আমার বন্ধাবী অণু
অনু আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী।ফেসবুকের মাধ্যেমে ওর সাথে আমার পরিচয়।আমি মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাই না কারন বেশির ভাগ মেয়ে আইডি গুলো ফেইক হয়ে থাকে তবুও অনেক ভেবে-চিন্তে একটা মেয়ে আইডিতে রিকুয়েস্ট পাঠালাম কিন্তু তিনদিন হয়ে গেল তবু একসেপ্ট করল তাই মেজাজটা একটু খারাপ হয়ে গেল।কয়েক ঘন্টা পর দেখি সে একসেপ্ট করছে, একটু খুশিই হলাম।মেয়েটার প্রফাইল দেখছি,কিন্তু এতো ঘটাঘটির পরেও মেয়েটা কোন পিক খুজে পেলাম না তার আইডিতে,মনে মনে ভাবলাম একেই আমার বন্ধু বানাবোই।মেয়েদের একটা খারাপ অভ্যাস আছে তাদের মেসেজ দিলে রিপ্লে করতে চায় না,মানে একটু এক্সটা ভাব দেখায়।তাই আমি ওকে চমকে দেওয়ার জন্য প্রথম মেসেজ দিলাম কিরে অনু, দোস্ত কেমন আছিস?ওমা!দেখি মেয়েটা সাথে রিপ্লেই করল আর বলল ভালো আছি তুই কে?দুঃখিত আপনি কে?আমি আমার পরিচয় দিলাম এই ভাবে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল।ফেসবুকে অনুর কোনোই ছবি দেওয়া ছিল না তাই আমি
ওকে কোনোদিন দেখিনি কিন্তু ও আমাকে দেখেছে, আমার ছবি ফেসবুকে আছে,আমি কোনোদিন ওর কাছ থেকে ওর ছবি দেখতে চাইনি আর প্রয়োজন মনে করি নি।ও যেইদিন ইচ্ছা করে ওর ছবি আমায় দেখাবে সেইদিনই দেখবো।
একজন পার্ফেক্ট বন্ধু বলতে যেমন হওয়া দরকার তার সব কয়টি গুন ওর মধ্যে আছে।ওর সাথে আমার যেদিন প্রথম দেখা হয় ঐ দিন আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চার্যিত হয়েছিলাম।কলেজ বন্ধ তাই ঠিক করলাম মামার বাড়ি যাবো,আমার মামার বাড়ি রংপুর। মামার বাড়ি গেলাম ঘুরলাম আনন্দ করলাম ফেরার সময় ভাবছি রেলভ্রমন করলে মন্দ হয় না।মামাকে বললাম মামা রাজি হলেন।রেলগাড়ি ভ্রমন আমার কাছে খুব ভালোলাগে।রংপুর স্টেশন ছাড়ছি পরের স্টেশনে রেলের বোগি চেইঞ্জ করল। অনেক যাত্রি নেমে গেল,আর অনেক নতুন যাত্রী উঠল ট্রেনে আমি হেটফোন কানে দিয়ে গান শুনছি।আমার পাশে যে ভদ্র লোক ছিলেন তিনি নেমে গেছেন, আমাদের সিটে আমি একাই জানালার পাশে বসে আছি,ট্রেন হ্রণ দিচ্ছে এখন ছাড়বে এমন সময় হঠাৎ করে একটা মেয়ে আমার কাছে এসে বলল এই ভাইয়া একটু চাপেন এই সিট আমার, আমি সরে বসলাম। একটা জিনিস লক্ষ করছিলাম সেটা হলো মেয়টা আমায় দেখে মুচকি মুচকি হাসছে বার বার।ঘটনা কিছুই বুঝলাম না।তবে মেয়েটা দেখতে অসম্ভব সুন্দরী। ফেসবুকে ঢুকলাম তার কয়েক মিনিট পর অনুও ফেসবুকে আসল ওকে বিষয়টা বললাম।লক্ষ করলাম আমার পাশে বসা সুন্দরী মেয়েটিও মোবাইল টিপছে আর হাসতেছে। অনু আমায় বলল
-নিলয় পাশে বসা মেয়েটাকে ভালো করে দ্যাখ তো!
