হিমু হাতে কয়েকটি নীল করেনা

পাছায় বিরাট পাঁচটা লাঠির বাড়ি খেয়ে এই মুহূর্তে বসে আছি কাঁঠালবাগান ঢালের মুখে। বাড়ি দিয়েছেন কলাবাগান থানার ওসি। অপরাধ, করোনা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমি মাস্ক ছাড়া খালি পায়ে সুন্দরবন হোটেলের সামনে দাঁড়ানো জামাই-বউ চানাচুরের দোকান থেকে চানাচুর খাচ্ছিলাম। চানাচুর খেতে গিয়ে লাঠির বাড়ি খাওয়া একটা দুঃখজনক ব্যাপার। তবে এই দুঃখের অবশ্য ভাগিদার পাওয়া গেছে। চানাচুরওয়ালার পাছায়ও দশটা বাড়ি পড়েছে লাগাতার। পাতলা কাপড়ের প্যান্ট। দাঁত মুখ খিচ দিয়ে 'উহ উহ' আওয়াজ করার জন্য বাড়ি আরও কয়েকটা বেশি খেয়েছে চানাচুরওয়ালা। এভাবে আওয়াজ করলে পুলিশ বাড়ি দিয়ে আরাম পায়। বাড়ি দেয়ার সময় পুলিশের চোখমুখের ভাব হয় অখিলবন্ধু ঘোষের গানের মতো- 'যেন কিছু মনে করোনা'। দূরদর্শী শিল্পী। কত আগের গান। তার কথার মাঝেও 'করোনা'। নেমপ্লেটের দিকে তাকিয়ে নাম পড়ার চেষ্টা করে 'পরি..' অবধি পড়তে পড়তেই ওসি সাহেব আমার পাছায় আরও দুটো বাড়ি দেয়ায় নামটা আর পড়তে পারি নাই। একজন ওসির নাম পরি হবার কোন কারণ নাই। পুলিশ আর পরি খুব বিপরীত দুইটা জিনিস। তাছাড়া পরিরা পাছায় এত জোরে বাড়ি দেবে না। জ্বিন দিতে পারে। আমি ওস...