পোস্টগুলি

আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন –

‘আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন – কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো; – এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পৃথিবীর পারে আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি?- -জীবনানন্দ দাশ

কথোপকথন- "শূন্যতার কোলাহলে"

আচ্ছা___, অভিমান নাকি অবহেলা কিভাবে বুঝবো? অবহেলা হলো কেউ যখন তোমাকে কাঁদিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর অভিমান হলো কেউ যখন তোমাকে কাঁদিয়ে চোখ মুখে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। বেশ ভালো বলেছো। তাহলে দূরত্বটা কি? শরীর ছুঁয়েও, মন ছুঁতে না পারাটাই দূরত্ব।  তাহলে পেয়ে যাওয়া ব্যপারটা কিরকম? শূন্যতায়, একাকিত্বে, অভিমানে, আবদারে সবকিছুতেই যে মানুষটাকে তুমি পাশে পাও সেই মানুষটাই তোমার পূর্ণতা। তবে তুমি পূর্ণতা হয়ে এসো আমার নিঃসঙ্গ আকাশে। এক টুকরো স্নিগ্ধ বাতাস হয়ে এসো আমার দক্ষিণের বারান্দায়। আমি তবে অপেক্ষায়....

তোমার হারিয়ে যাওয়া মনে রাখতে রাখতেই মরে যাবো একদিন!!

যেন শতাব্দী থেকে শতাব্দী জারি আছে নিষেধাজ্ঞা, কোন সমীহ নেই, অপেক্ষার অন্তরায় বুকের ভেতর যে পীড়ন ও আর্তনাদ আমি যেন মরে যাই, অনর্গল তোমাকে ভেবে৷ নিজেকে এমন বিষাদগ্রস্থ আর কখনো মনে হয়নি এমন তুমিহীনতায় -প্রেম ভালোবাসাকে আমি চরম ভাবে অস্বীকার করছি! আমি চাই– মৃত্যু আনাগোনা করুক ভয়াবহ শব্দে গ্রাস করুক তোমার আমার অসীম দূরত্বকে, অথচ কি নিদারুণ ভাবে তোমাকে মনে পড়ছে মনে হয় পৃথিবীতে মানবসভ্যতার জন্যে আর কোন মৃত্যু উপত্যকা নেই, যেন তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় নেই অথচ তোমার হারিয়ে যাওয়া মনে রাখতে রাখতেই মরে যাবো একদিন!!

আমার প্রেমিক হতে ইচ্ছে করে

  আমার প্রেমিক হতে ইচ্ছে করে; বিকেলের স্নিগ্ধ কোমল উষ্ণতায় প্রেমিকার ঠোঁটে চুমু খেতে ইচ্ছে করে! আশ্বাসে আর বিশ্বাসের মধ্যভাগে দাঁড়িয়ে আমি সেবার প্রেমিকার মন জয় করতে পারিনি।হ্যাঁ, আমি নিতান্তই সেকেলের প্রেমিকদের মতো।এখনকার স্টাইলিশ প্রেমিকদের আমার তেমন প্রেমিক মনে হয় না। আমার কবি হতে ইচ্ছে করে,মধ্য রাতে বিষণ্ণতায় মেলায় আমার অষ্টেপৃষ্ঠে বহুগুণ তীব্রতা নিয়ে অনুভূতিরা খেলা করে।আমি চাই সেসব কবিতায় ফুটে উঠুক।কিন্তু আমি কবি নয় যে? আমার যে কেবল জড়তা আছে তা নয়, আমার প্রেমিকারা আমায় ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি! আমি তাদের স্পর্শ করিনি বলে তারা ভেবে নিয়েছিলো আমার ভেতরে পুরুষত্ব বলে কিছু নেই।কিন্তু আমি চেয়েছিলাম পবিত্রতায়। পোষা পাখি হবো, নির্দিষ্ট মানুষের মনের ভেতর আমায় নিয়ে গল্প রচনা হবে।আমি নিতান্তই সাধারণ বাসনা নিয়ে বেঁচে ফিরি।কঠিন কিছু আমাকে দিয়ে হবে না... বিদ্রোহ কিংবা যুদ্ধ আমার কবিতায় ঠাঁয় পাবে না,আমার কেবল প্রেম নিয়েই যতো আকুতি।আমি প্রেমিক হতে চাই,আমি কদমের প্রেমিক হবো। মানুষ বদলায় কিন্তু ফুল কিংবা কদম বদলায় না....

বাংলাদেশ: ভ্যালেন্টাইনস ডে/ভালোবাসা দিবস

 বাংলাদেশ: ভ্যালেন্টাইনস ডে/ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস হচ্ছে প্রতি বছর ১৪ ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পালিত একটি দিবস। খৃষ্টীয় ৪৯৬ সাল থেকে এ দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হলেও বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের পর থেকে এ দিবসটি জনপ্রিয় হয়। বাংলাদেশে এ দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম শুভেচ্ছাসূচক কার্ড, ফুল, চকোলেট বা উপহারসামগ্রী বিনিময় করে বিশেষত তরুণ তরুণীরা। ইতিহাস  ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে সাংবাদিক ও 'যায়যায়দিন' পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমানের হাত ধরে। তিনি লন্ডনে পড়াশুনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত ছিলেন। তিনি যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশী মানুষের কাছে তুলে ধরেন। তার তেজগাঁওয়ের পত্রিকা অফিসে কেউ চাকুরীর জন্য গেলে তাকে সাথে তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে যেতে হতো। ভালোবাসা দিবস অভিধা প্রথম ব্যবহার করেন শফিক রেহমান। এ কারণে শফিক রেহমানকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়। তিনি তার অফিসের সামনে সড়কটিরও নামকরণ করেন লাভলেন। বিভিন্ন টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তার প্রচারণার কারণে এবং বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে এ দিবসটি জনপ...

তুমি বরং তুমি হয়ে যাও

__রুদ্র তুমি একটা গল্প হয় যাও, একটা জীবনের গল্প। যেখানে সুখ হবে নীল আকাশের মত, আর দুঃখ থাকবে অল্প অল্প। তুমি আকাশের চাঁদ হয়ে যাও, অথবা ঐ মহাশুন্য । তুমি না হয় পূর্ণতা হয়ে যাও, অন্য কারো জন্য। তুমি একটা চিঠি হয়ে যাও, একটা সাদা খামের চিঠি। তুমি একটা ঠিকানা হয়ে যাও, হয়ে যাও সেই চিঠিটার ইতি। তুমি বরং তুমি হয়ে যাও, অন্য এক তুমি। আমি না হয় আমি হয়ে যাই নিজের ভিতর নিজেই থামি।

ভালোবাসার প্রস্তাব

পুরাতন সময়ে যখন গ্রামে মাটির ঘর নির্মিত হতো তখন তার ভেতরে অন্ধকার দেয়ালে সাদা মাটির প্রলেপে নশকা করা থাকতো আর সন্ধ্যের নামার সাথে সাথে পিদিম জ্বলে উঠতো সেই ছোট্ট মাটির কুঠিরে।পিদিমের সোনালী আলোয় দোয়ালের নকশা গুলো ফুটে উঠতো।অন্ধকার ঘুচে আলো আসতো। তুমি কি পিদিম হাতে আমার মনের দেয়ালের অন্ধকার দূর করে আমায় আলো দেখাবে? দেখবে কি নশকা গুলো যেটি তোমার জন্যে আকা?