-কেন?ঐ মেয়েকে দেখে আমার কি লাভ?
-তোকে দেখতে বললাম তুই দ্যাখ!
-ওকে,জানিস মেয়টা অনেক ফাজিল শুধু হাসে...
-তাতে তোর প্রব্লেম কোথায়?
-না কোনো সমস্যা নেই।
মেয়েটার দিকে একবার তাকালাম।মেয়েটা সত্যিই অপরুপ।পরের স্টেশনে নেমে গেল মেয়েটি আর যাওযার সময় মুচকি হাসি দিয়ে বলল, বাই নিলয়।
আমি শুনেই টাসকি খেয়ে গেলাম।মনে হলো ভুল শুনেছি!বাসায় আসলাম রাতে ফেসবুকে ঢুকলাম দেখি অনু ৫টা মেসেজ।প্রথম মেসেজ-কিরে হিরো মেয়েটাকে চিনতে পারছিলি?
দ্বিতীয় মেসেজ-তুই একটা আস্তো বলদ কারন তোর পাশে একটা মেয়ে বসে তোকে দেখে দেখে হাসল আর তুই তার সাথে একটা কোথাও বললি না?
তৃতীয় মেসেজ-গর্ধব মেয়েটা তোর বান্ধবী অনামিকা (অনু).
চতুর্থ মেসেজ-দোস্ত রাগ করিস না,আসলে তোক সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যেই তোকে আমার পরিচয় দেইনি।
পঞ্চম মেসেজ-তোকে সামনা সামনি এভাবে দেখতে পেয়ে আমি আসলেই অনেক আনন্দ পাইছি।
এখনো কথা গুলো মনে পড়লে অনেক অনেক ভালো লাগে।তারপর অনু আমাকে ওর পিকচার দেয় ওর সাথে ফোনেও কথা বলি।আমাদের বন্ধুত্বে এতটুকু কম ছিলনা।আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। কাল অণুর বিয়ে, প্রায় ছয়দিন আগে থেকে আমাকে যেতে বলছে ওদের বাসায়।আজ ওর গাঁয়ে হলুদ সকাল থেকে আমার ফোন অবিরত ভাবে বেজেই চলছে...জানি অনু কল দিচ্ছে ।কিন্তু ফোন ধরার শক্তিটুকু নেই আমার,অামি এখন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যুর প্রহর গুনছি...।আজ অণুর বিয়ে ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু আমি কিন্তু ওর বিয়েতে আমিই অনুপস্থিতি, মেয়েটা হতয় আমার উপর অভিমান করে বসে আছে কিন্তু আমিতো এখন নিরুপায়..।আজ লাল শাড়ি পড়ে অণু শশুড় বাড়ি চলে যাবে আর আজ হয়ত আমি সাদা কাপড় পড়ে চলে যাবো না ফেরার দেশে........।
#নিরব
ওকে কোনোদিন দেখিনি কিন্তু ও আমাকে দেখেছে, আমার ছবি ফেসবুকে আছে,আমি কোনোদিন ওর কাছ থেকে ওর ছবি দেখতে চাইনি আর প্রয়োজন মনে করি নি।ও যেইদিন ইচ্ছা করে ওর ছবি আমায় দেখাবে সেইদিনই দেখবো।
একজন পার্ফেক্ট বন্ধু বলতে যেমন হওয়া দরকার তার সব কয়টি গুন ওর মধ্যে আছে।ওর সাথে আমার যেদিন প্রথম দেখা হয় ঐ দিন আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চার্যিত হয়েছিলাম।কলেজ বন্ধ তাই ঠিক করলাম মামার বাড়ি যাবো,আমার মামার বাড়ি রংপুর। মামার বাড়ি গেলাম ঘুরলাম আনন্দ করলাম ফেরার সময় ভাবছি রেলভ্রমন করলে মন্দ হয় না।মামাকে বললাম মামা রাজি হলেন।রেলগাড়ি ভ্রমন আমার কাছে খুব ভালোলাগে।রংপুর স্টেশন ছাড়ছি পরের স্টেশনে রেলের বোগি চেইঞ্জ করল। অনেক যাত্রি নেমে গেল,আর অনেক নতুন যাত্রী উঠল ট্রেনে আমি হেটফোন কানে দিয়ে গান শুনছি।আমার পাশে যে ভদ্র লোক ছিলেন তিনি নেমে গেছেন, আমাদের সিটে আমি একাই জানালার পাশে বসে আছি,ট্রেন হ্রণ দিচ্ছে এখন ছাড়বে এমন সময় হঠাৎ করে একটা মেয়ে আমার কাছে এসে বলল এই ভাইয়া একটু চাপেন এই সিট আমার, আমি সরে বসলাম। একটা জিনিস লক্ষ করছিলাম সেটা হলো মেয়টা আমায় দেখে মুচকি মুচকি হাসছে বার বার।ঘটনা কিছুই বুঝলাম না।তবে মেয়েটা দেখতে অসম্ভব সুন্দরী। ফেসবুকে ঢুকলাম তার কয়েক মিনিট পর অনুও ফেসবুকে আসল ওকে বিষয়টা বললাম।লক্ষ করলাম আমার পাশে বসা সুন্দরী মেয়েটিও মোবাইল টিপছে আর হাসতেছে। অনু আমায় বলল
-নিলয় পাশে বসা মেয়েটাকে ভালো করে দ্যাখ তো!
-কেন?ঐ মেয়েকে দেখে আমার কি লাভ?
-তোকে দেখতে বললাম তুই দ্যাখ!
-ওকে,জানিস মেয়টা অনেক ফাজিল শুধু হাসে...
-তাতে তোর প্রব্লেম কোথায়?
-না কোনো সমস্যা নেই।
মেয়েটার দিকে একবার তাকালাম।মেয়েটা সত্যিই অপরুপ।পরের স্টেশনে নেমে গেল মেয়েটি আর যাওযার সময় মুচকি হাসি দিয়ে বলল, বাই নিলয়।
আমি শুনেই টাসকি খেয়ে গেলাম।মনে হলো ভুল শুনেছি!বাসায় আসলাম রাতে ফেসবুকে ঢুকলাম দেখি অনু ৫টা মেসেজ।প্রথম মেসেজ-কিরে হিরো মেয়েটাকে চিনতে পারছিলি?
দ্বিতীয় মেসেজ-তুই একটা আস্তো বলদ কারন তোর পাশে একটা মেয়ে বসে তোকে দেখে দেখে হাসল আর তুই তার সাথে একটা কোথাও বললি না?
তৃতীয় মেসেজ-গর্ধব মেয়েটা তোর বান্ধবী অনামিকা (অনু).
চতুর্থ মেসেজ-দোস্ত রাগ করিস না,আসলে তোক সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যেই তোকে আমার পরিচয় দেইনি।
পঞ্চম মেসেজ-তোকে সামনা সামনি এভাবে দেখতে পেয়ে আমি আসলেই অনেক আনন্দ পাইছি।
এখনো কথা গুলো মনে পড়লে অনেক অনেক ভালো লাগে।তারপর অনু আমাকে ওর পিকচার দেয় ওর সাথে ফোনেও কথা বলি।আমাদের বন্ধুত্বে এতটুকু কম ছিলনা।আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। কাল অণুর বিয়ে, প্রায় ছয়দিন আগে থেকে আমাকে যেতে বলছে ওদের বাসায়।আজ ওর গাঁয়ে হলুদ সকাল থেকে আমার ফোন অবিরত ভাবে বেজেই চলছে...জানি অনু কল দিচ্ছে ।কিন্তু ফোন ধরার শক্তিটুকু নেই আমার,অামি এখন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যুর প্রহর গুনছি...।আজ অণুর বিয়ে ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু আমি কিন্তু ওর বিয়েতে আমিই অনুপস্থিতি, মেয়েটা হতয় আমার উপর অভিমান করে বসে আছে কিন্তু আমিতো এখন নিরুপায়..।আজ লাল শাড়ি পড়ে অণু শশুড় বাড়ি চলে যাবে আর আজ হয়ত আমি সাদা কাপড় পড়ে চলে যাবো না ফেরার দেশে........।
#নিরব
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন