অঝোর বর্ষায় তোমায় ফিরে পাওয়া.
বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির
উদ্মাদনায় প্রকৃতি আজ প্রমত্ত!!! এই
অঝোর বৃষ্টিসিক্ত সন্ধায়, জানালার
পাশে বসে অবাক চোখে, বৃষ্টি
দেখছে নীল...... বাইরের বৃষ্টির,
উদ্মাদনা দেখতে দেখতে, কখন যে
নীলের মনের কোণে জমে থাকা
মেঘ হতে, নিজের অজান্তেই
নীলের চোখে বৃষ্টি ঝরতে শুরু
করেছে, কেউ তা
খেয়াল করেনি..........
হঠাৎ, ফোনের শব্দে চমকে উঠে
নীল..... নীরার ফোন.....
প্রবল অনিচ্ছা থাকা সত্বেও, কলটা
রিসিভ করে সে.....
:::- কিরে গাধা!!! কি করিস!!!
:-- কিছুনা, তুই এই সময়ে ফোন দিলি
যে (গলার স্বর যতটা সম্ভব স্বভাবিক
করে উত্তর দেয় সে)
:::- তুই আবারও গাধার মত কাঁদছিস!!
(কান্নাভেজা গলাটা ধরতে একদম
ভুল হয়নি)
:-- তোরে না কতবার মানা করছি,
বৃষ্টির সময় আমাকে কল দিবি না!!!
::;- বেশ করছি, কল দিসি, এখন কান্না
থামা, একটা কষ্টের জন্য আর কত
কাঁদবি!!!
:-- যতবার ইচ্ছা!! তাতে তোর কি??
আমি রাখছি.......
বলেই ফোনটা কেটে দেয় নীল.... আজ
তার নিজেকে বড্ড একা মনে হচ্ছে,
দুইবছর আগে, শ্রাবণের এমন একটা
দিনেই, শ্রুতিকে হারায় সে.....
নীলকে বড্ড ভালবাসত শ্রুতি.... আর
নীলও.... ওদের নিস্পাপ
ভালবাসাটা হয়ত সহ্য হয় নি
পৃথিবীর..... একদিন হঠাৎ শ্রুতি বড্ড
অসুস্থ হয়ে পড়ে, ডাক্তারের কাছে
গেলে জানা যায়, শ্রুতির ব্রেইন
টিউমার, লাস্ট স্টেজ!!! শ্রুতি যখন
জিঙ্গেস করল, নীল আমার কি
হয়েছে, নীল সেদিন কোন জবাব
দিতে পারেনি, শুধু, শ্রুতিকে
প্রবলভাবে, জড়িয়ে ধরে ডুকরে
ডুকরে কেঁদেছিল সে...... তার
কিছুদিন পড়েই, নীলের ভালবাসা,
তাকে চিরতরে বিদায় জানায়.....
সেদিনও, প্রচন্ড বৃষ্টিতে শ্রুতির
কবরের পাশে বসে, অঝোের
কেঁদেছিল সে.... কেউ শোনেনি
সে অঝোর কান্না আর বুকফাটা
হাহাকার......
.
সেদিনের পর থেকেই, বৃষ্টির
উদ্মাদনা সহ্য করতে পারে না নীল,
নিজের অজান্তেই অঝোরে কাঁদতে
থাকে সে..........
পুরনো কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই,
হঠাৎ, মেসেজ টোনের শব্দে ভাবনায়
ছেদ পড়ে নীলের..
আবারও সেই বিরক্তি, নীরার
মেসেজ!!!
.
কিরে গাধা!! এখনও কাঁদছিস?? এক
কাজ কর, সামনে একটা বালতি
বসিয়ে কান্না কর, তাইলে তোর
কান্নার পানি দিয়ে অন্তত ঢাকা
শহরের পানির সমস্যা কিছুটা হলেও
দূর হবে!! আর কাল কিন্তু বর্ষাবরণ
অনুষ্ঠানে আসতে যেন ভুল না হয়!! আর
আসার সময় অবশ্যই হলুদ পাঞ্জাবীটা
পড়ে আসবি নয়ত তোর খবর আছে!! হি
হি.....
ইতি, তোর পেত্নী.......
.
এই হল নীরা!! প্রচন্ড ফাজিল আর চঞ্জল
স্বভাবের একটা মেয়ে আর নীলের
সবচেয়ে ভাল বন্ধু, ভার্সিটি
লাইফের সেই প্রথম দিন থেকেই,
নীলের জীবনের সাথে আঠার মত
লেগে আছে সে... কিসের আশায় কে
জানে!! নীল তা জানে না.....
নীরা অবশ্য নীলের সব কষ্টগুলোর
সঙ্গী, তাই সে কখনোই নীলকে একা
হতে দিতে চায় না.....
.
পরদিন, সকালে নীল হলুদ পাঞ্জাবী
পড়ে, ভার্সিটি ক্যাম্পাসে যায়.....
বিশ্বাস নেই, না গেলে হয়ত দেখা
যাবে, নীরা ওর বাসায় গিয়ে
উপস্থিত হবে......
ক্যাম্পাসে গিয়েই, দেখা হয়
নীরার সাথে,, নীল রঙের শাড়ি, আর
নীল চুড়িতে বড্ড মানিয়েছে
ওকে..... নীল অবাক চোখে কিছুক্ষণ
তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল.....
:::- কিরে তোর আসতে এত দেরী হল
কেন!!!
::- কই!! ঠিক সময়েই ত এলাম.... (নীল)
:::- হাতের কদমফুল গুলো দেখিয়ে
নীরা বলল, একটু হেল্প কর না প্লিজ...
এগুলো একটু খোঁপায় গুজে দে না!!
:-- ইতস্তত হাতে তা করল নীল....
.
সারাদিন খুব আনন্দ, হৈ-হুল্লোর করে
দিনটা কেটে গেল!! কিন্তু বিকাল
হতেই আকাশ ভেঙে নেমে এল অঝোর
বৃষ্টি.......
তাই, হঠাৎ করেই, বৃষ্টিতে ভিজতে
ভিজতেই, সব ছেড়ে বাড়ির দিকে
রওনা দিল নীল!!!
কিছুদূর যেতেই কে যেন, পিছন থেকে
ওর হাত ধরল, পিছন ফিরে দেখে,
নীরা!! ওর চোখের কাজল লেপ্টে
একাকার হয়ে গেছে.....
অভিমানী কন্ঠে নীরা বলতে লাগল,
কিরে আমায় একা রেখেই
পালাচ্ছিস!!!
নীল চুপ.....
কেন রে!! আমায় কি তোর একবারও
নিজের কেউ বলে মনে হয় না!!!
নীরার ভালবাসার মাঝে কি তুই,
একবারও শ্রুতির ভালবাসাটা
দেখতে পাস না!! নীরা হিসেবে
না পারিস, অন্তত শ্রুতি হিসেবে
একবারের জন্য হলেও তোর জীবনে
থাকার একটা সুযোগ কি তুই আমায়
দিতে পারিস না!! আমি কি এতই
খারাপ!!!!
নীল কি বলবে বুঝতে পারছে না, ওর
জন্য যে নীরার মনে এতটা
ভালবাসা জমানো ছিল, তা সে
সত্যিই জানত না!! নীরা যে কাঁদছে
তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, নীল কিছু
বলতে যাওয়ার আগেই!!!!!
নীরা আঁছড়ে পড়ল নীলের বুকে.....
প্রচন্ড শক্ত করে নীলকে আঁকরে
ধরেছে সে.... সে চায় না নীল তার
থেকে হারিয়ে যাক......
অন্যদিকে, নীল নীরার প্রচন্ডভাবে
জড়িয়ে থাকার বন্ধনে যেন, তার
হারিয়ে ফেলা শ্রুতিকে আবিষ্কার
করেছে..... তার জীবনের দুটি বর্ষা
সে হারিয়েছে... এমন বর্ষায়
শ্রুতিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিল
সে, আজ সে বর্ষাই, তাকে যেন সেই
হারিয়ে ফেলা শ্রুতিকে ফিরিয়ে
দিয়েছে....
..
চারদিকে অঝোর বর্ষা, আর এখানে
তো ঝরছে ভালবাসার বর্ষা,
আকাশের বর্ষা একসময় থেমে যাবে,
কিন্ত, এ ভালবাসার বর্ষা থেমে
যাওয়ার নয়....... এ যেন সব হারিয়ে,
আবার ফিরে পাওয়া.........
অনন্তকাল বেঁচে থাকুক এমন
ভালবাসা.......
উদ্মাদনায় প্রকৃতি আজ প্রমত্ত!!! এই
অঝোর বৃষ্টিসিক্ত সন্ধায়, জানালার
পাশে বসে অবাক চোখে, বৃষ্টি
দেখছে নীল...... বাইরের বৃষ্টির,
উদ্মাদনা দেখতে দেখতে, কখন যে
নীলের মনের কোণে জমে থাকা
মেঘ হতে, নিজের অজান্তেই
নীলের চোখে বৃষ্টি ঝরতে শুরু
করেছে, কেউ তা
খেয়াল করেনি..........
হঠাৎ, ফোনের শব্দে চমকে উঠে
নীল..... নীরার ফোন.....
প্রবল অনিচ্ছা থাকা সত্বেও, কলটা
রিসিভ করে সে.....
:::- কিরে গাধা!!! কি করিস!!!
:-- কিছুনা, তুই এই সময়ে ফোন দিলি
যে (গলার স্বর যতটা সম্ভব স্বভাবিক
করে উত্তর দেয় সে)
:::- তুই আবারও গাধার মত কাঁদছিস!!
(কান্নাভেজা গলাটা ধরতে একদম
ভুল হয়নি)
:-- তোরে না কতবার মানা করছি,
বৃষ্টির সময় আমাকে কল দিবি না!!!
::;- বেশ করছি, কল দিসি, এখন কান্না
থামা, একটা কষ্টের জন্য আর কত
কাঁদবি!!!
:-- যতবার ইচ্ছা!! তাতে তোর কি??
আমি রাখছি.......
বলেই ফোনটা কেটে দেয় নীল.... আজ
তার নিজেকে বড্ড একা মনে হচ্ছে,
দুইবছর আগে, শ্রাবণের এমন একটা
দিনেই, শ্রুতিকে হারায় সে.....
নীলকে বড্ড ভালবাসত শ্রুতি.... আর
নীলও.... ওদের নিস্পাপ
ভালবাসাটা হয়ত সহ্য হয় নি
পৃথিবীর..... একদিন হঠাৎ শ্রুতি বড্ড
অসুস্থ হয়ে পড়ে, ডাক্তারের কাছে
গেলে জানা যায়, শ্রুতির ব্রেইন
টিউমার, লাস্ট স্টেজ!!! শ্রুতি যখন
জিঙ্গেস করল, নীল আমার কি
হয়েছে, নীল সেদিন কোন জবাব
দিতে পারেনি, শুধু, শ্রুতিকে
প্রবলভাবে, জড়িয়ে ধরে ডুকরে
ডুকরে কেঁদেছিল সে...... তার
কিছুদিন পড়েই, নীলের ভালবাসা,
তাকে চিরতরে বিদায় জানায়.....
সেদিনও, প্রচন্ড বৃষ্টিতে শ্রুতির
কবরের পাশে বসে, অঝোের
কেঁদেছিল সে.... কেউ শোনেনি
সে অঝোর কান্না আর বুকফাটা
হাহাকার......
.
সেদিনের পর থেকেই, বৃষ্টির
উদ্মাদনা সহ্য করতে পারে না নীল,
নিজের অজান্তেই অঝোরে কাঁদতে
থাকে সে..........
পুরনো কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই,
হঠাৎ, মেসেজ টোনের শব্দে ভাবনায়
ছেদ পড়ে নীলের..
আবারও সেই বিরক্তি, নীরার
মেসেজ!!!
.
কিরে গাধা!! এখনও কাঁদছিস?? এক
কাজ কর, সামনে একটা বালতি
বসিয়ে কান্না কর, তাইলে তোর
কান্নার পানি দিয়ে অন্তত ঢাকা
শহরের পানির সমস্যা কিছুটা হলেও
দূর হবে!! আর কাল কিন্তু বর্ষাবরণ
অনুষ্ঠানে আসতে যেন ভুল না হয়!! আর
আসার সময় অবশ্যই হলুদ পাঞ্জাবীটা
পড়ে আসবি নয়ত তোর খবর আছে!! হি
হি.....
ইতি, তোর পেত্নী.......
.
এই হল নীরা!! প্রচন্ড ফাজিল আর চঞ্জল
স্বভাবের একটা মেয়ে আর নীলের
সবচেয়ে ভাল বন্ধু, ভার্সিটি
লাইফের সেই প্রথম দিন থেকেই,
নীলের জীবনের সাথে আঠার মত
লেগে আছে সে... কিসের আশায় কে
জানে!! নীল তা জানে না.....
নীরা অবশ্য নীলের সব কষ্টগুলোর
সঙ্গী, তাই সে কখনোই নীলকে একা
হতে দিতে চায় না.....
.
পরদিন, সকালে নীল হলুদ পাঞ্জাবী
পড়ে, ভার্সিটি ক্যাম্পাসে যায়.....
বিশ্বাস নেই, না গেলে হয়ত দেখা
যাবে, নীরা ওর বাসায় গিয়ে
উপস্থিত হবে......
ক্যাম্পাসে গিয়েই, দেখা হয়
নীরার সাথে,, নীল রঙের শাড়ি, আর
নীল চুড়িতে বড্ড মানিয়েছে
ওকে..... নীল অবাক চোখে কিছুক্ষণ
তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল.....
:::- কিরে তোর আসতে এত দেরী হল
কেন!!!
::- কই!! ঠিক সময়েই ত এলাম.... (নীল)
:::- হাতের কদমফুল গুলো দেখিয়ে
নীরা বলল, একটু হেল্প কর না প্লিজ...
এগুলো একটু খোঁপায় গুজে দে না!!
:-- ইতস্তত হাতে তা করল নীল....
.
সারাদিন খুব আনন্দ, হৈ-হুল্লোর করে
দিনটা কেটে গেল!! কিন্তু বিকাল
হতেই আকাশ ভেঙে নেমে এল অঝোর
বৃষ্টি.......
তাই, হঠাৎ করেই, বৃষ্টিতে ভিজতে
ভিজতেই, সব ছেড়ে বাড়ির দিকে
রওনা দিল নীল!!!
কিছুদূর যেতেই কে যেন, পিছন থেকে
ওর হাত ধরল, পিছন ফিরে দেখে,
নীরা!! ওর চোখের কাজল লেপ্টে
একাকার হয়ে গেছে.....
অভিমানী কন্ঠে নীরা বলতে লাগল,
কিরে আমায় একা রেখেই
পালাচ্ছিস!!!
নীল চুপ.....
কেন রে!! আমায় কি তোর একবারও
নিজের কেউ বলে মনে হয় না!!!
নীরার ভালবাসার মাঝে কি তুই,
একবারও শ্রুতির ভালবাসাটা
দেখতে পাস না!! নীরা হিসেবে
না পারিস, অন্তত শ্রুতি হিসেবে
একবারের জন্য হলেও তোর জীবনে
থাকার একটা সুযোগ কি তুই আমায়
দিতে পারিস না!! আমি কি এতই
খারাপ!!!!
নীল কি বলবে বুঝতে পারছে না, ওর
জন্য যে নীরার মনে এতটা
ভালবাসা জমানো ছিল, তা সে
সত্যিই জানত না!! নীরা যে কাঁদছে
তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, নীল কিছু
বলতে যাওয়ার আগেই!!!!!
নীরা আঁছড়ে পড়ল নীলের বুকে.....
প্রচন্ড শক্ত করে নীলকে আঁকরে
ধরেছে সে.... সে চায় না নীল তার
থেকে হারিয়ে যাক......
অন্যদিকে, নীল নীরার প্রচন্ডভাবে
জড়িয়ে থাকার বন্ধনে যেন, তার
হারিয়ে ফেলা শ্রুতিকে আবিষ্কার
করেছে..... তার জীবনের দুটি বর্ষা
সে হারিয়েছে... এমন বর্ষায়
শ্রুতিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিল
সে, আজ সে বর্ষাই, তাকে যেন সেই
হারিয়ে ফেলা শ্রুতিকে ফিরিয়ে
দিয়েছে....
..
চারদিকে অঝোর বর্ষা, আর এখানে
তো ঝরছে ভালবাসার বর্ষা,
আকাশের বর্ষা একসময় থেমে যাবে,
কিন্ত, এ ভালবাসার বর্ষা থেমে
যাওয়ার নয়....... এ যেন সব হারিয়ে,
আবার ফিরে পাওয়া.........
অনন্তকাল বেঁচে থাকুক এমন
ভালবাসা.......
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন