পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অবশ্যই তুমিও পারবে..

"ঠিক এই মুহূর্তে হয়তো তুমি ভীষন কষ্টে আছে.....কোন এক না পাওয়ার হতাশা তোমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে...... হয়তো কোন অপমানের কথা ভেবে আজ তুমি কেঁদেছো.... অজানা শূন্যতায় তোমার বুকটা ছিঁড়ে যাচ্ছে...... এমন মানুষগুলোর জন্য আজ দুটো কথা বলি। . আমাদের লাইফটা অনেকটা ঢাকার লোকাল বাসগুলোর মতো.... এখানে চলতে গিয়ে প্রতিদিনই তোমার কিছু নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হবে......কেউ হয়তো তোমায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাইবে, ভিড়ের অজুহাতে কেউ তোমায় অবিরত চাপ দিবে, কেউ তোমায় মাড়িয়ে চলে যেতে চাইবে সামনে..... শুধুমাএ একটু বাঁদুর ঝোলা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্যও এখানে তোমার সংগ্রাম করে যেতে হবে। লাইফটাও ঠিক এই লোকাল বাসটার মতো..... তুমি নিজেই জানোনা কখন যে তুমি "বার্থ টু ডেথ লোকাল সিটিং" এর যাত্রী হয়ে বসে আছো। . এই লাইফেও ঠিক তেমনি কিছু মানুষের সাথে তোমার নতুন করে পরিচয় হবে। কেউ তোমায় হয়তো কোনদিন খুব অপমান করবে, কষ্টে হয়তো তোমার দুফোটা অশ্রু ঝরবে.....কিন্তু, খেয়াল করে দেখবা এসব কিছুইই স্থায়ী না। একটা সময় সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে নেমে যাবে.....প্রতিটা ...
এক মুঠো স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় নিয়ে পারি দিচ্ছি জীবন, হাতের মুঠো গলিয়ে ফোটায় ফোটায় স্বপ্ন পরে আমার পথের চিহ্ন রেখে যাচ্ছে, আর পথের শেষে হাতের মুঠো খুলে দেখব কি স্বপ্নগুলো জীবনের পথে বিলীন হয়ে গেছে......

একুশে ফেব্রুয়ারি

আমি যখন একুশের কথা ভাবি তখন আমার মনে হয়; অতিক্রম করছি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় প্রিয় আসাদ গেট হেঁটে যাচ্ছি- বিজয় স্মরণির দিকে। আমি যখন একুশের কথা ভাবি তখন আমার মনে হয়; পাকিস্তানি শোষকেরা বীর বাঙালির উপর জুলুম করে চাপাতে চাচ্ছে উর্দুকে করতে যাচ্ছে বাঙালির রাষ্ট্র ভাষা। আমি যখন একুশের কথা ভাবি তখন আমার মনে হয়; শৈশবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনদের সাথে সারি বেঁধে প্রভাত ফেরিতে বিনম্র ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি শহীদ মিনারের দিকে। আমি যখন একুশের কথা ভাবি তখন আমার মনে হয়; কালো ব্যাজ ধারণ করে গোলাপ ফুল হাতে গাইছি আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি- গানের অমর পংক্তি মালা। আমি যখন একুশের কথা ভাবি তখন আমার মনে হয়; উনিশ'শ বায়ান্নের ফেব্রুয়ারিতে শোষকের বিরুদ্ধে কথা বলা বীর বাঙালীর প্রথম সাহসিকতা। আমি যখন একুশের কথা ভাবি তখন আমার মনে হয়; নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা আনতে বিজয়ের পতাকা সমুন্নত করতে ভবিষ্যত; সোনার বাংলা গড়তে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই- শ্লোগানে মুখরিত মানুষগুলো মিছিলে মিছিলে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকার রাজপথে- বীরদর্পে ঢেল...

“অরণ্য মন কাঁদে”

গতকালের প্রচন্ড দাবদাহের পর হয়তো আজ বৃষ্টি হবে।প্রকৃতিতে আজ তারই প্রস্তুতি, আকাশ কালো হয়ে আছে।একটু পরে পরে অস্থির হাওয়া দিচ্ছে। আয়লান এখনই স্কুল থেকে বের হলো।সে কোনদিকে যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।কারণ, সে এ রাস্তা-ও রাস্তায় এলোমেলো পা ফেলছে।খুব খেয়াল করলে বোঝা যাবে সে আজ ভীষণ অস্থির।তার মনটা আজকের আকাশের মতো মেঘময়, ইট পাথরের এই শহরে তার মন বসছে না।এই স্কুলে তার কোনো বন্ধু নেই!হয়তো সে মফস্বল থেকে সদ্য উঠে এসেছে বলে অথবা সে এখনো শহুরে আদব-কায়দা রপ্ত করতে পারেনি বলে।কেন যে হটাৎ করে তার বাবা এভাবে একা করে দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে!কেনই বা তাকে এই দূষিত শহরে নির্বাসন দেওয়া হলো!হ্যাঁ, একটা উদ্দেশ্য তো আছেই!শহরে মামার কাছে থেকে ভালো স্কুলে পড়াশুনা করে সে মানুষ হবে।আয়লান এই সমস্ত আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে এলোমেলো পা ফেলছে।একটু পরেই বৃষ্টি হবে,হয়তো ঝড় হবে। ভীষণ শব্দে গাছের ডালপালা ভাংবে।আয়লানের মনটা যেন পাখি হয়ে উড়ে যায় ‘কীর্তন খোলা’র পাড়ে; যেখানে নির্জন, জামিল তার জন্য অপেক্ষা করছে। ঝড় শুরু হলেই তারা নিধিদের বাগানের আম কুড়াতে যাবে। . আয়লানের চোখ ভিজে যায় জলে।এই তো!কিছুদিন ...

মেঘাচ্ছন্ন আমার জীবন

যে রাতের চাদটা অনেক আলোকিত হয় সেই রাতটা  আমার জন্য অনেক কষ্টের হয়... কারন, চাদ টাকে ছুতে ইচ্ছে হয়, চাদটাকে ছুতে পারবোনা জেনেও অসম্ভব ভালোবাসি.আর খুব মিস করিগজ... যে রাতের তারা গুলো মিটি মিটি করে জ্বলে সে রাতটা  আমার জন্যে সান্তনার হয়... কারন,তারা ছুতে পারবোনা জানি কিন্তু তারা তো হতে পারব!দুর থেকে আমার ক্ষুদ্র অালো সেই চাদটার উপর ফালানোর চেষ্টা করব... যে রাতে চাদ তারা দুটিই জ্বল জ্বল করে আলোকিত হয়, সেই রাতে আমার চোখ দিয়ে শুধু অশ্রু ঝরে... কারন,অন্ধকার আকাশটাকে আলোকিত করার ক্ষমতা তো আমার নেই... আর সুন্দর হয়ে জ্বলে ওঠার যোগ্যতাও আমার নেই। মেঘাচ্ছন্ন আমার জীবন,মেঘে ঢেকে দিতে পারি সব আলোকে .আলোকিত করতে পারিনা কোনো কিছুকে...... _____________মেঘাচ্ছন্ন জীবন।

এই মূহুর্তে তুমি যে কষ্টটা পাচ্ছো..

এই মূহুর্তে তুমি যে কষ্টটা পাচ্ছো, সেই কষ্টটার পেছনে বা সামনে অবশ্যই হিউজ একটা কারণ আছে !! হয়তো অনেক বছর ধরে মানুষটা তোমাকে ভালবাসছে, কিন্তু হঠাৎ করেই সে চলে গেলো । যাওয়ার আগে বলে গেলো “তোমাকে এখন আর ভাল্লাগে না, তোমার সাথে আমার যায় না, আই ডিজার্ভ ব্যাটার দ্যান ইউ, ভাল থেকো তুমি"। - - - অতঃপর ফোন নাম্বার ব্ল্যাক লিস্টে, ফেইসবুকে আনকড়া ব্লক, সামনা সামনি তো দেখাই নাই, আর কথাবলা সেটাতো ওই রুপকথার গল্পের মত !! শেষ,, সবই শেষ !! একটা সম্পর্ক শেষ করাটা এখন তো একটা কাগজ কে দুমড়ে মুচড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার মতই সহজ !! শুধু তোমার জন্যই ব্যাপারটা সহজ না !! কারন তুমি হয়তো মনকে বুঝো, হৃদয় কে বুঝো, ভালবাসাকে বুঝো, সম্পর্কটাকে বুঝো । তুমি প্রথম অনেকগুলা দিন বিশ্বাস করতে পারবে না কিছু । বারবার নির্লজ্জের মত তুমি চেষ্টা করে যাবে মানুষটাকে ফিরিয়ে আনতে । দিনের পর দিন, রাতের পর রাত । - - - কিন্তু সত্যি কথা হল……… সে তোমার কোন কথাই শুনবে না !! তোমার কোন কান্নাই তার মনে আর দাগ কাটবে না !! তোমাকে অপমান করা হবে, খুব চরম ভাবে, হয়তো তার থেকেও আরো বেশি !! সেই অপমানে তোমার মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে হবে !! কি...