা সুন্দর বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকেন।আংকেলই একমাত্র উপার্জনকারি। বছরখানেক পর আমার মেস রিপ্লেসমেন্টের জন্য টিউশানটা বাদ দিতে হয়েছিল।যদিও খারাপ লেগেছিল। দুবছর প...

বন্ধুর পরিচয়......

বন্ধু বলে পরিচয় দেই, কখনো কি ভেবে দেখেছি কেন তাকে বন্ধু বলছি..! না,,ভাবি না। বন্ধুত্ব কোন সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা বিচার করে না। বয়সে বন্দি নয় বন্ধুত্ব। লিঙ্গান্তর নিয়ে বিভেদ নেই বন্ধুত্বে। শিক্ষা-অর্থবিত্ ত-ধর্ম মানে না বন্ধুত্ব। কখনো কখনো রাস্তার একজন অশিক্ষিত টোকাই বন্ধু হয়ে যায়। বন্ধু শিক্ষিত হতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। কখনো কখনো একজন অসুন্দর মানুষ প্রাণের বন্ধু হয়ে যায়। বন্ধুত্বেই পবিত্র সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায়। বন্ধুত্ব যে কখন কোথায় তার স্থান দখল করে তা কেউ বলতে পারেনি, পারবেও না..।

ব্লগার মারুফ

এটা এই ব্লগের প্রথম পোষ্ট।আমি ব্লগার মারফ।সবাইকে স্বাগতম আমার ব্লগে।আমি অতি সাধারন একটি ছেলে, লেখালেখি আর কল্পনা করতে খুব পছন্দ করি।আমি টেকনোলোজি প্রতি খুব আগ্রহী।আমার ব্লগে সব বিষয়ের উপর স্ট্যাটাস দেওয়ার চেষ্টা করব।আমি ব্লগার হিসাবে সম্পূর্ণ নতুন।পরবর্তীতে ব্লগটির ডিজাইন করব এবং পরিচিতি বাড়ানোর উদ্দোগ নিব।ব্লগটিকে নতুন আঙ্গিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব।এতে আপনাদের সাহায্য ও মন্তব্য কামনা করছি। _মারুফ হাসান_

এটাই বাস্তবতা....

পোষা বিড়াল হারিয়ে কিংবা জ্বরের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মেয়েটা যখন মুঠোফোনে ছেলেটার গলায় ভালোবাসি শব্দ শুনতে চায়। ছেলেটা হয়তো ব্যস্ত বিকেলের ক্রিকেট খেলায়। তবু, দুজনই পাশে বসে ভুলে যায় সময়ের কাঁটার হিসেব। মেয়েটা খুব আশা করেছিলো, কান্না করলে ছেলেটার বুকে সে চোখের জল লুকোতে পারবে। কিন্তু ছেলেটা এতটা বিস্মিত ছিলো সে চুপ করে বসে ছিলো। তবু ফেরার বেলায়, রিকশায় বসা চশমা পরা মেয়েটার চুল গুলো এলোমেলো ভাবে এসে ছেলেটার মুখে পড়েছিলো। ভালোবাসার গভীরতায় ভেতরের রাগ কর্পূরের মত ঊড়ে গিয়ে ভালোবাসারা অবাধ্য চুলের মতই জীবন্ত থাকে। প্রচন্ড কষ্ট পাওয়ার পরও হয়তো মেয়েটা বলেঃ চাইলেই আজ আমি সব শেষ করতে পারতাম, শেষ হতে পারতো আমাদের গল্প। আবার সেই মেয়েটাই হয়তো ছোট্ট একটা ব্যাপারা নিয়ে অনেক কান্না করে। খুব চায় কেউ একজন হাত ধরে থাকুক। খুব ইচ্ছে করা সত্ত্বেও মুখে হাসি ঝুলিয়ে মেয়েটা চুপ থাকে। কিছু মূহুর্তে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, নিতে পারে না সঠিক পদক্ষেপ।কারন, ছেলেটাও একসময় কাঁদতো। ছাদের কোনে কবুতরের ঝাকের জন্য ধান ছড়িয়ে দিয়ে সেও ভাবতো কাউকে। কিন্তু সে নিজের কষ্ট নিয়ে বা...