এন্টারটেইনার জাতি আমরাই
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এন্টারটেইনার জাতির স্বীকৃতি যদি কাউকে দেওয়া হয় তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে বাঙালীকে দেওয়া উচিৎ। এই দেশের প্রত্যেকটা
ডিপার্টমেন্টেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে খালি বিনুদুন আর বিনুদুন।
.
এই দেশের পাবলিক টয়লেট গুলোও বিনুদুনের একটা অন্যতম স্থান। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পাবলিক টয়লেটে গেলে ব্যাপুক প্রকার ভিন্নধর্মী বিনুদুন মিলে। টয়লেট গুলোর দরজা আর দেয়াল
জুড়ে মজার মজার সব লেখা দেখলে আপনি হাগু করতে করতেও দাঁত বের করে না হেসে পারবেন না।
.
এই যেমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হলের টয়লেটের দেয়ালে লেখা ছিল,
"আপনার হাগু আপনার সম্পদ, দয়া করে অন্য কারো জন্য ফেলে রেখে যাবেন না!"
.
চারুকলা একাডেমীর টয়লেটের দরজায় লেখাছিল, "আপনার ত্যাগকৃত মল কোনো শিল্পকর্ম নয়, তাই অন্যকে প্রদর্শনের জন্য রেখে যাবেন না!"
.
'৯০ এর দশকে নটরডেম কলেজে একটা টয়লেটের ওয়ালে লেখা ছিল "ওহে মহাজ্ঞানী, মুতিয়া লইয়ো পানি!"
.
সিলেটের একটা স্কুলের টয়লেটের দেয়ালে কমেডে ঠিক উপরে লিখাছিল,
"তুই যে লাটের বেটাই হইস না ক্যান?
আমার সামনে আসলে তোর পায়জামার ফিতা খুলা লাগবেই।"
.
ঢাকায় একটা সরকারি অফিসের টয়লেটের ওয়ালে লেখাছিল, "ভোগে নয়, ত্যাগেই শান্তি!"
.
পুরানো ঢাকার এক টয়লেটের ওয়ালে লিখা ছিল কুকুর দাঁড়িয়ে টয়লেট করে।
.
আরেকটা পাবলিক টয়লেটের ওয়ালে কে যেন লিখে রাখছিল, “ডানে দেখুন, তারপর ডানে তাকালে বামে দেখুন, বামে তাকালে লেখা থাকতো
পিছনে দেখুন, পিছনে তাকালে লেখা থাকতো, ঐ মিয়া টয়লেটে বইসাও এতো মোচড়া মুচড়ি করেন কেন?”
.
কোন একটা শপিংমলের টয়লেটের দরজায় এমনটা লেখাছিল, "যাহা ফেলিয়া যাচ্ছেন উহা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ। হইলে সঙ্গে করিয়া নিয়া যান, না হইলে এক বদনা পানি ঢালিয়া যান!"
.
সেই অনেক আগে একটা ভার্সিটি হলে নতুন কমোড বসানো হয়েছিল, তো সেখানে আদি বাঙালী কমোড ব্যাবহার করা ছাত্ররা সেটা সঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে পারতো না, তো একদিন
কর্তৃপক্ষ টয়লেটের দরজায় লিখে রাখলো, "আপনি যদি পা ঝুলাইয়া বসিয়া, আমার
এই লেখা স্বাচ্ছন্দে পড়িতে পারেন, তার মানে আপনি সঠিক অবস্থানেই বসিয়াছেন!"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন