তোমার অপেক্ষায়-গল্প
প্রথম দেখা তোমার সাথে একটা
চায়ের দোকানের পাশে আমি
দাঁড়িয়ে আছি বন্ধুদের সাথে আড্ডা
দিচ্ছি।
তারপর রাস্তার দিকে তাকিয়ে কি
জানি ভাবছি হঠাৎ চোখ টা অন্য
দিকে,,গিয়ে পরল।
কারো চোখে চোখ পড়ল।
জানি না কে সে মনে হল অজানা
অস্পরসি।
আমি পুরো নিশ্চুপ হইয়ে রইলাম।
তার দিকে আমি তাকিয়ে রইলাম কিছু
অনুভব করছি।আমি ভালভাবে দেখতে
পারিনাই,কারন বোরকা পরা
ছিল,আসলে স্কুল এ যাচ্ছিল।
শুধু চোখের দিকে তাকিয়ে যে
সৌন্দরয্
দেখছি তাতে চলবে,,,না জানি
বাইরে থেকে এত সুন্দর,, বোরকার তলে
না কি হতে পারে,,তাই আজ আড্ডা
থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় গেলাম,,
গিয়ে গোসল। করে,, বসে বসে তার
কথা ভাবছি।এইভাবে রাতে ও তাকে
মনে পড়ল,, আর অনেক কষ্টে ঘুমালাম,আর
ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি করে চলে
গেলাম,,সে খানে চায়ের দোকানের
পাশে ঠিক অই সময় দাঁড়িয়ে আছি,,শুধু
অই মেয়েটি কে দেখার জন্য।তারপর
আজ ও আসছে আমার সামনে দিয়ে
যাচ্ছে।
আর আমি তাকে মন ভরে দেখছি।বেশ
কিছু দিন এইভাবে যায়।আর অই মেয়ের
সাথে থাকে আরও তিনজন মোট ৪ জন
একসাথে যায়।আর অদের সাথে
এইভাবে অনেক দিন যায়।
তারপর একদিন তার নাম জানলাম অদের
তিনজন এর নাম জেনেছি,,মরিয়ম(যার
চোখ দেখে আমি
পাগল),সুচনা,নাহিদা,আর একজন এর নাম
জানা হয় নি।
আর আমি হল মরিয়ম এর জন্য অপেক্ষা
করি সেই চায়ের দোকানের
পাশে,,প্রতিদিন আর ওদের পিছু নিতে
নিতে স্কুল এর দরজার আগ পযন্ত আমি
যাই।
আর আমি ওকে বোরকা ছাড়া দেখি
নি।
এখন তাকে দেখার জন্য তারপিছু আছি।
আমি জানি একদিন হলে ও দেখতে
পারব।
হঠাৎ একদিন মরিয়ম এর পিছুনে যেতে
যেতে স্কুল এর প্রথম দরজার থেকে একটু
দূরে তাকিয়ে আছি,,ও বোরকার
মুখোসটা খুলে পিছ্যে তাকিয়ে
দেখে আমি,,ওপুরা অবাক কারন আমি ওই
খান পযন্ত যায় না,আজ গেলাম তাই।
আর আমি ওকে দেখে পুরাই ফিদা হইয়ে
দাঁড়িয়ে রইলাম, আর সাথে একটা বন্ধু
থাকত,,সে আমাকে টেনে নিয়ে আসল।
আর আমার ওই বন্ধুর না রফিকুল ও মরিয়ম এর
সাথের বান্ধুবিকে পছন্দ করে নাম
সুচনা।
আস্তে আস্তে ওদের সাথে অনেক দিন
এইভাবে গেল প্রায় ৩ মাস হবে।
কিন্তু একবার ও কথা বলার চেষ্টা
করিনি,,আমি জানি ওরা চারজন খুব
ভাল মেয়ে, যারা একসাথে থাকে।
নিজেদের বিপদে আপদে নিজেরা
পাশে থাকে,,তাই ভাবলাম রাস্তাই
দাঁড়িয়ে কথা বললে খারাপ
ভাববে,,,কিন্তু কোন উপাই নাই,,এছাড়া
আর কথা বলার জায়গা নাই।তারপর
নিজে কথার বলার চেষ্টা করলাম,।
কোন কথার জবাব দিলে না।
যদি জবাব দিত এই মন সান্তনা পেত।
আমি এত দিন যে ওর পিছু ও জানত
না,বুজত না যে আমি তাকে
ভালবাসি,সে কি বুঝে না।
তারা যেন শুনে কষ্ট দেয়।
আর আমাকে সে ভালবাসে কিনা
জানি না।
আর আমি আসলে ভালবাসা কি
জানতাম না,, বুজতাম না।
শুধু আমার বন্ধু সিফাত এর কাছ থেকে
শুনেছি, ওর ভালবাসা ওএই রকম ছিল।
আর তার বাস্তব প্রমান আমি মরিয়ম কে
ভালবেসে বুজেছি।
ভালবাসা মানে তাদের মনের মাঝে
মাঝে গভির রাতে একা একা কথা
বলা,আর তাকে মনে করা।
তার মাঝে যেন হারিয়ে গেছি
নিজে ও জানি না।
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেছিলাম অনেক
কিছু জানার তুমাকে বড় ভালবেসে।
তোমাকে ভালবেসেছি অনেক।তাই
দাঁড়িয়ে থাকি রৌদের ভিতরে
কোনদিন পায় কোনদিন পাই না।প্রায় ৩
মাস পরে এই মাস এখন রমজান মাস।
তারপর ও রোজা রেখে তার জন্য
অপেক্ষায় থাকি।তবে একদিন যোহর এর
সময় নামাজ পরে ১.৩০ মিনিট এ
দাঁড়িয়ে আছি রোজা রেখে।
অনেকটা খারাপ লাগছে রৌদের মধ্যে
দাড়িয়ে ১.৩০-৩.০০ পযন্ত তাই পরে
ভেবেচলে আসলাম না পেয়ে বাসায়।
আর এত দিন যে আমি ওর পিছুনে আমি
গেছিও বাসার গেট এ জাওয়ার সময়
একবার ও পিছে ফিরে তাকায় না।
এইটা কি ভালবাসা নাকি আমি
জানি না।
আর মরিয়ম আজও তুমাকে ভালবাসি
ভালবেসে যাব।
আই লাভ ইউ।
আমি তুমাকে ভালবাসি প্রপোজ করে
দিলাম।
মনে মনে প্রপোজ করলাম।
আর তুমার উত্তর এর অপেক্ষায় আজ ও
আমি থাকব আছি ওই রাস্তার পাশে আর
তুমার মনের জানালার পাশে।
যখন ডাক দিবে আমাকে তুমার পাশে
পাবে।
সবসময় আর তুমার জীবনে একটা কালো
রাজকুমার আজও অপেক্ষায় বসে আছে
মনের দরজা খোলা রেখে। তোমার
একটা উওর এর জন্য আমার খুশি ঈদ এর
চেয়ে বেশি কিছু হবে।
আর এই ঈদ এ তুমি একমাত্র পার আমাকে
ঈদ এর শ্রেষ্ঠ উপহার।
যা পেলে ছেলেটা পালটে যাবে।
আর তুমাকে ঈদ মুবারক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন