নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের
ছেলেদের
যে কথাটা
সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়, বিশেষ
করে পরিবার
থেকে যে কথাটা দিনে
অন্ততপক্ষে ১৪০০ বার
শুনতে হয়, সেটি হচ্ছে, “একটু কষ্ট
করে চল বাবা।
একদিন অনেক সুখ শান্তি করতে
পারবি।"
যখনই কোন প্রয়োজনীয় জিনিস
লাগে,
-আব্বু আমার একটা প্যান্ট লাগবে
-আব্বু শার্টটা ছিড়ে গেছে
-আব্বু জুতা তো আর পড়া যাচ্ছে না
- আম্মু আমার কাছে কোন টাকা নাই।
১০
টাকা
দিতে পারবা?
.....................ইত্যাদি ইত্যাদি।
সবগুলো কথার জবাব ওই একটাই, একটু
কষ্ট করে চল।
কষ্ট করতে করতে ছেলেটা
একসময় মোটামুটি
ভাবে একটা চাকরিতে জয়েন করে।
নিজে কিছু
টাকা জমানো শুরু করে। এরপরই
পরিবার
থেকে
দায়িত্বের স্রোত টানতে শুরু করে,
“বাবা তোর
ছোট বোনটা তো বড় হইছে।
ওরে এখন বিয়ে দেয়া
দরকার। এইসময় তুই যদি একটু সাহায্য না
করিস
তো কে করবে? "
কর্তব্যের দিক বিচার করে একরকম
বাধ্য হয়েই
জমানো সামান্যতম টাকাটাও খরচ
করতে
হয়।
বোনের বিয়ে হলে এরপর নিজের
বিয়ে। নিজেও
মোটামুটি সেইম কোয়ালিটিরই
একটা
মেয়ে
বিয়ে করে। অতঃপর শুরু হয় তার নিজস্ব
জীবন।
নিজের পরিবার নিয়ে চিন্তা।
একসময়
পরিবারে
আরেকটা বাড়তি মুখের উদ্ভব ঘটে।
যতই নিজের
বাবা মাকে নিয়ে ভাবুক না কেন,
নিজের
পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়েও তাকে
চিন্তা
করতে
হয়। নিজের শরীর থাক আর যাক,
পরিশ্রম করে
অবিরাম।
বাবা মায়ের তখন বৃদ্ধ বয়স। কয়েকদিন
পরপর
ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন,
ওষুধের দরকার।
নিজের যতই কষ্ট হোক বাবা মা কে
অবহেলা
করতে পারে না। একসময় বাবা মাও
চলে
যায়।
এদিকে নিজের ছেলেমেয়ে বড়
হয়েছে। তাদেরও
অনেক প্রয়োজন মেটানো দরকার।
কিন্তু “আয়
বুঝে ব্যয় কর" - কথাা তাদের
মস্তিষ্কে সর্বদা
ঘুরপাক খায়। ছেলেকেও সে একই
শিক্ষা দেয়।
“একটু কষ্ট করে চল বাবা, একদিন
অনেক সুখ শান্তি
করতে পারবি।" বাবার আদর্শে
বেড়ে
ওঠা
বাবাও তার ছেলেকে সেই একই
আদর্শ শিক্ষা
দেন।
অতঃপর আসে মৃত্যুশয্যা। স্বল্প
আয়ের পরিবার।
তাদের জন্য কোন নামকরা
হাসপাতাল
জোটে
না। কোন একটা সরকারি
হাসপাতালের
ফ্লোরে
শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরায়। তখনও সেই
একটা কথাই
বারবার কানে আসো, “একটু কষ্ট
করো বাবা।"
একসময় যে কথাটি বাবা বলত, শেষসময়
সে
কথাটি ছেলের মুখে শুনতে হয়।
.
এমনি করেই চলতে থাকে
নিম্নমধ্যবিত্ত
পরিবারের জীবনযাত্রা। তাদের সুখ
অফুরন্ত। শুধু
ছুঁয়ে দেখা হয় না। মৃত্যু শয্যাতেও
তারা
সে
সুখের সন্ধান পায় না।
শুধুই অপেক্ষা।
একদিন অনেক সুখ শান্তি করতে
পারবে................
