একটি ছেলের নাম আবির...
একটি ছেলে নাম→ আবির, গরীব
ঘরের সন্তান। ওর বয়স যখন ৭ তখনি ওর
বাবা রোড একসিডেন্ট করে প্রাণ
হারায়। মা এর কষ্ট আর চাচা-মামা
দের সহোযোগিতায় কোন রকমে
সংসার চলে ওদের। খুব ভালো গান
গায় & ভালো ছবিও তুলে। ওর ইচ্ছা
আছে বড় হয়ে ভালো ফটোগ্রাফার
হবে। তাই মায়ের কাছ থেকে অনেক
আবদার করে একটা ক্যামেরা কিনে।
আশেপাশে কোথাও কোন
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে আবিরকে
ডাকা হয় গান গাওয়ার জন্য & এবারও
তার ব্যাতিক্রম কিছু হয় নি। ঈদ
উপলক্ষে ভার্সিটিতে একটি
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ,
সেখানেও আবিরকে ডাকা হয়েছে
& আবির সেখানেও গান গায় এবং
আবিরের গান শুনে একটি মেয়ে
ওকে ভালোবেসে ফেলে।
.
ধনী ঘরের এই মেয়েটির প্রস্তাবে
আবির রাজী হয় না কারণ ও জানে ওই
মেয়েটির সাথে তাল মিলিয়ে
চলার মত ক্ষমতা ওর নেই। তাই ও
মেয়েটির থেকে নিজেকে আড়াল
করে রাখার চেষ্টা করে কিন্তু
মেয়েটি যে ও কে অনেক ভালো
বাসে ওর সব কাজেই মেয়েটি ওর
পিছু লেগে থাকতো, কখন কি করছে,
কি খাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে সব খবরই
মেয়েটি রাখতো, আর মেয়েটির এ
আকর্ষণ দেখে আবির ওর প্রতি দুর্বল
হয়ে যায় এবং ভালোবেসে ফেলে।
.
ওরা একজন আরেকজন কে অনেক
ভালোবাসতো, ওদের
ভালোবাসায় কোন ভুল ছিল না
ধনি-গরিবের ভালোবাসা হলেও
সেটা বোঝা যেত না কারণ
মেয়েটি ধনী হলেও সাধারণ জীবন
যাপন করত। এমনি করে ওদের
ভালোবাসার একটি বছর পুর্ণ হতে
চলেছে।
.
যেই ঈদের অনুষ্ঠানে গান শুনে
মেয়েটি আবিরকে
ভালোবেসেছিল, আবার সেই ঈদ
এসে পড়েছে। ঈদ উপলক্ষে আবির ওর
ভালোবাসার মানুষটিকে কিছু
একটা উপহার দিবে ভাবছে কিন্তু ওর
কাছে তো তেমন টাকা নেই।
তাই ওর মায়ের কাছ থেকে চেয়ে
কিছু টাকা নেয় এবং মার্কেটে
যায়, যাওয়ার পর মেয়েটি একটি নূপুর
পছন্দ করে কিন্তু নূপুরের যে মুল্য ছিল
তার অর্ধেক টাকা ছিল আবিরের
কাছে তাই ওর মুখে লজ্জিত ভাব
এসে যায় কিন্তু মেয়েটি সেটা
বুঝতে পারে তাই কমদামে একটা
জিনিস নিয়ে চলে যায়।
.
অন্যদিকে আবিরের মাথায় একটাই
ভাবনা ছিল যে তার কাছের
মানুষটিকে পছন্দের জিনিস কিনে
দিতে পারলো না, ওর খুব খারাপ
লাগছিল কি করবে বুঝে উঠতে
পারছিল না, চোখে ঘুম নেই রাত
জেগে একটাই চিন্তা ছিল ওর। ঈদের
আর একদিন বাকি আছে, অবশেষে
কোন উপায় না পেয়ে ওর মায়ের
দেওয়া ক্যামেরাটাই বিক্রি করে
আবির।
.
ক্যামেরা বিক্রি করে সোজা
মার্কেটে যায় আবির সেখানে পছন্দ
করে রেখে যাওয়া নূপুরটি কিনে
নেয় আবির।মার্কেট থেকে
বেরিয়েই ফোন করে ওর
ভালোবাসার মানুষটি কোথায় তা
জানার জন্য, আজ ওর খুব আনন্দ ওর
পছন্দের জিনিসটি দিতে পারবে
বলে ।
.
হ্যালো, তুমি কোথায়?
→এইতো বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম
এখন রিকশা নিয়ে বাসায় যাব।
আচ্ছা তুমি ওখানেই দারাও আমি
আসছি (হঠাৎ শব্দ, মেয়েটর চিৎকার
শুনা যাচ্ছে)
.
আবির বুঝতে পারে ওর কিছু একটা
হয়েছে তাই ওখানে যায় এবং
জানতে পারে মেয়েটকে
হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাই
আবির এক মুহুর্ত দেরি না করে
হাসপাতালে ভালোবাসার
মানুষটিকে দেখার জন্য।
হাসপাতালে যাওয়ার পর ও দেখতে
পেল মেয়েটির তেমন কিছু হয়নি
বেড এ শুয়ে আছে, উপরে চাদর দিয়ে
ঢাকা। ও কে দেখতে পেয়ে
মেয়েটি অনেক খুশি হয় কিন্তু কোন
কথা বলে না । মেয়েটির জন্য কেনা
উপহারটি আবির খুব আনন্দের সাথে
বের করে কিন্তু এ কি? মেয়েটির
যতটুকু খুশি হওয়ার কথা ছিল তা না
হয়ে ওর চোখের কোনা দিয়ে পানি
পড়ছে।
.
আবির ব্যাপারটা বুঝতে পারে না,
মেয়েটির পাশে বসে থাকা
নার্সটি বলে উঠে "আপনি কার জন্য
নূপুর কিনে এনেছেন? উনি নূপুর পড়বে
কোথায়?"
.
নার্সের কথা শুনে আবির বুঝতে
পারে কিছু একটা হয়েছে তাই ও উপর
থেকে চাদর টি সরাল কিন্তু এ কি?
মেয়েটির যে পা ই নেই, হোচট
খেয়ে মেয়েটি যখন রাস্তায়
পড়েছিল তখন মেয়েটির পায়ের উপর
দিয়ে গাড়ি যায় & পা দুটোই
অকেজো হয়ে যায়। আবির অনেক
কান্না করে তার কাছে টাকা
থাকলে হয়ত উপহার টা আগেই
কিনতা পারতো & কাছের
মানুষটিকে হাসি মুখে দেখতে
পেত।
ঘরের সন্তান। ওর বয়স যখন ৭ তখনি ওর
বাবা রোড একসিডেন্ট করে প্রাণ
হারায়। মা এর কষ্ট আর চাচা-মামা
দের সহোযোগিতায় কোন রকমে
সংসার চলে ওদের। খুব ভালো গান
গায় & ভালো ছবিও তুলে। ওর ইচ্ছা
আছে বড় হয়ে ভালো ফটোগ্রাফার
হবে। তাই মায়ের কাছ থেকে অনেক
আবদার করে একটা ক্যামেরা কিনে।
আশেপাশে কোথাও কোন
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে আবিরকে
ডাকা হয় গান গাওয়ার জন্য & এবারও
তার ব্যাতিক্রম কিছু হয় নি। ঈদ
উপলক্ষে ভার্সিটিতে একটি
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ,
সেখানেও আবিরকে ডাকা হয়েছে
& আবির সেখানেও গান গায় এবং
আবিরের গান শুনে একটি মেয়ে
ওকে ভালোবেসে ফেলে।
.
ধনী ঘরের এই মেয়েটির প্রস্তাবে
আবির রাজী হয় না কারণ ও জানে ওই
মেয়েটির সাথে তাল মিলিয়ে
চলার মত ক্ষমতা ওর নেই। তাই ও
মেয়েটির থেকে নিজেকে আড়াল
করে রাখার চেষ্টা করে কিন্তু
মেয়েটি যে ও কে অনেক ভালো
বাসে ওর সব কাজেই মেয়েটি ওর
পিছু লেগে থাকতো, কখন কি করছে,
কি খাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে সব খবরই
মেয়েটি রাখতো, আর মেয়েটির এ
আকর্ষণ দেখে আবির ওর প্রতি দুর্বল
হয়ে যায় এবং ভালোবেসে ফেলে।
.
ওরা একজন আরেকজন কে অনেক
ভালোবাসতো, ওদের
ভালোবাসায় কোন ভুল ছিল না
ধনি-গরিবের ভালোবাসা হলেও
সেটা বোঝা যেত না কারণ
মেয়েটি ধনী হলেও সাধারণ জীবন
যাপন করত। এমনি করে ওদের
ভালোবাসার একটি বছর পুর্ণ হতে
চলেছে।
.
যেই ঈদের অনুষ্ঠানে গান শুনে
মেয়েটি আবিরকে
ভালোবেসেছিল, আবার সেই ঈদ
এসে পড়েছে। ঈদ উপলক্ষে আবির ওর
ভালোবাসার মানুষটিকে কিছু
একটা উপহার দিবে ভাবছে কিন্তু ওর
কাছে তো তেমন টাকা নেই।
তাই ওর মায়ের কাছ থেকে চেয়ে
কিছু টাকা নেয় এবং মার্কেটে
যায়, যাওয়ার পর মেয়েটি একটি নূপুর
পছন্দ করে কিন্তু নূপুরের যে মুল্য ছিল
তার অর্ধেক টাকা ছিল আবিরের
কাছে তাই ওর মুখে লজ্জিত ভাব
এসে যায় কিন্তু মেয়েটি সেটা
বুঝতে পারে তাই কমদামে একটা
জিনিস নিয়ে চলে যায়।
.
অন্যদিকে আবিরের মাথায় একটাই
ভাবনা ছিল যে তার কাছের
মানুষটিকে পছন্দের জিনিস কিনে
দিতে পারলো না, ওর খুব খারাপ
লাগছিল কি করবে বুঝে উঠতে
পারছিল না, চোখে ঘুম নেই রাত
জেগে একটাই চিন্তা ছিল ওর। ঈদের
আর একদিন বাকি আছে, অবশেষে
কোন উপায় না পেয়ে ওর মায়ের
দেওয়া ক্যামেরাটাই বিক্রি করে
আবির।
.
ক্যামেরা বিক্রি করে সোজা
মার্কেটে যায় আবির সেখানে পছন্দ
করে রেখে যাওয়া নূপুরটি কিনে
নেয় আবির।মার্কেট থেকে
বেরিয়েই ফোন করে ওর
ভালোবাসার মানুষটি কোথায় তা
জানার জন্য, আজ ওর খুব আনন্দ ওর
পছন্দের জিনিসটি দিতে পারবে
বলে ।
.
হ্যালো, তুমি কোথায়?
→এইতো বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম
এখন রিকশা নিয়ে বাসায় যাব।
আচ্ছা তুমি ওখানেই দারাও আমি
আসছি (হঠাৎ শব্দ, মেয়েটর চিৎকার
শুনা যাচ্ছে)
.
আবির বুঝতে পারে ওর কিছু একটা
হয়েছে তাই ওখানে যায় এবং
জানতে পারে মেয়েটকে
হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাই
আবির এক মুহুর্ত দেরি না করে
হাসপাতালে ভালোবাসার
মানুষটিকে দেখার জন্য।
হাসপাতালে যাওয়ার পর ও দেখতে
পেল মেয়েটির তেমন কিছু হয়নি
বেড এ শুয়ে আছে, উপরে চাদর দিয়ে
ঢাকা। ও কে দেখতে পেয়ে
মেয়েটি অনেক খুশি হয় কিন্তু কোন
কথা বলে না । মেয়েটির জন্য কেনা
উপহারটি আবির খুব আনন্দের সাথে
বের করে কিন্তু এ কি? মেয়েটির
যতটুকু খুশি হওয়ার কথা ছিল তা না
হয়ে ওর চোখের কোনা দিয়ে পানি
পড়ছে।
.
আবির ব্যাপারটা বুঝতে পারে না,
মেয়েটির পাশে বসে থাকা
নার্সটি বলে উঠে "আপনি কার জন্য
নূপুর কিনে এনেছেন? উনি নূপুর পড়বে
কোথায়?"
.
নার্সের কথা শুনে আবির বুঝতে
পারে কিছু একটা হয়েছে তাই ও উপর
থেকে চাদর টি সরাল কিন্তু এ কি?
মেয়েটির যে পা ই নেই, হোচট
খেয়ে মেয়েটি যখন রাস্তায়
পড়েছিল তখন মেয়েটির পায়ের উপর
দিয়ে গাড়ি যায় & পা দুটোই
অকেজো হয়ে যায়। আবির অনেক
কান্না করে তার কাছে টাকা
থাকলে হয়ত উপহার টা আগেই
কিনতা পারতো & কাছের
মানুষটিকে হাসি মুখে দেখতে
পেত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন