পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নীল পরীর ভালোবাসা

নীল পরীর ভালোবাসা (খন্ড-১) লেখা:অভিমানী পরী (Orshi) -দোস্ত তুই এত সুন্দরী কেন? -তুই যে কি বলিস আমি তো পেত্নি। -না রে তুই সত্যিই সুন্দরী।আর শুধু সুন্দরীই নয় ককটেল সুন্দরী। -ধ্যাত তুই যে কি বলিস না। -আচ্ছা দোস্ত। -হুম। -একটা কথা বলব? -হুম বল। -আমি যদি একটা পরীর কাছে একটু ভালবাসা ভিক্ষা চাই সে কি দিবে আমায়। -দিবে কি না জানিনা তবে তুই ট্রাই করতে পারিস। -অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু লাভ হয়নি রে। -এই ফাজিল মেয়েটা কে রে, আর কবে থেকে চলছে এসব। -তুই যে কি চলিস না চালাতে আর পারলাম কোথায় বলতো এখনও তাকে জানাতেই পারলাম না। -হুম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বলে ফেল। -বলতে তো চাই কিন্তু যদি সে ফিরিয়ে দেয়? -আরে নাহ তোর মত একটা কিউট ছেলেকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারে। -তবুও যদি সে বন্ধুত্বটাই নষ্ট করে দেয়। -সৈকত সত্যি করে বলতো মেয়েটা কে? -তুই। -দেখ সৈকত সবসময় ফান করবি না। -আমি সিরিয়াসলি বলছি সাদিয়া,প্রথম দিন থেকেই তোকে ভালবেসে ফেলেছি।জানি আমার প্রতি তোর কোন ফিলিংসই নেই তবুও একটিবার সুযোগ দে আমায়।আমি তুই ছাড়া থাকতে পারব না রে। -ছি ছি সৈকত তোর কাছ থেকে অন্তত আমি এটা আশ...

সরলতার প্রতিমা

তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা তুমি আমার চোখতে সরলতার প্রতিমা আমি তোমাকে গড়ি ভেঙ্গে চুড়ে শতবার রয়েছো তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ হৃদয় ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না লাগে না জোড়া লাগে না লাগে না জোড়া আমার পথে তোমার ছায়া পড়লে আড়াল করে থমকে সে যাবে জীবন ও গতি সে কি তোমার অজানা রয়েছো তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ হৃদয় ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না লাগে না জোড়া লাগে না লাগে না জোড়া শ্রাবন বেলায় তোমার কথা ভেবে বিষন্ন এ মন আশার পথে দিয়েছি পাড়ি , যেথা তোমার বিচরণ রয়েছো তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায়

দুঃখের ভালোবাসা

জীবনে এমন অনেক ভালোবাসা আছে যা দুঃখ হয়েই বেঁচে থাকে... কতোটা যে নিষ্ঠুর হয়ে গেছি আমি, তা আমি জানি...। হয়তো তুমি কখনো আমায় স্পর্শ করোনি তবুও আমার শরীর জুড়ে শুধুই তুমি...।

স্বাধীনতা তুমি – শামসুর রাহমান

ছবি
স্বাধীনতা তুমি রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান। স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা- স্বাধীনতা তুমি শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা স্বাধীনতা তুমি পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল। স্বাধীনতা তুমি ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি। স্বাধীনতা তুমি রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার। স্বাধীনতা তুমি মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী। স্বাধীনতা তুমি অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক। স্বাধীনতা তুমি বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ। স্বাধীনতা তুমি চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ। স্বাধীনতা তুমি কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা। স্বাধীনতা তুমি শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন। স্বাধীনতা তুমি উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন। স্বাধীনতা তুমি বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদীর রঙ। স্বাধীনতা তুমি বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে এক রাঙা পোস্টার। স্বাধীনতা তুমি গৃহিণীর ঘন খোলা কালো চুল, হাওয়ায় হাওয়...

অপূর্ব জোছনা হয়

কোন কোন রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরের উথাল পাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোন যোগ নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জাম গাছের পাতার সর সর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কি বিপুল বিষণ্ণতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি ... -------হুমায়ূন আহমেদ

আজও বুঝতে পারলামনা

জীবনটাকে আজও বুঝতে পারলাম না...!! নিজের অজান্তেই এমন কিছু ভুল হয়ে যায়...!! যা থেকে নিজেকে ফিরানো বড় দায়..!! না পারি সামনে যেতে, না পারি ফিরে আসতে না পরি সহ্য করতে, না পারি ভুলে যেতে 

আছো তুমি অনেক দুরে..

আছো তুমি দূরে দাড়িয়ে!!! কোন দিকে হাত দুটো বাড়িয়ে!!! তোমায় হারিয়ে তোমার আড়ালে ঠায় দাড়িয়ে!!! এখনো তোমার অস্তিত্ব আমার জীবনে!!! সামনে তুমি দাড়িয়ে,, কারো হাত জড়িয়ে!! তাই তোমাকে পারিনা বুকে জড়াতে!! বলতেও তাই পরিনা,,,তুমি যে আমার!!!!! তোমাকেই ঘিরে আমার অনুভুতি গুলো!!! তোমাকে নিয়েই আমার স্বপ্নলোক!!! তবু বলতে আমি পারিনা!!! তুমি আছ এখনো আমার!!! আমার অস্তিত্বের প্রতিটা ভাজে ভাজে!!! প্রতিটা রক্ত কনিকাতে মিশে!!! হ্রদয়ের ভালো লাগাতে!!!

ষ্পষ্ট বুঝতে পারি সবাই মানুষইতো..

ষ্পষ্ট বুঝতে পারি জানালা গলে রোদ্দুর এলে মানুষ আনমনা হয়, সুখ খোঁজে আলোর মাঝে আপন মনে বেদনা লুকোয় ছায়ার মতন। ষ্পষ্ট বুঝতে পারি রাত্রি নিবিড় হলে আঁধার বেধে দেয় তার আশ্চর্য সীমানা, কেউ ডুবে যায় অজ্ঞাত গহব্বরে কেউ ভেসে বেড়ায় ভাজে ভাজে সপ্নের মতন। ষ্পষ্ট বুঝতে পারি আমাদের অনেক ভেদাভেদ, অনুভূতির বশ্যতায় আলো আধারে আততিবিহীন, আমি তুমি আমরা আলাদা তবু সবাই মানুষইতো।