একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প

রাত ১১:৪৮,,আদ্রির একাধিক
ফোনে ঘুম ভাংলো অভ্রর।স্কীনে
আদ্রি নামটা দেখেই একটা
আলাদা রকম রাগ হলো অভ্রের।
তারপরেও কিছু না ভেবে
রিসিভ করলে ফোনটা,,
-হ্যালো(অভ্র)
-কিরে কই তুই?(আদ্রি)
-ফুটবল খেলি।কিছু বলবি?
রাতের বেলায়ও কি একটু মুক্তি
দিবি না?
-আমি সিরি থেকে নামতে
গিয়ে পড়ে গেছি।এখন বাসার
নিচে বসে আছি।একটু আয়
প্লিজ।আর কখনো তোকে জালাবো
না।
-অকে।এটাই শেষ
,,
অভ্র আর আদ্রি একই পাড়ায়
থাকে আর একই সাথে পড়াশুনা
করে।আদ্রি অভ্র দুজনে খুব
ভালো বন্ধু।যাহোক এখন মূল
কথায় আসি।
,,
অভ্র চলে আসলো আদ্রির বাসার
নিচে।এসেই দেখলো একটা
সুন্দর কেক,যার উপর লেখা
আছে Happy birthday Avro।
কেকের চারপাশে মোমবাতির
প্রাচীর।এসব দেখে অভ্র
টাসকি খেয়ে বলল,ঐ কুত্তি তুই
আমাকে একটা পাগল পেয়েছিস?
আগে বলবি না আজ আমার
জন্মদিন?
,,
আদ্রি বলল,তোর যে এই কথাটা
মনে নেই সেটা আমি বুঝতে
পারছি বলেই কেক নিয়ে
অপেক্ষা করছি।এখন আর কথা
বারাস না।তারাতারি কেকটা
কেটে আমাকে উদ্ধার কর।
,,
অভ্রের চোখ দিয়ে জ্বল
পড়ছে,একটা দীর্ঘশ্বাস ছেরে
কেকটা কাটল।তারপর এক টুকরা
কেক আদ্রির মুখে দিলো।আদ্রিও
এক টুকরা কেক অভ্রকে খায়িয়ে
দিলো।
,,
তারপর অভ্রকে বাসায় পাঠিয়ে
দিয়ে আদ্রিবাসায় চলে গেলো।
বাসায় যেতে যেতে অভ্র
ভাবলো,আদ্রি অনেকটা ভাবে
ওকে নিয়ে।
,,
পরের দিন কলেজে যায় অভ্র।
কিন্তু আদ্রি আজ আসেনি এখনো।
খুব মিস করছে আদ্রিকে।আগে
কখনো এতটা অনুভব করেনি
কখনো।
,,
আদ্রিকে ফোন দিয়ে দেখল
নাম্বারটা বন্ধ।অভ্র বুঝতে
পারলো না আদ্রির কি হয়েছে।
আজ কোনো ক্লাস করলো না অভ্র।
বাসার দিকে রওয়ানা করলো।
হাটতে হাটতে অভ্র আদ্রির
বাসার সামনে চলে আসলো।
কলেজ থেকে ফেরার পথে
আদ্রির বাসাটা অভ্রের বাসার
আগে পড়ে।
,,
অভ্র দারোয়ানকে বলল,আদ্রি
কি বাসায় আছে?দারোয়ান বলল
হ্যা আছে।আজ দিদিমনিকে
দেখতে আসছে।কথাটা শুনে অভ্র
ক্যমন জানো একটা শূন্যতা
অনুভব করলো।চুপচাপ বাসায়
চলে গেলো।
,,
বাসায় এসে অভ্র নিজের রুমের
দরজা দিয়ে শুয়ে আছে আর
ভাবছে,আদ্রির যদি বিয়ে হয়ে
যায় তাহলে ও কিভাবে
থাকবে?ওকে জ্বালানোর মত
কেউ থাকবে না।থাকবে না
ক্যাম্পাসে কথা বলার মত
কেউ।অভ্রের চোখ বেয়ে জ্বল
পড়ছে।
,,
রাতটা ও এভাবে কেটে গেলো।
পরের দিন সকালে আদ্রিকে
ফোন দিলো অভ্র।
-কিরে তুই ক্যাম্পাসে যাবি
আজকে?
-হ্যা।তুই যাবিনা?
-যাবো।অকে,ক্যাম্পাসে গিয়ে
কথা হবে।
,,
আদ্রি আর অভ্র দুজনেই
ক্যাম্পাসে আসলো।একসাথে
বসে আছে কিন্তু কেউ কারো
সাথে কথা বলছে না,,হটাৎ
আদ্রি বলল,আমি ক্লাসে যাবো
তুই যাবি?
,,
অভ্র বলল,কাল তোকে দেখতে
আসলো আমাকে বলার প্রয়োজন
মনে করলি না,একবার ভাবলিও
না তোর বিয়ে হয়ে গেলে আমি
কতটা একা হয়ে যাবো।
ক্যাম্পাসে কার সাথে কথা
বলব?স্বার্থপর কোথাকার।আর
কখনো আমাকে ডাকবি না।(চোখ
থেকে জ্বল পড়ছে অভ্রের)
,,
আদ্রি বলল,যদি এতোই ভাবিস
আমাকে নিয়ে তাহলে
সারাজীবন তোর পাশে থাকার
অধিকারটুকু দিতে পারিস না??
,,
অভ্রের চোখের জ্বল মৃদু
হাসিতে পরিনত হলো।আদ্রিকে
বলল চল আজ সারাদিন ঘুরে
কাটাই।দুজনে চলে গেলো
ঘুরতে।একটা পার্কে গিয়ে
হাটতেছে দুজন।হটাৎ আদ্রির
সামনে হাটুগেরে বলল,তোকে
অনেক ভালোবাসি পাগলী।
কখনো ছেরে যাবি না তো?
,,
আদ্রি অভ্রকে বুকে জরিয়ে
বলল,,হাদারাম এই কথাটা
বলতে এতদেরি করলি ক্যন?তোর
মুখ থেকে এই কথাটা শোনার
জন্য আমি গতকালের নাটকটা
সাজিয়েছিলাম।
,,
অতঃপর দুজনে পড়াশুনা শেষ
করে বিয়ে করে শুখে শান্তিতে
বসবাস করছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দিশাহীন চোখে খুজে যাই

পিচ্চি বলতে কিছুই নেই,সবাই সব কিছু বোঝে..

হায়রে জীবন আর তার কঠিনতম বাস্তবতা....