পোস্টগুলি

জুন, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

---------অপূর্নতা--------

চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে আছি।দূর থেকে ট্রেন আসার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল।অনিচ্ছা শত্বেও রিসিভ করলাম -ওই কুত্তা কই তুই? ওই তুই ট্রেন রাস্তায় এত রাতে কি করছিস।মরার জন্য যাস নাই তো? (আফসানা) -(কোমনে যে বুইঝা ফালাইলো) কি যে কস তুই।মরবো ক্যান। কয়েকটা ফ্রেরেন্ডের সাথে ঘুরতে আসছিলাম। -ভাল হয়ছে।এখন রাস্তা থেকে সর না হলে সকালে তোর বডিটা আলুভত্তা মার্কা অবস্হায় পাওয়া যাবে। -(হাই হাই আর এতটু হইলেই তো ট্রেনটা আমার উপর দিয়ে চইলা যাইত।যাক বাচছি।) ওই কুত্তি আমি কি মরার জন্য আসছি নাকি যে সুইসাইড করবো। তা হটাত আমাকে এত রাতে ফোন করার কারন? -ক্যান অন্য মেয়ে ফোন দেওয়ার কথা ছিল? -না।আপনি তো অল টাইমই মিস কল দেন।আজ হটাত ডাইরেক্ট কল দিলেন তো তাই বললাম।নিশ্চই কোন বিশাল ব্যাপার ট্যাপার আছে? -তোরে কি আমি স্বাদে আর কুত্তা বলি।তুই জীকনেও ভাল হবি না। তুই এখুনি আমার বাসার সামনে চলে আয়। -ক্যান? এখন পারবো না।ফ্রেন্ডের সাথে আছি।তোর বয়ফ্রেন্ড রে ডাক না? -ও আসলে কি আর তোরে কইতাম কুত্তা।যদি না আসিস তবে তোরে কাল পুকুরের জলে চুবামু কইলাম। রাখলাম আমি। ডেনজারাস...

আমার বন্ধাবী অণু

অনু আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী।ফেসবুকের মাধ্যেমে ওর সাথে আমার পরিচয়।আমি মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাই না কারন বেশির ভাগ মেয়ে আইডি গুলো ফেইক হয়ে থাকে তবুও অনেক ভেবে-চিন্তে একটা মেয়ে আইডিতে রিকুয়েস্ট পাঠালাম কিন্তু তিনদিন হয়ে গেল তবু একসেপ্ট করল তাই মেজাজটা একটু খারাপ হয়ে গেল।কয়েক ঘন্টা পর দেখি সে একসেপ্ট করছে, একটু খুশিই হলাম।মেয়েটার প্রফাইল দেখছি,কিন্তু এতো ঘটাঘটির পরেও মেয়েটা কোন পিক খুজে পেলাম না তার আইডিতে,মনে মনে ভাবলাম একেই আমার বন্ধু বানাবোই।মেয়েদের একটা খারাপ অভ্যাস আছে তাদের মেসেজ দিলে রিপ্লে করতে চায় না,মানে একটু এক্সটা ভাব দেখায়।তাই আমি ওকে চমকে দেওয়ার জন্য প্রথম মেসেজ দিলাম কিরে অনু, দোস্ত কেমন আছিস?ওমা!দেখি মেয়েটা সাথে রিপ্লেই করল আর বলল ভালো আছি তুই কে?দুঃখিত আপনি কে?আমি আমার পরিচয় দিলাম এই ভাবে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল।ফেসবুকে অনুর কোনোই ছবি দেওয়া ছিল না তাই আমি  ওকে কোনোদিন দেখিনি কিন্তু ও আমাকে দেখেছে, আমার ছবি ফেসবুকে আছে,আমি কোনোদিন ওর কাছ থেকে ওর ছবি দেখতে চাইনি আর প্রয়োজন মনে করি নি।ও যেইদিন ইচ্ছা করে ওর ছবি আমায় দেখাবে সেইদিনই দ...

ভূত FM by চায়না মোবাইল

ভূত FM হান্টেড বাই চায়না মোবাইলঃ রাস্কেল ভাই, আমি সরাসরি ঘটনায় চলে যাচ্ছি । ইটস সো উইয়ার্দ । ঘটনাটি ঘটে ক্লাস সিক্সে । স্কুল ছুটিরপর এক মেয়ের সাথে প্রায়ই কথা হত । মেয়েটি একদিন বলল,- তোমার মোবাইল আছে?- নাই ।- একটা কিনে ফেল তাড়াতাড়ি ।আমরা রাতজেগে মোবাইলে কথা বলব । আমি সেদিনই বাসায়গিয়ে আব্বাকে বললাম,- আব্বা মোবাইল লাগবে ।- কি করবি?- আমার ক্লাসের একবান্ধবী বলেছে সে নাকি রাত জেগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলবে ।- মানে প্রেম করবি? অকে । কালই তোকে মোবাইল কিনে দিচ্ছি ।পরেরদিন বাপজান মোবাইলকিনে দিল ।আমি প্রথমেই সেই বান্ধবীকে কলকরে জানিয়ে দিলাম মোবাইলকিনেছি ।রাত দুটায় মেয়েটিকে আমি কলদিলাম ।এরপর ঘটে আসল ঘটনা । যা আমি আজওভুলতে পারি না ।কথা বলতে বলতে একসময় মোবাইলকেটে গেল । আমি ভয়পেয়ে গেলাম!এ কিসের আলামত? কল কেটে গেলকেন?আমি বান্ধবীর নাম্বারে আবার কলদিলাম। এক মাইয়ার কন্ঠ শুনতে পেলাম ।তবে কন্ঠটা বান্ধবীর ছিল না ।সে বলল, আপনার মোবাইলে পর্যাপ্তব্যালেন্স নেই । অনুগ্রহপূর্বক রিচার্জকরুন । আমার অবস্থা তখন কাহিল । ভয়ে ঘামতে শুরু করলাম । ব্যালেন্সনাই মা...

কষ্ট খোর মানুষ……

আজ রাতে না খেয়ে থাকা মানুষ যদি কাল সকালের কাজের জন্য প্রিপায়ার্ড হয় তাহলে বুঝবেন মানুষটা কষ্টখোর । না খেয়ে থাকা মানুষগুলো চট করে কষ্ট গিলে খেতে পারে ... . শব্দহীন ভাবে প্রতিরাতে কষ্ট খেয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে ঘুমিয়ে যাবে । . মাথার উপর আগুনের ফুলকি ঝরে পড়বে ... তারপরও দেখবেন মানুষগুলো মানুষের সাজে সেজে কাজের জন্য বের হয়ে গেছে । . কষ্ট চেপে রাখার র্ধৈয্য ! ! ! . কতোটুকু র্ধৈয্য পেলে মানুষ কষ্ট চেপে রাখতে পছন্দ করে ? . কষ্টের ঝুরিতে প্রতিদিন একটা সাদা কাগজে কষ্ট জমিয়ে রাখার সাহস কয় জনের আছে ? . চট করে চোখের কোনায় পানি টলমল করার পরও কোন ফাকে চোখ মুছে সবার সাথে তাল মিলিয়ে হাসবে । আপনার খেয়ালের অগোচরে ঘটে যাবে সবকিছু ... . স্বপ্ন হারিয়ে একটা পরিবারকে জড়িয়ে আগলে রাখার চেষ্টায় ঘুম হারিয়ে যাবে । প্রতিদিন রাতে বারান্দায় দাড়িয়ে কালকের স্বপ্ন নিয়ে ভাববে । . কষ্ট চেপে হাসা , কষ্টের ভার কতোটুকু বাড়িয়ে দেয় ? . আমার সাথে একবার এক মানুষের সাথে দেখা হয়েছিলো । প্রতিদিন রাত দুইটার দিকে মানুষটা বাসার সাদে বসে চেয়ারে গা হেলিয়ে কাদে ... ...

হায়রে জীবন আর তার কঠিনতম বাস্তবতা....

হায় রে জীবন আর জীবনের সেই কঠিনতম বাস্তবতা...। আমাদের সামনে কষ্টে কেউ কেঁদে ফেললে হয়ত আমরা কেঁদে ফেলা মানুষটার জন্য মায়া বোধ করি,আর বেশি আবেগি হলে কিছু কথা বলে সান্তনা দেই এতটুকুতেই শেষ..পরবর্তীতে কখনো ঐ ব্যক্তির হাসি মুখ দেখলে একটু স্বস্তিবোধ করি আর মিথ্যা ধরণা পোষন করি নিজেদের মনে ভাবি ঐ ব্যক্তিতার দুঃখ কষ্ট শেষ সুখে আছে সে.. কিন্তু কষ্ট পাওয়া সেই ব্যক্তি ক্ষণিকের জন্য হাসি মুখ দেখাতে পারলেও পরবর্তীতে সে কষ্টেই থাকে..। আমরা পারি না ঐ কষ্ট থাকা ব্যক্তিটির চোখে পানি মুছে দিতে, পারি না ঐ ব্যক্তিটির চোখে ঐ ব্যক্তির হাত দিয়েই মুছাতে, শুধু বলি চোখের পানি মুছো সব ঠিক হইয়া যাবে কিন্তু সেই কষ্টে সিক্ত অশ্রুজল মোছা আর হয়না পড়তে পড়তে এক সময় শরীর সাথে শুকনো দাগ কেটে শুকিয়ে যায়।সেই সময় আমাদের কিছুই করার থাকে কিন্তু আবার অনেক কিছুই করার থাকে যা আমরা করতে পারি না।দুঃখে কষ্টে অশ্রুসিক্ত ব্যক্তি নিজের একটা সাপোর্ট চায় সেই কষ্টকে অতিক্রম করার জন্য কিন্তু তাকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউই থাকে না বা পায় না।কষ্টের আঘাতে জর্জরিত হয়ে সে হয়ে যায় অনেক ক্লান্ত আর...

ভালোবাসাটা ছিল অবুজ

নিরবের মোবাইল বেজে যাচ্ছে। –হ্যালো। বল। –তুই বিকেলে বগুড়া আসতে পারবি? ওপাশ থেকে মিতু বললো। –অবশ্যই পারবো। বান্দা এনিটাইম হাজির। কখন আসতে হবে? –বিকেল ৫ টার মধ্যে। –ওকে। আইএম কামিং মাই ডিয়ার। বিকেল পাঁচটা….বগুড়া সেন্ট্রাল শহীদ মিনার। মিতুকে আজ বিষন্ন মনে হচ্ছে। –মন খারাপ? মিতুর কোনো জবাব নেই। –কি হলো? কথা বল। উফ কি গরম রে বাপ!! আইসক্রিম খাবি? নিয়ে আসি? মিতুর জবাব নেই।নিরব আইসক্রিম নিয়ে হাজির। –এই নে। খা। কিরে ধর!! কতক্ষণ ধরে থাকবো? না খেলে বল, আমিই দুইটা সাবাড় করে দিচ্ছি। হাঃ হাঃ হাঃ –তুই আমার বাসায় আর আসিস না। আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করিস না। ফোনে কনট্যাক্ট করার চেষ্টা করিস না। গম্ভীর ভাব নিয়ে কথা গুলো বললো মিতু। নিরব তেমন পাত্তা দিলো না। এই আর নতুন কিছু না। মিতু মাঝে মাঝেই এমন করে। আবার ঠিক হয়ে যায়। –এই নে গল্পের বই। তোর জন্য এনেছি। পড়া শেষে দিয়ে দিবি। বললো নিরব। –না। নিবো না। আমি চাই না তুই বইয়ের বাহানা ধরে আমার সাথে কোনো প্রকারের দেখা করার চেষ্টা করিস। আমি যাচ্ছি। একটা রিকশা করে দে তো। নিরব কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিতু রিকশায় ওঠ...

পিচ্চি বলতে কিছুই নেই,সবাই সব কিছু বোঝে..

০৫-০৭-২০১০ মেয়েটির নাম রিহা,সাদিয়া রিহা। বয়সে আমার বছর তিনেক ছোট হবে। ছোট মেয়েদের উপর ক্রাশ খাওয়ার মত এত বড় বিড়ম্বনা আর নেই। যেই মেয়েটি ভাইয়া ভাইয়া বলে গলা ফাটায় তাকে কখনো ভালোবাসার কথা বলা যায়? তাকে ভালোবাসাটাও তো অন্যায়। আর আমি সে অন্যায়ই করেছিলাম। আজকে সেই গল্পই বলছি। ভালো লাগতো খুব ওকে কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয় নি পাছে ওর মনে একটা বিরূপ ধারনা জমে এই ভেবে যে যাকে বড় ভাইয়া বলে ভাবলাম এতদিন আজ সে ও ভালোবাসার কথা বলছে!!! তাই আর কখনো বলা হয়নি ভালোবাসার কথা। ওর সাথে প্রতিদিন দেখা হতো। আমি রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকতাম,ও কলেজে যেত। কিংবা আমি যখন বিকেলে বাসার সামনের গলিতে ক্রিকেট খেলতাম,ও কোচিং থেকে ফিরতো। যতবার দেখা হতো ততবারই কথা হতো। ও নিজে থেকেই বলতো। এই যেমন "কি ভাইয়া, আজকে কি হাফ সেঞ্চুরি হবে?" অথবা "রেড টি শার্টে তো আপনাকে দারূণ লাগে ভাইয়া।" আমি ও হেসে উত্তর দিতাম। মাঝেমাঝে মজা করতাম,এই যেমন, "কি প্রতিদিনই কি তোমার কোচিং থাকে? নাকি কারো সাথে দেখা করতে যাও।" ভালো একটা সম্পর্কই ছিল বলা চল...

যত স্বপ্ন ছিল...

যত স্বপ্ন ছিল.. চোখের পাতায় আজ কেন সব.. শ্রাবণ হয়ে ঝড়ে পরে.. মনের আঙিনায়। আমার মনের গভীরে ছিলে তুমি আজ কেন সেখানে ব্যথার সমুদ্র স্মৃতি ভাসে শ্যাওলা হয়ে হূদয়ের আরশিতে আছে কষ্ট জমে। ধুলো-মাখা পথের খোজে কখনো বা উদাসি দৃষ্টিতে জীবনের যত ব্যথা স্মৃতিতে কতকাল আর চেয়ে রবো.. এমনি করে।

ভালবাসা আর কষ্ট...

একদিন সকল অনুভূতি মিলে ঠিক করল তারা লুকোচুরি খেলবে ! প্রথমে 'কষ্ট' এর পালা সবাইকে খুঁজে বের করার । সবাই বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পরল । 'ভালবাসা' একটি গোলাপ গাছের আড়ালে লুকাল । কষ্ট একে একে সবাইকে খুঁজে বের করল তবে 'ভালবাসা'কে পেল না । সে সময় 'হিংসা' কষ্টকে বলে দিল 'ভালবাসা' কোথায় আছে। কষ্ট সেখানে গিয়ে ভালবাসাকে টেনে বের করার সময় কাটার আঘাত চোখে লেগে তার চোখ নষ্ট হয়ে গেল ! তখন কষ্টকে একটি সাজা দেয়া হল , তা হল , সর্বদা ভালবাসা এর সাথে থাকতে হবে । তখন থেকে 'ভালবাসা' যেখানেই যাক ,'কষ্ট' ছায়ার মত তার পিছে পিছে সেখানে পৌছে যায়

বিশ্বাস করা.....

এমন একজন কে বিশ্বাস করবে, যে তোমাকে দুঃখ দিয়ে নিজেকে অপরাধী মনে করে। এমন একজন কে ভালোবাসো, যার ভেতর সারাক্ষণ তোমাকে হারানোর ভয় থাকে।

বৃষ্টি হচ্ছে....

বৃষ্টি হচ্ছে, লাজুক জানালার পাশে দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে আর কি যেন ভাবছে। ৪ বছর আগে এমনি বৃষ্টি হত, কিন্তু লাজুক জানালার পাশে দাড়িয়ে থাকত না। দৌড় দিয়ে ছাদে যেত। বৃষ্টি তে মাখামাখি করত, একা একা কি কি সব কথা বলত আর হাসত। আজও লাজুক কথা বলে কিন্তু হাসেনা, লুকিয়ে কাঁদে। আচ্ছা, কালো মেয়েরা কি ভালবাসা পেতে পারেনা? শুভ লাজুককে খুব ভালবাসত। হয়ত ওর অভিনয় ছিল, কিন্তু লাজুক খুব বিশ্বাস করেছিল শুভকে। শুভ সুন্দরী মেয়ে দেখলে ঠিকই কথা বলার সুযোগ খুঁজতো কিন্তু জানতনা লাজুক তার ভালবাসার মানুষ এমন। বৃষ্টি তে ভিজতে চাইলে, শুভর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকত, অবাক হয়ে লাজুক শুভর মুখের দিকে থাকাতো কিচ্ছু বলতনা। পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি হাওয়া লাজুককে আবেগী করত করতনা তার ভালবাসা শুভকে। শুভ স্টাইলিশ ছেলে, হাতে চুড়ি, গলায় চেইন, আংগুলে আংটি। লাজুকের এসব ভাল লাগত না। লাজুক দেখত তার সাথে শুভর কত তফাৎ। একদিন শুভই বলে দিল, লাজুক তোমার সাথে আমার যায়না। আচ্ছা, শুভর সাথে লাজুকের যায়না নাকি লাজুকের সাথে শুভ?? সাধারণ সেই মেয়ে সাধারণ কাউকেই খুঁজেছিল, কিন্তু কি কারনে শুভর মত অসাধারণ ছেলেকে ভালবেসেছে সে জানেনা। তাই আজও লাজুক তার অসাধারণ ভাল...

দুবছর আগের কথা....

দুবছর আগের কথা।ক্লাশ ওয়ানের একটা বাচ্চাকে পড়ানোর দায়িত্ব পড়ল আমার উপর। প্রথম দিন ওকে একটু নাড়া দিয়ে দেখার ইচ্ছে হলো।প্রথমে প্রশ্ন করলাম -নাম কি তোমার? ওর খাতার কভার পেজ তুলে দেখিয়ে বলে দেখেন।সেখানে তার পূর্ননাম লিখা। কিছুটা হতভম্ব হয়ে পরের প্রশ্ন করলাম - ধরো তোমার কাছে পাঁচটা ডিম আছে।তুমি তিনটা খেয়ে ফেললা। আর কয়টা থাকে? ঃ একটাও না। - কিভাবে? ঃ আপনিতো আমারে চিনেন না। পাঁচটা ডিম সামনে পাইলেতো আমি সবগুলোই খেয়ে ফেলতাম। - ধরো তোমার আব্বু তোমাকে সকালে দুই টাকা দিল আবার বিকালে দুই টাকা দিল কত হলো? ঃ একটাকাও না। - মানে? ঃ আপনিতো আবার আব্বুকে চেনেন না।কখনো আব্বু আমাকে টাকা দেয়না।আম্মু দেয়। আমি মাথায় হাত রেখে বসে আছি। এমন সময় আন্টি ভিতর থেকে হাঁসতে হাঁসতে আমার কাছে এলেন।বলেন "ও অনেক দুষ্ট স্যার।সব মিরাক্কেল দেখে শিখেছে"। আমি বললাম " সমস্যা নেই ঠিক হয়ে যাবে। আংকেল আন্টি অমায়িক লোক। দোতলা একটা সুন্দর বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকেন।আংকেলই একমাত্র উপার্জনকারি। বছরখানেক পর আমার মেস রিপ্লেসমেন্টের জন্য টিউশানটা বাদ দিতে হয়েছিল।যদিও খারাপ লেগেছিল। দুবছর প...

বন্ধুর পরিচয়......

বন্ধু বলে পরিচয় দেই, কখনো কি ভেবে দেখেছি কেন তাকে বন্ধু বলছি..! না,,ভাবি না। বন্ধুত্ব কোন সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা বিচার করে না। বয়সে বন্দি নয় বন্ধুত্ব। লিঙ্গান্তর নিয়ে বিভেদ নেই বন্ধুত্বে। শিক্ষা-অর্থবিত্ ত-ধর্ম মানে না বন্ধুত্ব। কখনো কখনো রাস্তার একজন অশিক্ষিত টোকাই বন্ধু হয়ে যায়। বন্ধু শিক্ষিত হতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। কখনো কখনো একজন অসুন্দর মানুষ প্রাণের বন্ধু হয়ে যায়। বন্ধুত্বেই পবিত্র সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায়। বন্ধুত্ব যে কখন কোথায় তার স্থান দখল করে তা কেউ বলতে পারেনি, পারবেও না..।

ব্লগার মারুফ

এটা এই ব্লগের প্রথম পোষ্ট।আমি ব্লগার মারফ।সবাইকে স্বাগতম আমার ব্লগে।আমি অতি সাধারন একটি ছেলে, লেখালেখি আর কল্পনা করতে খুব পছন্দ করি।আমি টেকনোলোজি প্রতি খুব আগ্রহী।আমার ব্লগে সব বিষয়ের উপর স্ট্যাটাস দেওয়ার চেষ্টা করব।আমি ব্লগার হিসাবে সম্পূর্ণ নতুন।পরবর্তীতে ব্লগটির ডিজাইন করব এবং পরিচিতি বাড়ানোর উদ্দোগ নিব।ব্লগটিকে নতুন আঙ্গিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব।এতে আপনাদের সাহায্য ও মন্তব্য কামনা করছি। _মারুফ হাসান_

এটাই বাস্তবতা....

পোষা বিড়াল হারিয়ে কিংবা জ্বরের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মেয়েটা যখন মুঠোফোনে ছেলেটার গলায় ভালোবাসি শব্দ শুনতে চায়। ছেলেটা হয়তো ব্যস্ত বিকেলের ক্রিকেট খেলায়। তবু, দুজনই পাশে বসে ভুলে যায় সময়ের কাঁটার হিসেব। মেয়েটা খুব আশা করেছিলো, কান্না করলে ছেলেটার বুকে সে চোখের জল লুকোতে পারবে। কিন্তু ছেলেটা এতটা বিস্মিত ছিলো সে চুপ করে বসে ছিলো। তবু ফেরার বেলায়, রিকশায় বসা চশমা পরা মেয়েটার চুল গুলো এলোমেলো ভাবে এসে ছেলেটার মুখে পড়েছিলো। ভালোবাসার গভীরতায় ভেতরের রাগ কর্পূরের মত ঊড়ে গিয়ে ভালোবাসারা অবাধ্য চুলের মতই জীবন্ত থাকে। প্রচন্ড কষ্ট পাওয়ার পরও হয়তো মেয়েটা বলেঃ চাইলেই আজ আমি সব শেষ করতে পারতাম, শেষ হতে পারতো আমাদের গল্প। আবার সেই মেয়েটাই হয়তো ছোট্ট একটা ব্যাপারা নিয়ে অনেক কান্না করে। খুব চায় কেউ একজন হাত ধরে থাকুক। খুব ইচ্ছে করা সত্ত্বেও মুখে হাসি ঝুলিয়ে মেয়েটা চুপ থাকে। কিছু মূহুর্তে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, নিতে পারে না সঠিক পদক্ষেপ।কারন, ছেলেটাও একসময় কাঁদতো। ছাদের কোনে কবুতরের ঝাকের জন্য ধান ছড়িয়ে দিয়ে সেও ভাবতো কাউকে। কিন্তু সে নিজের কষ্ট নিয়ে বা...