বাংলাদেশ: ভ্যালেন্টাইনস ডে/ভালোবাসা দিবস
বাংলাদেশ: ভ্যালেন্টাইনস ডে/ভালোবাসা দিবস
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস হচ্ছে প্রতি বছর ১৪ ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পালিত একটি দিবস। খৃষ্টীয় ৪৯৬ সাল থেকে এ দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হলেও বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের পর থেকে এ দিবসটি জনপ্রিয় হয়।
বাংলাদেশে এ দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম শুভেচ্ছাসূচক কার্ড, ফুল, চকোলেট বা উপহারসামগ্রী বিনিময় করে বিশেষত তরুণ তরুণীরা।
ইতিহাস
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে সাংবাদিক ও 'যায়যায়দিন' পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমানের হাত ধরে। তিনি লন্ডনে পড়াশুনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত ছিলেন। তিনি যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশী মানুষের কাছে তুলে ধরেন। তার তেজগাঁওয়ের পত্রিকা অফিসে কেউ চাকুরীর জন্য গেলে তাকে সাথে তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে যেতে হতো। ভালোবাসা দিবস অভিধা প্রথম ব্যবহার করেন শফিক রেহমান। এ কারণে শফিক রেহমানকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়। তিনি তার অফিসের সামনে সড়কটিরও নামকরণ করেন লাভলেন। বিভিন্ন টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তার প্রচারণার কারণে এবং বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে এ দিবসটি জনপ্রিয় হয়।
বিতর্ক
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস পালন নিয়ে নানামূখী বিতর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের কেউ কেউ মনে করেন, এ দিনটি উদযাপন করা সংস্কৃতি এবং ইসলাম ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়। ভালোবাসা দিবস নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও রয়েছে। ভালোবাসা দিবস পালনের আগে বাংলাদেশে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করা হতো। ১৯৮৩ সালে সেই সময়কার সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাবার সময় পুলিশ গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছিলো। তবে ভালোবাসা দিবস পালন করতে গিয়ে সে দিবস ছাপিয়ে গেছে। সরকার নিজেদের স্বার্থেই এ দিবস পালন অব্যাহত রেখেছেন বলে কারো ধারণা।
ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য
☞ ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা হয় বাৎসরিক ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, এর আনুষ্ঠানিক নাম, "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'স ডে"।
☞ উইকিপিডিয়ার সূত্র মতে দিনটির ধরন হলো- সাংস্কৃতিক, খ্রিস্টান, বাণিজ্যিক।
☞ ৪৯৬ সালে জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করা হয়।
☞ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি যে ভ্যালেন্টাইন'স ডে পালন করা হয় তা ক্যাথলিক গির্জা কর্তৃক নির্দিষ্ট। কিন্তু অর্থডক্স গির্জা কর্তৃক এটি জুলাই এর ৭ তারিখ পালন করা হয়।
ফিরে দেখা: ভ্যালেন্টাইন ডে'র ইতিহাস
ভ্যালেন্টাইন ডে-এর ইতিহাসের ব্যাপারে বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। এখানে তিনটে মত তুলে ধরছি—
১) ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ, তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন।
২) ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের কথা। তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তার ধারণা ছিল, বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হলে যুদ্ধের প্রতি পুরুষদের অনীহা সৃষ্টি হয়। সে সময় রোমের খ্রিষ্টান গির্জার পুরোহিত ‘ভ্যালেন্টাইন’ রাজার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গোপনে নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনের কাজ সম্পন্ন করতেন। এ ঘটনা উদ্ঘাটিত হওয়ার পর তাকে রাজার কাছে ধরে নিয়ে আসা হয়।
ভ্যালেন্টাইন রাজাকে জানালেন, খৃষ্টধর্মে বিশ্বাসের কারণে তিনি কাউকে বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হতে বারণ করতে পারেন না। রাজা তখন তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় রাজা তাকে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে ফিরে আসার প্রস্তাব দেন এবং বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেন। উল্লেখ্য, রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে বিশ্বাস করতেন এবং তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে এ ধর্মের প্রাধান্য ছিল। যা হোক, ভ্যালেন্টাইন রাজার প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার কথা পুনরায় ব্যক্ত করলেন। তখন রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। অত:পর রাজার নির্দেশে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পরে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রাধান্য সৃষ্টি হলে গির্জা ভ্যালেন্টাইনকে ` `Saint’ হিসেবে ঘোষণা করে।
৩৫০ সালে রোমের যে স্থানে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল সেখানে তার স্মরণে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। অবশেষে ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে `Saint Valentine Day’ হিসেবে ঘোষণা করেন।
৩) ক. প্রাচীন রোমানদের ধর্ম ছিল প্যাগান ধর্ম এবং তারা বিভিন্ন দেবতাদের পূজা করতো। লুপারকাস ছিল তাদের বন্য পশু দেবতা। এই দেবতার প্রতি ভালবাসা জানিয়ে তারা ‘লুপারক্যালিয়া’ (Lupercalia) নামক পূজা উৎসব করতো। এই ‘লুপারক্যালিয়া’ উৎসব আগে ফেব্রুয়া (Februa) নামে পরিচিত ছিল, যেখান থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের উৎপত্তি। রোমানরা এই ‘লুপারক্যালিয়া’ পূজার উৎসব ১৩, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়াতে পালন করতো যার মূল দিন ছিল ১৪ ফেব্রুয়া বা ফেব্রুয়ারি। এই পূজার প্রধান আকর্ষণ ছিল লটারি। বিনোদন ও আনন্দের জন্য যুবকদের মাঝে যুবতীদের বণ্টন করে দেয়াই ছিল এ লটারির উদ্দেশ্য। পরবর্তী বছর আবার নতুন করে লটারি না হওয়া পর্যন্ত যুবকেরা তাদের জন্য বরাদ্দ মেয়েদের এক বছর ভোগ করার সুযোগ পেত। এই ‘লুপারক্যালিয়া’র দিনে আরেকটি প্রথা ছিল। এদিন তারা ছাগল ও কুকুর তাদের দেবতাদের জন্য উৎসর্গ করতো; আর উৎসর্গিত ছাগল ও কুকুরের রক্ত গায়ে মেখে তাদেরই চামড়ার পোশাক ও চাবুক বানিয়ে যুবকরা ঐ চাবুক দিয়ে যুবতীদের আঘাত করতো। তাদের বিশ্বাস ছিল এতে যুবতী নারীদের গর্ভধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। রোমান শাসকেরা একসময় তাদের প্যাগান ধর্ম পরিবর্তন করে খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণ করে। ধর্ম গ্রহণ করলেও তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য জনগণের প্যাগান সংস্কৃতি ঠিক রেখে তা খ্রিস্টধর্মের ব্যানারে নিয়ে যায়। যেমন Sunday তে রোমান প্যাগানরা তাদের Sun God এর পূজা করতো। খ্রিষ্টান হওয়ার পর তারা Sundayকেই তাদের খ্রিষ্টান ধর্মের উপাসনার দিন বানিয়ে নেয়। ভ্যালেন্টাইন নামক এক পাদ্রি ছিল, তিনি তৃতীয় দশকে রোমে মারা গিয়েছিলেন... আর তার মৃত্যু দিন ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্যাগানরা ১৪ ফেব্রুয়ারিতে লুপারক্যালিয়া পালন করত, আর খৃষ্টানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত পাদ্রি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যু দিবস হিসেবে। যাই হোক, জনগণের মাঝ থেকে প্যাগান ধর্মের চিহ্ন মুছে ফেলতে গেলাসিয়াস নামের খ্রিষ্টান পোপ এবার রোমান গড লুপারকাস এর বদলে খ্রিষ্টান পাদ্রী সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন এর নামে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন ডে ঘোষণা করে। তখন প্যাগানদের লুপারক্যালিয়াই রূপান্তর হয় খ্রিস্টানদের ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ তে।
এছাড়াও আরেকটি ঘটনা উল্লেখ্যে যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়েদের নাম লিখে লটারী করা হতো। এরপর নাম লেখা ঐ র্্যাফেল ড্র এ যার নাম উঠতো যুবকরা পরবর্তী ১বছর ঐসকল মেয়েদের আবার লটারী না হওয়া পর্যন্ত ভোগ করতো!
যাই হোক, উপরোক্ত তিনটি ঘটনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ভ্যালেন্টাইন দিবসের সাথে ভালোবাসা বা love making এর কোন সম্পর্ক নেই। প্রথম দুটি ঘটনা দ্বারা বোঝা যায়, পাদ্রি ভ্যালেন্টাইনকে ধর্মীয় কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৩য় ঘটনা থেকে বুঝে আসে যে, এই ভালবাসা দিবস হল একটি পূজার দিন। যেদিনটায় যুবকদের মাঝে লটারি করে ভোগের জন্য যুবতীদের বিলিয়ে দেয়া হত। সেই নারীদের ভোগ করার একটি ভিন্নধর্মী উৎসবকে নিজেদের ধর্মে প্রবেশ করিয়ে হালাল(!) উৎসবে রিপ্লেস করতেই ভ্যালেন্টাইন দিবসের জন্ম।
কাজেই ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস জানা থাকলে যে কেউই একে ভালোবাসার দিন হিসেবে ভাবতে কিছুটা হলেও দ্বিমত পোষণ করবেন।
সকল ইসলামিক স্কলার একমত যে, এই দিনটা মুসলমানদের জন্য উদযাপন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমন কি খ্রিষ্টানদের মতেও এটা পালন করা নিষেধ ছিল।
আজকাল যা হচ্ছে এটি মোটেও ভ্যালেন্টাইনের চেতনা ছিল না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ার কারণেই ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সেদেশের আদালত।
শুধু পাকিস্তান নয়, আরো অন্তত ৫টি দেশ আছে যেখানে ভালোবাসা দিবস উদযাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৬০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়ায় ভালোবাসা দিবস উদযাপনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ ইরান ২০১১ সালে ভালোবাসা দিবসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সে সময় সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, হৃদয়, অর্ধ-হৃদয়ের প্রতীক, লাল গোলাপ এবং এই দিন সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের কার্যক্রমের কারণে জরিমানা, কারাদণ্ড ও এর চাইতেও ভয়াবহ সাজা হতে পারে।
রাশিয়ার বেলগ্রাডে ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়। আধ্যাত্মিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
সৌদি আরবেও ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে থেকেই যে কোনো ধরনের ফুল, লাল রঙয়ের পণ্য, ভালোবাসা দিবসের কার্ড বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যেও ভালোবাসা দিবস উদযাপনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ভালোবাসা দিবস পালনের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীরাও। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির সোরাবায়া শহরে ভ্যালেন্টাইনস ডে এর বিরুদ্ধে র্যালি করে তারা।
এতকিছু জানার পর তবুও আমরা এ দিনটিকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে কী মনে করে পালন করে থাকি, তা আমার কাছেও বোধগম্য নয়। তাছাড়া দিনটি উইকিপিডিয়াতে ধরন উল্লেখ করা আছে সাংস্কৃতিক, খৃষ্টান, বাণিজ্যিক। কোনোকালেই এটা মুসলিমদের জন্য ভালোবাসা দিবস হতে পারেনা।
সবচেয়ে বড় কথা- ইসলামে মুসলমানদের জন্য উৎসব ২টি- ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা। অতএব, পশ্চিমা বিজাতীয় অপসংস্কৃতি বেহায়পনা অশ্লীলতা কর্মকাণ্ডমূলক ভ্যালেন্টাইন ডে কে "না" বলুন।
[Quora, Wikipedia & Online portal'র ভ্যালেন্টাইনস রিপোর্ট অবলম্বনে]
𝙕𝙚𝙖𝙙 𝙈𝙤𝙡𝙡𝙞𝙘𝙠
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন