জীবনে এমন অনেক ভালোবাসা
আছে যা দুঃখ
হয়েই বেঁচে থাকে...
কতোটা যে নিষ্ঠুর হয়ে গেছি
আমি, তা আমি জানি...।
হয়তো তুমি কখনো আমায় স্পর্শ
করোনি
তবুও আমার শরীর জুড়ে শুধুই তুমি...।
দিশাহীন চোখে খুজে যাই... শুধু খুজে যাই কি আশায়...?? এ শহর বড় অচেনা কেউ বোঝেনা হায়... জেগে থাকে মন চেনা নামে তার কেন আর ডাকেনা আমায়... লাগেনা, ভালো লাগেনা মায়াহীন এই পৃথিবী আর... যেতে চাই, মন পেতে চাই স্নেহভরা সেই পরশ আবার... একা প্রান, তবু খুজে যায় কোথা হারিয়ে গেছে মন... ভেজা চোখ ধরে রাখে আজ শুধু অবুঝ বোবা কান্না... দিশাহীন চোখে খুজে যাই... শুধু খুজে যাই কি আশায়...?? এ শহর বড় অচেনা কেউ বোঝেনা হায়...
০৫-০৭-২০১০ মেয়েটির নাম রিহা,সাদিয়া রিহা। বয়সে আমার বছর তিনেক ছোট হবে। ছোট মেয়েদের উপর ক্রাশ খাওয়ার মত এত বড় বিড়ম্বনা আর নেই। যেই মেয়েটি ভাইয়া ভাইয়া বলে গলা ফাটায় তাকে কখনো ভালোবাসার কথা বলা যায়? তাকে ভালোবাসাটাও তো অন্যায়। আর আমি সে অন্যায়ই করেছিলাম। আজকে সেই গল্পই বলছি। ভালো লাগতো খুব ওকে কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয় নি পাছে ওর মনে একটা বিরূপ ধারনা জমে এই ভেবে যে যাকে বড় ভাইয়া বলে ভাবলাম এতদিন আজ সে ও ভালোবাসার কথা বলছে!!! তাই আর কখনো বলা হয়নি ভালোবাসার কথা। ওর সাথে প্রতিদিন দেখা হতো। আমি রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকতাম,ও কলেজে যেত। কিংবা আমি যখন বিকেলে বাসার সামনের গলিতে ক্রিকেট খেলতাম,ও কোচিং থেকে ফিরতো। যতবার দেখা হতো ততবারই কথা হতো। ও নিজে থেকেই বলতো। এই যেমন "কি ভাইয়া, আজকে কি হাফ সেঞ্চুরি হবে?" অথবা "রেড টি শার্টে তো আপনাকে দারূণ লাগে ভাইয়া।" আমি ও হেসে উত্তর দিতাম। মাঝেমাঝে মজা করতাম,এই যেমন, "কি প্রতিদিনই কি তোমার কোচিং থাকে? নাকি কারো সাথে দেখা করতে যাও।" ভালো একটা সম্পর্কই ছিল বলা চল...
হায় রে জীবন আর জীবনের সেই কঠিনতম বাস্তবতা...। আমাদের সামনে কষ্টে কেউ কেঁদে ফেললে হয়ত আমরা কেঁদে ফেলা মানুষটার জন্য মায়া বোধ করি,আর বেশি আবেগি হলে কিছু কথা বলে সান্তনা দেই এতটুকুতেই শেষ..পরবর্তীতে কখনো ঐ ব্যক্তির হাসি মুখ দেখলে একটু স্বস্তিবোধ করি আর মিথ্যা ধরণা পোষন করি নিজেদের মনে ভাবি ঐ ব্যক্তিতার দুঃখ কষ্ট শেষ সুখে আছে সে.. কিন্তু কষ্ট পাওয়া সেই ব্যক্তি ক্ষণিকের জন্য হাসি মুখ দেখাতে পারলেও পরবর্তীতে সে কষ্টেই থাকে..। আমরা পারি না ঐ কষ্ট থাকা ব্যক্তিটির চোখে পানি মুছে দিতে, পারি না ঐ ব্যক্তিটির চোখে ঐ ব্যক্তির হাত দিয়েই মুছাতে, শুধু বলি চোখের পানি মুছো সব ঠিক হইয়া যাবে কিন্তু সেই কষ্টে সিক্ত অশ্রুজল মোছা আর হয়না পড়তে পড়তে এক সময় শরীর সাথে শুকনো দাগ কেটে শুকিয়ে যায়।সেই সময় আমাদের কিছুই করার থাকে কিন্তু আবার অনেক কিছুই করার থাকে যা আমরা করতে পারি না।দুঃখে কষ্টে অশ্রুসিক্ত ব্যক্তি নিজের একটা সাপোর্ট চায় সেই কষ্টকে অতিক্রম করার জন্য কিন্তু তাকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউই থাকে না বা পায় না।কষ্টের আঘাতে জর্জরিত হয়ে সে হয়ে যায় অনেক ক্লান্ত আর...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন