পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুমি বরং তুমি হয়ে যাও

__রুদ্র তুমি একটা গল্প হয় যাও, একটা জীবনের গল্প। যেখানে সুখ হবে নীল আকাশের মত, আর দুঃখ থাকবে অল্প অল্প। তুমি আকাশের চাঁদ হয়ে যাও, অথবা ঐ মহাশুন্য । তুমি না হয় পূর্ণতা হয়ে যাও, অন্য কারো জন্য। তুমি একটা চিঠি হয়ে যাও, একটা সাদা খামের চিঠি। তুমি একটা ঠিকানা হয়ে যাও, হয়ে যাও সেই চিঠিটার ইতি। তুমি বরং তুমি হয়ে যাও, অন্য এক তুমি। আমি না হয় আমি হয়ে যাই নিজের ভিতর নিজেই থামি।

ভালোবাসার প্রস্তাব

পুরাতন সময়ে যখন গ্রামে মাটির ঘর নির্মিত হতো তখন তার ভেতরে অন্ধকার দেয়ালে সাদা মাটির প্রলেপে নশকা করা থাকতো আর সন্ধ্যের নামার সাথে সাথে পিদিম জ্বলে উঠতো সেই ছোট্ট মাটির কুঠিরে।পিদিমের সোনালী আলোয় দোয়ালের নকশা গুলো ফুটে উঠতো।অন্ধকার ঘুচে আলো আসতো। তুমি কি পিদিম হাতে আমার মনের দেয়ালের অন্ধকার দূর করে আমায় আলো দেখাবে? দেখবে কি নশকা গুলো যেটি তোমার জন্যে আকা?

মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা

মধ্যেরাতের নিঃস্তব্ধতায় ইচ্ছে হয় মুখোমুখি বসে চোখে চোখে কথা বলার। ইচ্ছে হয় কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ঘুমন্ত নগরীর শান্তমুখ দেখার..।হয়ত তখন কোনো এক ভবনের বারান্দায় ফোনে কথা বলতে বলতে চোরা চোরা মুখে গেটের পাশে চোখ রাখবে অল্পবয়সী এক তরুণী। প্রেমিক তার একা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে একটিবার মুখ দেখার।সেদিকে তাকিয়ে থেকে আমি তোমাকে হেসে বলবো,"জানো,আমি না কখনো কারো জন্যে অপেক্ষা করিনি।'বারান্দায় আসো একটিবার দেখবো তোমায়'বলার সুযোগ কখনো হয়নি।"তুমি হয়তো তখন হেসে বলবে,"নীচে গিয়ে টেক্সট করো আমায়,আমি দাড়াচ্ছি বারান্দায়। তোমার জীবনের এই অপূর্ণতা পূর্ণ করতে দাও আমায়।"আমি তখন হেসে বলবো,"বয়স তো কম হলো না।এই বয়সে এসব পাগলামি এখন আর মানায় না।" এভাবে বলতে বলতে কথা,রাত নেমে ভোরের আলো ফুটবে চারদিকে। আস্তে আস্তে জেগে উঠবে ঘুমন্ত নগরী। নিঃস্তব্ধতা হারিয়ে গিয়ে কোলাহলে মেতে উঠবে চারপাশ।আলার্ম ঘড়ি তখন বেজে উঠে জানান দিবে,সময় হলো যান্ত্রিকতার। জানালা ছেড়ে উঠে সকালের কফিতে চুমুক দিয়েই শুরু করতে হবে দিন।ম্নান করে তৈরি হয়ে প্রতিদিনের মতো বসতে হবে ডাইনিং টেবিলে।অর্ধসমাপ্ত ব্রেকফাস্ট ফ...

যেখানে মেঘ এসে ছুঁয়ে দিয়ে যায়

১. সকাল ১০ টা বেজে পাঁচ মিনিট,বালিসের পাশে রাখা মোবাইল ফোনটি বেজে উঠলো।মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি আখি ফোন দিয়েছে।ঘুম ঘুম চোখে রিসিভ করলাম কিন্তু হ্যালো বলার সুযোগটা আর পেলাম নাহ্...  -কই হারামি ফোন ধরতে এতো সময় লাগে কেন?? -আ!আ!আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম!  -ঘুমাচ্ছিলি মানে?এখন কয়টা বাজে? এতো বেলা -হইছে এখতো বিছানায় কেন হ্যা???ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে সোজা আমার ক্যাম্পাস চলে আসবি..অনেক লেট করে ফেলছিস। (একদমে বিরতিহীন ভাবে বলেই চললো।আমার কাপালে আজ খারাপ কিছুই আছে) -হু আসতেছি! -কিসের হু! উঠ এক্ষুনি!  ফোন রেখে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।ভাগ্যিস ব্যাগটা মনে করে রাতে গুছিয়ে রেখেছিলাম। দিনাজপুরের বাসে উঠে পড়লাম বগুড়া থেকে দিনাজপুর খুব বেশি দূরে না মাত্র আড়াই ঘন্টার রাস্তা।ওহ হ্যা বলাই তো হলোনা এই আখি টা কে, আর আমি কেনই বা দিনাজপুর যাচ্ছি।ইসস্ রে আমার সম্পর্কেও তো কিছু বলিনাই!  আমি মারুফ আমার বাসা বগুড়াতে তবে পড়াশোনার সুবাদে থাকতে হয় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এবার আসি আঁখির প্রসঙ্গে..আখি আমার খুবই ভালো বান্ধবী,যদিও আমাদের বন্ধুত্বের শুরু অ...

হিমু হাতে কয়েকটি নীল করেনা

ছবি
পাছায় বিরাট পাঁচটা লাঠির বাড়ি খেয়ে এই মুহূর্তে বসে আছি কাঁঠালবাগান ঢালের মুখে। বাড়ি দিয়েছেন কলাবাগান থানার ওসি। অপরাধ, করোনা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমি মাস্ক ছাড়া খালি পায়ে সুন্দরবন হোটেলের সামনে দাঁড়ানো জামাই-বউ চানাচুরের দোকান থেকে চানাচুর খাচ্ছিলাম। চানাচুর খেতে গিয়ে লাঠির বাড়ি খাওয়া একটা দুঃখজনক ব্যাপার। তবে এই দুঃখের অবশ্য ভাগিদার পাওয়া গেছে। চানাচুরওয়ালার পাছায়ও দশটা বাড়ি পড়েছে লাগাতার। পাতলা কাপড়ের প্যান্ট। দাঁত মুখ খিচ দিয়ে 'উহ উহ' আওয়াজ করার জন্য বাড়ি আরও কয়েকটা বেশি খেয়েছে চানাচুরওয়ালা। এভাবে আওয়াজ করলে পুলিশ বাড়ি দিয়ে আরাম পায়। বাড়ি দেয়ার সময় পুলিশের চোখমুখের ভাব হয় অখিলবন্ধু ঘোষের গানের মতো- 'যেন কিছু মনে করোনা'। দূরদর্শী শিল্পী। কত আগের গান। তার কথার মাঝেও 'করোনা'। নেমপ্লেটের দিকে তাকিয়ে নাম পড়ার চেষ্টা করে 'পরি..' অবধি পড়তে পড়তেই ওসি সাহেব আমার পাছায় আরও দুটো বাড়ি দেয়ায় নামটা আর পড়তে পারি নাই। একজন ওসির নাম পরি হবার কোন কারণ নাই। পুলিশ আর পরি খুব বিপরীত দুইটা জিনিস। তাছাড়া পরিরা পাছায় এত জোরে বাড়ি দেবে না। জ্বিন দিতে পারে। আমি ওস...

অধরা স্বপ্নেরা

মধ্যেরাতের নিঃস্তব্ধতায় ইচ্ছে হয় মুখোমুখি বসে চোখে চোখে কথা বলার।ইচ্ছে হয় কফির মগে চুমুক দিতে দিতে ঘুমন্ত নগরীর শান্তমুখ দেখার।হয়ত তখন কোনো এক ভবনের বারান্দায় ফোনে কথা বলতে বলতে চোরা চোরা মুখে গেটের পাশে চোখ রাখবে অল্পবয়সী এক তরুণী। প্রেমিক তার একা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে একটিবার মুখ দেখার।সেদিকে তাকিয়ে থেকে আমি তোমাকে হেসে বলবো,"জানো,আমি না কখনো কারো জন্যে অপেক্ষা করিনি।'বারান্দায় আসো একটিবার দেখবো তোমায়'বলার সুযোগ কখনো হয়নি।"তুমি হয়তো তখন হেসে বলবে,"নীচে গিয়ে টেক্সট করো আমায়,আমি দাড়াচ্ছি বারান্দায়। তোমার জীবনের এই অপূর্ণতা পূর্ণ করতে দাও আমায়।"আমি তখন হেসে বলবো,"বয়স তো কম হলো না।এই বয়সে এসব পাগলামি এখন আর মানায় না।" এভাবে বলতে বলতে কথা,রাত নেমে ভোরের আলো ফুটবে চারদিকে। আস্তে আস্তে জেগে উঠবে ঘুমন্ত নগরী। নিঃস্তব্ধতা হারিয়ে গিয়ে কোলাহলে মেতে উঠবে চারপাশ।আলার্ম ঘড়ি তখন বেজে উঠে জানান দিবে,সময় হলো যান্ত্রিকতার। জানালা ছেড়ে উঠে সকালের কফিতে চুমুক দিয়েই শুরু করতে হবে দিন।ম্নান করে তৈরি হয়ে প্রতিদিনের মতো বসতে হবে ডাইনিং টেবিলে।অর্ধসমাপ্ত ব্রেকফাস্ট ফেলে...

অচেনা ঝপসা শহর

ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার দিন ক্যালকুলেটর ছাড়াই চলে গিয়েছিলাম পরীক্ষা দিতে! ক্যালকুলেটর ছাড়া অংক আর মেলাতে পারছিলাম না, তাই পাশের মেয়েটার কাছে ক্যালকুলেটর চাইলাম। মেয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলল, ক্যালকুলেটর ছাড়া আসছেন ভর্তি পরীক্ষা দিতে? এত ইরেস্পন্সিবল কেন? মেয়ের কথা শুনে হলের ছেলে মেয়ে সব হেসে ফেলল। আর আমার মুখটা করুন হয়ে গেলে মেয়েটা বলল, স্যরি, এই নেন ক্যালকুলেটর। পরীক্ষা শেষে বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি রিকশার জন্যে আর তখন হলের ওই মেয়েটা এসে বলল, শুনুন আমি ঢাকার বাহিরে থাকি, ছোট মামার বাসায় উঠেছি ভর্তি পরীক্ষার জন্যে। আমার সাথে মামা এসেছিল, এখন মামাকে খুঁজে পাচ্ছি না। আর আমি মামার বাসার ঠিকানা জানি কিন্তু ভালোভাবে ঢাকার কিছুই চিনি না। আমার সাথে একটু অপেক্ষা করবেন মামার জন্যে? এইবার আমার প্রতিশোধের পালা। চিৎকার দিয়ে বললাম, ঢাকা শহর চেনেন না আবার আসছেন ঢাকায় পরীক্ষা দিতে? আমার চিৎকার শুনে যে মেয়ে কেঁদে ফেলবে তা বুঝি নাই! আইসক্রিম দিলাম, চীনাবাদাম দিলাম, ঝালমুড়ি খাওয়ালাম তবুও বালিকা ফুঁপিয়েই যাচ্ছে! ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল, এই জন্যে আমি ঢাকা আসতে চাই না। ঢা...