নীল পরীর ভালোবাসা


নীল পরীর ভালোবাসা (খন্ড-১)
লেখা:অভিমানী পরী (Orshi)

-দোস্ত তুই এত সুন্দরী কেন?
-তুই যে কি বলিস আমি তো পেত্নি।
-না রে তুই সত্যিই সুন্দরী।আর শুধু সুন্দরীই নয় ককটেল সুন্দরী।
-ধ্যাত তুই যে কি বলিস না।
-আচ্ছা দোস্ত।
-হুম।
-একটা কথা বলব?
-হুম বল।
-আমি যদি একটা পরীর কাছে একটু ভালবাসা ভিক্ষা চাই সে কি দিবে আমায়।
-দিবে কি না জানিনা তবে তুই ট্রাই করতে পারিস।
-অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু লাভ হয়নি রে।
-এই ফাজিল মেয়েটা কে রে, আর কবে থেকে চলছে এসব।
-তুই যে কি চলিস না চালাতে আর পারলাম কোথায় বলতো এখনও তাকে জানাতেই পারলাম না।
-হুম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বলে ফেল।
-বলতে তো চাই কিন্তু যদি সে ফিরিয়ে দেয়?
-আরে নাহ তোর মত একটা কিউট ছেলেকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারে।
-তবুও যদি সে বন্ধুত্বটাই নষ্ট করে দেয়।
-সৈকত সত্যি করে বলতো মেয়েটা কে?
-তুই।
-দেখ সৈকত সবসময় ফান করবি না।
-আমি সিরিয়াসলি বলছি সাদিয়া,প্রথম দিন থেকেই তোকে ভালবেসে ফেলেছি।জানি আমার প্রতি তোর কোন ফিলিংসই নেই তবুও একটিবার সুযোগ দে আমায়।আমি তুই ছাড়া থাকতে পারব না রে।
-ছি ছি সৈকত তোর কাছ থেকে অন্তত আমি এটা আশা করিনি।
-প্লিজ সাদিয়া বোঝার চেষ্টা কর ভালবাসাটা কোন অপরাধ নয়।
-আমি ভাবতেই পারছি না সৈকত,আমরা শুধু ভাল বন্ধু তাই ছাড়া কিছু নয়।
-কিন্তু আমি তো তোকে অনেক কিছু ভাবি।
-সেটা তোর ভুল।
-আমি পারব না তোকে ছাড়া বাঁচতে।
-সৈকত তুই ভুল করছিস প্লিজ ভুলে যা।
-সাদিয়া আমি ভিক্ষা চাইছি তোর কাছে একটু ভালবাসা।(সৈকত সাদিয়ার হাত চেপে ধরেছে)
-সৈকত ছাড় আমাকে বলছি।
-না আগে বল ভালবাসবি।
-কি ছেলে মানুষি করছিস সবাই দেখছে তো।
-দেখুক আমার কি তাতে।
-সৈকত হাত ছাড়।
-আগে বল ভালবাসিস।
ঠাশ.........।কিছুক্ষন নীরব দুজন।
-সাদিয়া একটা কার্ড এগিয়ে দিল সৈকত এর দিকে।
-কি এটা?
-আমার বিয়ের কার্ড ছয়দিন পর আমার বিয়ে আর সেইজন্য তোকে ইনভাইটেশন কার্ড দিতে এসেছিলাম।
- সত্যি দোস্ত তোর বিয়ে।আগে বলিস নি কেন?(আড়ালে দুচোখের পানি মুছে মুখে হাসিফোটাল সৈকত)
-বলতেই তো এসেছিলাম কিন্তু তুই যা শুরু করলি তাতে বলা হল না।
-উফফ কতদিন যে দাওয়াত খাই না দোস্ত।আমাকে কিন্তু স্পেশাল কিছু দিবি।
-মানে?
-তোদের বিবাহিত জীবন সুখী হোক

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দিশাহীন চোখে খুজে যাই

হায়রে জীবন আর তার কঠিনতম বাস্তবতা....

ভালোবাসা ভালোলাগা এক নয়