ছেলেদের
যে কথাটা
সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়, বিশেষ
করে পরিবার
থেকে যে কথাটা দিনে
অন্ততপক্ষে ১৪০০ বার
শুনতে হয়, সেটি হচ্ছে, “একটু কষ্ট
করে চল বাবা।
একদিন অনেক সুখ শান্তি করতে
পারবি।"
যখনই কোন প্রয়োজনীয় জিনিস
লাগে,
-আব্বু আমার একটা প্যান্ট লাগবে
-আব্বু শার্টটা ছিড়ে গেছে
-আব্বু জুতা তো আর পড়া যাচ্ছে না
- আম্মু আমার কাছে কোন টাকা নাই।
১০
টাকা
দিতে পারবা?
.....................ইত্যাদি ইত্যাদি।
সবগুলো কথার জবাব ওই একটাই, একটু
কষ্ট করে চল।
কষ্ট করতে করতে ছেলেটা
একসময় মোটামুটি
ভাবে একটা চাকরিতে জয়েন করে।
নিজে কিছু
টাকা জমানো শুরু করে। এরপরই
পরিবার
থেকে
দায়িত্বের স্রোত টানতে শুরু করে,
“বাবা তোর
ছোট বোনটা তো বড় হইছে।
ওরে এখন বিয়ে দেয়া
দরকার। এইসময় তুই যদি একটু সাহায্য না
করিস
তো কে করবে? "
কর্তব্যের দিক বিচার করে একরকম
বাধ্য হয়েই
জমানো সামান্যতম টাকাটাও খরচ
করতে
হয়।
বোনের বিয়ে হলে এরপর নিজের
বিয়ে। নিজেও
মোটামুটি সেইম কোয়ালিটিরই
একটা
মেয়ে
বিয়ে করে। অতঃপর শুরু হয় তার নিজস্ব
জীবন।
নিজের পরিবার নিয়ে চিন্তা।
একসময়
পরিবারে
আরেকটা বাড়তি মুখের উদ্ভব ঘটে।
যতই নিজের
বাবা মাকে নিয়ে ভাবুক না কেন,
নিজের
পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়েও তাকে
চিন্তা
করতে
হয়। নিজের শরীর থাক আর যাক,
পরিশ্রম করে
অবিরাম।
বাবা মায়ের তখন বৃদ্ধ বয়স। কয়েকদিন
পরপর
ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন,
ওষুধের দরকার।
নিজের যতই কষ্ট হোক বাবা মা কে
অবহেলা
করতে পারে না। একসময় বাবা মাও
চলে
যায়।
এদিকে নিজের ছেলেমেয়ে বড়
হয়েছে। তাদেরও
অনেক প্রয়োজন মেটানো দরকার।
কিন্তু “আয়
বুঝে ব্যয় কর" - কথাা তাদের
মস্তিষ্কে সর্বদা
ঘুরপাক খায়। ছেলেকেও সে একই
শিক্ষা দেয়।
“একটু কষ্ট করে চল বাবা, একদিন
অনেক সুখ শান্তি
করতে পারবি।" বাবার আদর্শে
বেড়ে
ওঠা
বাবাও তার ছেলেকে সেই একই
আদর্শ শিক্ষা
দেন।
অতঃপর আসে মৃত্যুশয্যা। স্বল্প
আয়ের পরিবার।
তাদের জন্য কোন নামকরা
হাসপাতাল
জোটে
না। কোন একটা সরকারি
হাসপাতালের
ফ্লোরে
শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরায়। তখনও সেই
একটা কথাই
বারবার কানে আসো, “একটু কষ্ট
করো বাবা।"
একসময় যে কথাটি বাবা বলত, শেষসময়
সে
কথাটি ছেলের মুখে শুনতে হয়।
.
এমনি করেই চলতে থাকে
নিম্নমধ্যবিত্ত
পরিবারের জীবনযাত্রা। তাদের সুখ
অফুরন্ত। শুধু
ছুঁয়ে দেখা হয় না। মৃত্যু শয্যাতেও
তারা
সে
সুখের সন্ধান পায় না।
শুধুই অপেক্ষা।
একদিন অনেক সুখ শান্তি করতে
পারবে................
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন